ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গরমে ময়মনসিংহে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জেলায় অন্তত তিন শ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে ভ্যাপসা গরম পড়া শুরু হওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। প্রতিদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী। এসকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩২০ জনের মতো শিশু।
এদিকে হঠাৎ করে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে অনেকের। অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মমেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মমতাজ বেগমের দুই বছরের শিশু নাহিয়ান। মমতাজ বেগম বলেন, ‘হঠাৎ করে জ্বর ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হওয়ায় বাচ্চা পাঁচ দিন আগে ভর্তি করিয়েছি হাসপাতালে। এখনো তাঁর অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকেরা বলছে আরও কয়েক দিন থাকতে হবে। ভেতরে সিট খালি না থাকায় বারান্দায় কষ্ট করে দিন-রাত কাটাচ্ছি। আমরা নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার পাশের বাড়ির এক শিশুর হঠাৎ করে বমি, পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি শত শত রোগী। অনেকের অবস্থা খুব খারাপ।’
এসকে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রজ্ঞানন্দ বলেন, ‘গরম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়ার রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা খারাপ তাঁদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এখানে বেশির ভাগ বয়স্কদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া মোকাবিলায় চলাফেরা ও খাওয়া দাওয়ায় মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
মমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি এবং কাশির মতো রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। ডায়রিয়াসহ নানা রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে ১০০ জনের মতো রোগী সেবা নিচ্ছেন।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমানে দুই ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন তিন শ’র ওপরে রোগী। আমরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে এসব রোগে সচারাচর কেউ মারা যায়নি। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহসহ সব উপজেলায় আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য রোগবালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে একটু সচেতন হলে এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ। জেলায় তিন শ’র ওপরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। সবাইকেই আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’
গরমে ময়মনসিংহে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জেলায় অন্তত তিন শ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে ভ্যাপসা গরম পড়া শুরু হওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। প্রতিদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী। এসকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ জন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩২০ জনের মতো শিশু।
এদিকে হঠাৎ করে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে অনেকের। অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মমেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মমতাজ বেগমের দুই বছরের শিশু নাহিয়ান। মমতাজ বেগম বলেন, ‘হঠাৎ করে জ্বর ঠান্ডা এবং পাতলা পায়খানা হওয়ায় বাচ্চা পাঁচ দিন আগে ভর্তি করিয়েছি হাসপাতালে। এখনো তাঁর অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসকেরা বলছে আরও কয়েক দিন থাকতে হবে। ভেতরে সিট খালি না থাকায় বারান্দায় কষ্ট করে দিন-রাত কাটাচ্ছি। আমরা নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’
স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার পাশের বাড়ির এক শিশুর হঠাৎ করে বমি, পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি শত শত রোগী। অনেকের অবস্থা খুব খারাপ।’
এসকে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রজ্ঞানন্দ বলেন, ‘গরম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়ার রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা খারাপ তাঁদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এখানে বেশির ভাগ বয়স্কদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া মোকাবিলায় চলাফেরা ও খাওয়া দাওয়ায় মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
মমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি এবং কাশির মতো রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। ডায়রিয়াসহ নানা রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে ১০০ জনের মতো রোগী সেবা নিচ্ছেন।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমানে দুই ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন তিন শ’র ওপরে রোগী। আমরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে এসব রোগে সচারাচর কেউ মারা যায়নি। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহসহ সব উপজেলায় আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য রোগবালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে একটু সচেতন হলে এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ। জেলায় তিন শ’র ওপরে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছে। সবাইকেই আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে