নাইমুর রহমান, নাটোর
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাটোরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচার হাটে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। আড়তদারদের কাছে কে কত চামড়া সরবরাহ করবেন, তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। তবে শ্রমিকের সংকট, পাওনা টাকা না পাওয়া এবং সংরক্ষণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তবুও তাঁদের আশা, এবারের ঈদে অন্তত ১৫ লাখ পশুর চামড়া বেচাকেনা হবে। যার বাজারমূল্য হতে পারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, চামড়া বাজারে পাওনা টাকা আদায়ের ওপর নির্ভরশীল মৌসুমি বিক্রেতা ও আড়তদারদের সম্পর্ক। কোরবানি ঈদের আগে ট্যানারির মালিকদের কাছে নাটোরের ব্যবসায়ীদের বকেয়া থাকে শতকোটি টাকারও বেশি। এবার বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ঈদের দু-তিন দিন আগে সেই টাকা ট্যানারির মালিকদের থেকে আদায় করেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। এরপর নতুন করে চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু এবার কী পরিমাণ টাকা দায় হবে, তা দিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় চামড়া আড়তদারদের সূত্রে জানা গেছে, অনিশ্চিত অর্থপ্রবাহের কারণে নাটোরের মোকামে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার কাজ ছেড়েছেন অনেক শ্রমিক।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের আগে প্রতিবছর তাঁরা শ্রমিকদের অগ্রিম টাকা দিতেন। তবে ব্যবসায়ীরা এবার কাজের জন্য শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁরা বর্তমানে কাজে নিয়োজিত আছেন, তাঁরাও ঈদের পর কাজের জন্য বাড়তি টাকা দাবি করছেন। মৌসুমে প্রতি রাতে একজন শ্রমিককে চামড়ায় লবণ লাগানোর জন্য এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দিতে হতো। এবার তা বাড়তে পারে। তবে সময়মতো শ্রমিক পাওয়া না গেলে চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। এতে কাঁচা চামড়া পচে যেতে পারে।
গত বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জন্য চামড়ার দাম বেঁধে দিয়েছে। ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করলেও আড়তে বিক্রির সময় দাম পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আড়তদারদের অভিযোগ, ব্যবসা চালু রাখার জন্য বাড়তি অথবা নির্ধারিত দামে খাসির চামড়া কেনেন তাঁরা। কিন্তু এতে কোনো লাভ থাকে না। ১৮ থেকে ২০ টাকা ফুট দরে একটি খাসির চামড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করতে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মতো খরচ হয়। অথচ এই চামড়া বিক্রি করা যায় না।
চামড়া ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, চামড়া সংরক্ষণের লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চামড়াপ্রতি লবণের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। ৭০ কেজির এক বস্তা লবণের দাম ৯০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে। চামড়া কিনলে লবণ দিতেই হবে। তাই প্রক্রিয়াজাত করতে খরচও বেড়ে যাবে।
চামড়া শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোতাহার আলী বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা পেশা ছেড়েছেন। এরপরও এক মাসের জন্য ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে অন্য পেশার শ্রমিকেরা কাজ করেন।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি এস এম মকছেদ আলী বলেন, করোনার কারণে বকেয়া টাকার চাপ ব্যবসায়ীদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এরপরও তিনি আশা করছেন, এবার ৫০০ কোটি টাকা চামড়া কেনাবেচা হবে।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাটোরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচার হাটে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। আড়তদারদের কাছে কে কত চামড়া সরবরাহ করবেন, তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। তবে শ্রমিকের সংকট, পাওনা টাকা না পাওয়া এবং সংরক্ষণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তবুও তাঁদের আশা, এবারের ঈদে অন্তত ১৫ লাখ পশুর চামড়া বেচাকেনা হবে। যার বাজারমূল্য হতে পারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, চামড়া বাজারে পাওনা টাকা আদায়ের ওপর নির্ভরশীল মৌসুমি বিক্রেতা ও আড়তদারদের সম্পর্ক। কোরবানি ঈদের আগে ট্যানারির মালিকদের কাছে নাটোরের ব্যবসায়ীদের বকেয়া থাকে শতকোটি টাকারও বেশি। এবার বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ঈদের দু-তিন দিন আগে সেই টাকা ট্যানারির মালিকদের থেকে আদায় করেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। এরপর নতুন করে চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু এবার কী পরিমাণ টাকা দায় হবে, তা দিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় চামড়া আড়তদারদের সূত্রে জানা গেছে, অনিশ্চিত অর্থপ্রবাহের কারণে নাটোরের মোকামে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার কাজ ছেড়েছেন অনেক শ্রমিক।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের আগে প্রতিবছর তাঁরা শ্রমিকদের অগ্রিম টাকা দিতেন। তবে ব্যবসায়ীরা এবার কাজের জন্য শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁরা বর্তমানে কাজে নিয়োজিত আছেন, তাঁরাও ঈদের পর কাজের জন্য বাড়তি টাকা দাবি করছেন। মৌসুমে প্রতি রাতে একজন শ্রমিককে চামড়ায় লবণ লাগানোর জন্য এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দিতে হতো। এবার তা বাড়তে পারে। তবে সময়মতো শ্রমিক পাওয়া না গেলে চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। এতে কাঁচা চামড়া পচে যেতে পারে।
গত বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জন্য চামড়ার দাম বেঁধে দিয়েছে। ঢাকাতে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করলেও আড়তে বিক্রির সময় দাম পান না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আড়তদারদের অভিযোগ, ব্যবসা চালু রাখার জন্য বাড়তি অথবা নির্ধারিত দামে খাসির চামড়া কেনেন তাঁরা। কিন্তু এতে কোনো লাভ থাকে না। ১৮ থেকে ২০ টাকা ফুট দরে একটি খাসির চামড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করতে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মতো খরচ হয়। অথচ এই চামড়া বিক্রি করা যায় না।
চামড়া ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, চামড়া সংরক্ষণের লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চামড়াপ্রতি লবণের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। ৭০ কেজির এক বস্তা লবণের দাম ৯০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে। চামড়া কিনলে লবণ দিতেই হবে। তাই প্রক্রিয়াজাত করতে খরচও বেড়ে যাবে।
চামড়া শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোতাহার আলী বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা পেশা ছেড়েছেন। এরপরও এক মাসের জন্য ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে অন্য পেশার শ্রমিকেরা কাজ করেন।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি এস এম মকছেদ আলী বলেন, করোনার কারণে বকেয়া টাকার চাপ ব্যবসায়ীদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এরপরও তিনি আশা করছেন, এবার ৫০০ কোটি টাকা চামড়া কেনাবেচা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে