শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা ভৈরব নদের তীরে দুটি ঘাটে পণ্যবাহী জাহাজ না আসায় মালামাল খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে অন্তত ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। একদিকে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে অর্থকষ্ট—এই নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, ভৈরব নদের চার ও পাঁচ নম্বর ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাঁচটি বস্তি। তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের বাস এখানে। ভারতের হলদিয়া সমুদ্রবন্দর থেকে আংটিহারা হয়ে প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় চালবোঝাই জাহাজ আসত এ ঘাটে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে খাদ্যবাহী জাহাজ আর আসছে না। অন্য পণ্যবাহী জাহাজও খালাসের জন্য আনা হচ্ছে না এখানে। এ কারণে ঘাটশ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনে বা ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
খাদ্য বিভাগের ঘাট ইনচার্জ মো. বানেচুর রহমান জানান, ভারত থেকে ৭ হাজার ১৩৪ মেট্রিক টন চাল নিয়ে সর্বশেষ জাহাজ ২৩ জানুয়ারি পাঁচ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়। এরপর থেকে অন্য কোনো পণ্য নিয়ে জাহাজ স্থানীয় ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটে ভেড়েনি। এখানে শ্রমিকদের বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগও নেই।
পাঁচ নম্বর ঘাটের বস্তিবাসী শ্রমিক ফারুক হাওলাদার জানান, দুই মাস ঘাটে কোনো কাজ নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর পাঁচজনের সংসার। প্রতিদিন সংসারে দুই কেজি চালের প্রয়োজন। দোকান থেকে ধার করেই তাঁর সংসার চলছে। তাঁর পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে। ওষুধপত্র কেনারও সুযোগ নেই।
এ বস্তির শ্রমিক কামাল মোল্লা, বাদল হাওলাদার, শামীম হোসেন ও মো. ইউসুফ জানান, প্রতিদিন কম করে হলেও সংসার খরচ গড়ে ৩০০ টাকা। দোকানি বাকি দিতে রাজি হচ্ছেন না। দুই মাস কাজ নেই। তিন বেলা খাবার জোটানো কষ্টসাধ্য। রমজান সামনে রেখে এসব পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আব্দুর রহিম শেখ নামের এক শ্রমিক জানান, আগামী মাস থেকে তারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবে না। চার নম্বর ঘাটের দোকানি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘাটে চাল খালাসের সময় অসাধু পন্থায় কিছু শ্রমিক চাল সংগ্রহ করতেন। এখন সে সুযোগ নেই। খুলনার খাদ্যবিষয়ক কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমদানি করা চাল ইতিমধ্যে খুলনায় এসেছে। সব চাল খালাসও হয়েছে। চুক্তি অনুয়ায়ী কোনো চাল আমদানি বাকি নেই। তবে নতুন করে চুক্তি হলে চাল আসবে এবং এই দুটি ঘাটে খালাস হবে।
এ ছাড়া গত দুই মাস এই দুটি ঘাটে সার কয়লাসহ অন্যান্য জাহাজও ভিড়ছে না। যে কারণে ঘাটের শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে খুলনা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল বলেন, ট্রাকসংকটসহ নানা কারণে ব্যবসায়ীরা এই দুটি ঘাটে মাল খালাসের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল থেকে আবারও এই দুটি ঘাটে সার কয়লাসহ অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে।
খুলনা ভৈরব নদের তীরে দুটি ঘাটে পণ্যবাহী জাহাজ না আসায় মালামাল খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে অন্তত ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। একদিকে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে অর্থকষ্ট—এই নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, ভৈরব নদের চার ও পাঁচ নম্বর ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাঁচটি বস্তি। তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের বাস এখানে। ভারতের হলদিয়া সমুদ্রবন্দর থেকে আংটিহারা হয়ে প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় চালবোঝাই জাহাজ আসত এ ঘাটে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে খাদ্যবাহী জাহাজ আর আসছে না। অন্য পণ্যবাহী জাহাজও খালাসের জন্য আনা হচ্ছে না এখানে। এ কারণে ঘাটশ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কিনে বা ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
খাদ্য বিভাগের ঘাট ইনচার্জ মো. বানেচুর রহমান জানান, ভারত থেকে ৭ হাজার ১৩৪ মেট্রিক টন চাল নিয়ে সর্বশেষ জাহাজ ২৩ জানুয়ারি পাঁচ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়। এরপর থেকে অন্য কোনো পণ্য নিয়ে জাহাজ স্থানীয় ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটে ভেড়েনি। এখানে শ্রমিকদের বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগও নেই।
পাঁচ নম্বর ঘাটের বস্তিবাসী শ্রমিক ফারুক হাওলাদার জানান, দুই মাস ঘাটে কোনো কাজ নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর পাঁচজনের সংসার। প্রতিদিন সংসারে দুই কেজি চালের প্রয়োজন। দোকান থেকে ধার করেই তাঁর সংসার চলছে। তাঁর পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে। ওষুধপত্র কেনারও সুযোগ নেই।
এ বস্তির শ্রমিক কামাল মোল্লা, বাদল হাওলাদার, শামীম হোসেন ও মো. ইউসুফ জানান, প্রতিদিন কম করে হলেও সংসার খরচ গড়ে ৩০০ টাকা। দোকানি বাকি দিতে রাজি হচ্ছেন না। দুই মাস কাজ নেই। তিন বেলা খাবার জোটানো কষ্টসাধ্য। রমজান সামনে রেখে এসব পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আব্দুর রহিম শেখ নামের এক শ্রমিক জানান, আগামী মাস থেকে তারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবে না। চার নম্বর ঘাটের দোকানি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘাটে চাল খালাসের সময় অসাধু পন্থায় কিছু শ্রমিক চাল সংগ্রহ করতেন। এখন সে সুযোগ নেই। খুলনার খাদ্যবিষয়ক কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমদানি করা চাল ইতিমধ্যে খুলনায় এসেছে। সব চাল খালাসও হয়েছে। চুক্তি অনুয়ায়ী কোনো চাল আমদানি বাকি নেই। তবে নতুন করে চুক্তি হলে চাল আসবে এবং এই দুটি ঘাটে খালাস হবে।
এ ছাড়া গত দুই মাস এই দুটি ঘাটে সার কয়লাসহ অন্যান্য জাহাজও ভিড়ছে না। যে কারণে ঘাটের শ্রমিকেরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে খুলনা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল বলেন, ট্রাকসংকটসহ নানা কারণে ব্যবসায়ীরা এই দুটি ঘাটে মাল খালাসের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল থেকে আবারও এই দুটি ঘাটে সার কয়লাসহ অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে