জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আমানতকারীদের জামানতের সুরক্ষা দিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক, চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংকসহ পাঁচটি ব্যাংক নিয়ম লঙ্ঘন করে আগ্রাসী কায়দায় ঋণ বিতরণ করছে। এভাবে ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর) সীমা লঙ্ঘন করে ঋণ বিতরণ করায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। আর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় আমানতকারীরা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ১০২ দশমিক ২৮ শতাংশ। যদিও প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। সেই হিসাবে ব্যাংকটি প্রায় ১৫ শতাংশ ঋণ বেশি বিতরণ করেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন। রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ৮৯ দশমিক ১৪ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। একটি প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না ব্যাংকটি। নিয়ম অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংক ২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এভাবে ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত ঋণের সীমা লঙ্ঘন।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঋণ বিতরণ করছে। এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে কোনো কোনো ব্যাংক সময়মতো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারে না, যা আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করে।
পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) ঋণ বিতরণ করেছে ৮৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। যদিও এটি প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না। সেই হিসাবে ব্যাংকটি ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমার লঙ্ঘন।
আবার এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ৯৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। কিন্তু এটি ইসলামি ব্যাংক হিসেবে আমানতের ৯২ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এভাবে ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের কিছু ব্যাংককে ঋণ বিতরণে কিছুটা আগ্রাসী মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এসব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক চলমান রেখেছে। বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঋণ বিতরণের হার ৯২ দশমিক ২২ শতাংশ। কিন্তু ইসলামি ব্যাংক হিসেবে এটি ৯২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। সেই হিসাবে এটিও দশমিক ২২ শতাংশ ঋণ বেশি বিতরণ করেছে।
রাকাবের এমডি মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘যে হারে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ঋণ বিতরণে অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমানতকারীদের জামানতের সুরক্ষা দিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক, চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংকসহ পাঁচটি ব্যাংক নিয়ম লঙ্ঘন করে আগ্রাসী কায়দায় ঋণ বিতরণ করছে। এভাবে ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর) সীমা লঙ্ঘন করে ঋণ বিতরণ করায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। আর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় আমানতকারীরা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ১০২ দশমিক ২৮ শতাংশ। যদিও প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। সেই হিসাবে ব্যাংকটি প্রায় ১৫ শতাংশ ঋণ বেশি বিতরণ করেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন। রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ৮৯ দশমিক ১৪ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। একটি প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না ব্যাংকটি। নিয়ম অনুযায়ী, বেসিক ব্যাংক ২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এভাবে ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত ঋণের সীমা লঙ্ঘন।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকগুলো আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঋণ বিতরণ করছে। এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে কোনো কোনো ব্যাংক সময়মতো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারে না, যা আমানতকারীদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি করে।
পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) ঋণ বিতরণ করেছে ৮৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। যদিও এটি প্রচলিত ব্যাংক হিসেবে মোট আমানতের ৮৭ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না। সেই হিসাবে ব্যাংকটি ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমার লঙ্ঘন।
আবার এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ৯৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। কিন্তু এটি ইসলামি ব্যাংক হিসেবে আমানতের ৯২ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। এভাবে ঋণ বিতরণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের কিছু ব্যাংককে ঋণ বিতরণে কিছুটা আগ্রাসী মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এসব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক চলমান রেখেছে। বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঋণ বিতরণের হার ৯২ দশমিক ২২ শতাংশ। কিন্তু ইসলামি ব্যাংক হিসেবে এটি ৯২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারে। সেই হিসাবে এটিও দশমিক ২২ শতাংশ ঋণ বেশি বিতরণ করেছে।
রাকাবের এমডি মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘যে হারে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ঋণ বিতরণে অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে