খান রফিক, বরিশাল
আবাসনব্যবস্থা নিয়ে চরম সংকটে পড়েছে বরিশালের সেরা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে বিএম কলেজ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস বেহাল হওয়ায় বসবাসই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা এই সংকটের অবসান চেয়ে বিক্ষোভও করেছেন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠার ১১ বছরেও আবাসনব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার সমাধানে কেবল আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন।
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অশ্বিনীকুমার হল (ডিগ্রি হোস্টেল) জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এই হোস্টেলে বর্তমানে ৪০০ ছাত্র থাকেন। এখানে একটি কক্ষে চারজনকে থাকতে হয়। ছাত্রাবাসের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। স্যাঁতসেঁতে কক্ষ, ছাদের ও কক্ষের পলেস্তারা ক্ষয়ে গেছে। বাথরুমের অবস্থাও নাজুক। হোস্টেলে বসবাসরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে এর অবস্থা এতটাই নাজুক যে আতঙ্কে থাকা লাগে। মনে হয় এই বুঝি ভবনের ছাদ ভেঙে মাথার ওপরে পড়ল।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, হোস্টেলের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যা মেরামত করলেও কোনো কাজে আসবে না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে নতুন ভবনের আবেদন করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে ছাত্রদের থাকার জন্য পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আবাসিক হোস্টেল আছে ছয়টি। ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য তিনটি। ছাত্রীদের দুটি হল অনেকটা ব্যবহারের অনুপযোগী। অন্যদিকে ছাত্রদের তিনটি হলের অবস্থা করুণ। নিরাপদ আবাসনের দাবিতে গত ১৭ আগস্ট দিনভর আন্দোলন করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের দুটি হোস্টেলের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
ছাত্রদের তিনটি হোস্টেল যথাক্রমে হাবিবুর রহমান, জামিলুর রহমান ও মইনুল হায়দার ঘুরে সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া গেছে। তিনজনের এক কক্ষে গাদাগাদি করে থাকেন ছয়-সাত জন। অনেকে মেঝেতেই শয্যা পেতে থাকছেন।
হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসে ঢুকতেই চোখে পড়বে ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাসের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সতর্কবাণী। এই ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় এবং নিচতলাও জরাজীর্ণ। তিনতলা ভবনটির সর্বত্র দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা।
জামিলুর রহমান ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনতলা ছাত্রাবাস ভবনের নিচতলার কক্ষগুলো স্যাঁতসেঁতে। দেয়ালের পলেস্তারা ক্ষয়ে যাচ্ছে।
২ নম্বর ছাত্রী হোস্টেলের আবাসিক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রীদের ১ ও ২ নম্বর হোস্টেল খুবই জরাজীর্ণ। এ দুই হোস্টেলের ছাদ ও দেয়াল
থেকে খসে পড়ে পলেস্তারা। বর্ষা হলেই ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি জমে মেঝেতে।
এ প্রসঙ্গে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দুটি ১০ তলা হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পের ফাইল আছে পরিকল্পনা কমিশনে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আবাসিক হল রয়েছে চারটি। দুটি ছাত্রদের ও দুটি ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ঠাঁই হয়নি আবাসিক হলে। আবাসিক হলে থাকার সুযোগ না পেয়ে আশপাশের মেসে থাকছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য আবাসিক দুটি হলে থাকতে পারছেন মাত্র ১ হাজার ৮০ জন ছাত্র। বাকি ছাত্ররা আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। হলের প্রতিটি কক্ষে চারটি সিঙ্গেল চৌকি আর চারটি পড়ার টেবিল ও চেয়ার। অনেকটা গাদাগাদি করে থাকতে হয় বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
ছাত্রীদের জন্য একমাত্র হল শেখ হাসিনা আবাসিক হলে থাকেন ৬১০ জন। আবাসিক হলের ছাত্রীরা জানান, হলের চারজনের কক্ষে থাকছেন আটজন।
থাকা থেকে শুরু করে খাওয়া, গোসল, পড়ালেখা সবকিছুই তাঁদের পালা করে করতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট কাটানোর বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে অগ্রাধিকারে দেওয়া হয়েছে। যেসব ছাত্র-ছাত্রী হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না, বাইরে থাকতে তাঁদের অনেক খরচ হচ্ছে। ছাত্রীদের জন্য আরও একটি হল দ্রুত চালু হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ২০১৩ সালে কর্ণকাঠিতে ৫০ একর জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে।
আবাসনব্যবস্থা নিয়ে চরম সংকটে পড়েছে বরিশালের সেরা তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে বিএম কলেজ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস বেহাল হওয়ায় বসবাসই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা এই সংকটের অবসান চেয়ে বিক্ষোভও করেছেন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠার ১১ বছরেও আবাসনব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার সমাধানে কেবল আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন।
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অশ্বিনীকুমার হল (ডিগ্রি হোস্টেল) জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এই হোস্টেলে বর্তমানে ৪০০ ছাত্র থাকেন। এখানে একটি কক্ষে চারজনকে থাকতে হয়। ছাত্রাবাসের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। স্যাঁতসেঁতে কক্ষ, ছাদের ও কক্ষের পলেস্তারা ক্ষয়ে গেছে। বাথরুমের অবস্থাও নাজুক। হোস্টেলে বসবাসরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে এর অবস্থা এতটাই নাজুক যে আতঙ্কে থাকা লাগে। মনে হয় এই বুঝি ভবনের ছাদ ভেঙে মাথার ওপরে পড়ল।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার সাংবাদিকদের জানান, হোস্টেলের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যা মেরামত করলেও কোনো কাজে আসবে না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে নতুন ভবনের আবেদন করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে ছাত্রদের থাকার জন্য পুরোনো ভবন সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য আবাসিক হোস্টেল আছে ছয়টি। ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য তিনটি। ছাত্রীদের দুটি হল অনেকটা ব্যবহারের অনুপযোগী। অন্যদিকে ছাত্রদের তিনটি হলের অবস্থা করুণ। নিরাপদ আবাসনের দাবিতে গত ১৭ আগস্ট দিনভর আন্দোলন করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের দুটি হোস্টেলের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
ছাত্রদের তিনটি হোস্টেল যথাক্রমে হাবিবুর রহমান, জামিলুর রহমান ও মইনুল হায়দার ঘুরে সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র পাওয়া গেছে। তিনজনের এক কক্ষে গাদাগাদি করে থাকেন ছয়-সাত জন। অনেকে মেঝেতেই শয্যা পেতে থাকছেন।
হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসে ঢুকতেই চোখে পড়বে ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাসের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সতর্কবাণী। এই ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় এবং নিচতলাও জরাজীর্ণ। তিনতলা ভবনটির সর্বত্র দেয়াল ও ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা।
জামিলুর রহমান ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনতলা ছাত্রাবাস ভবনের নিচতলার কক্ষগুলো স্যাঁতসেঁতে। দেয়ালের পলেস্তারা ক্ষয়ে যাচ্ছে।
২ নম্বর ছাত্রী হোস্টেলের আবাসিক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রীদের ১ ও ২ নম্বর হোস্টেল খুবই জরাজীর্ণ। এ দুই হোস্টেলের ছাদ ও দেয়াল
থেকে খসে পড়ে পলেস্তারা। বর্ষা হলেই ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি জমে মেঝেতে।
এ প্রসঙ্গে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দুটি ১০ তলা হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পের ফাইল আছে পরিকল্পনা কমিশনে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আবাসিক হল রয়েছে চারটি। দুটি ছাত্রদের ও দুটি ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ঠাঁই হয়নি আবাসিক হলে। আবাসিক হলে থাকার সুযোগ না পেয়ে আশপাশের মেসে থাকছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য আবাসিক দুটি হলে থাকতে পারছেন মাত্র ১ হাজার ৮০ জন ছাত্র। বাকি ছাত্ররা আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। হলের প্রতিটি কক্ষে চারটি সিঙ্গেল চৌকি আর চারটি পড়ার টেবিল ও চেয়ার। অনেকটা গাদাগাদি করে থাকতে হয় বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
ছাত্রীদের জন্য একমাত্র হল শেখ হাসিনা আবাসিক হলে থাকেন ৬১০ জন। আবাসিক হলের ছাত্রীরা জানান, হলের চারজনের কক্ষে থাকছেন আটজন।
থাকা থেকে শুরু করে খাওয়া, গোসল, পড়ালেখা সবকিছুই তাঁদের পালা করে করতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট কাটানোর বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে অগ্রাধিকারে দেওয়া হয়েছে। যেসব ছাত্র-ছাত্রী হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না, বাইরে থাকতে তাঁদের অনেক খরচ হচ্ছে। ছাত্রীদের জন্য আরও একটি হল দ্রুত চালু হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ২০১৩ সালে কর্ণকাঠিতে ৫০ একর জমির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে