বখাটেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ওই ঘটনার ভিডিও করার অভিযোগে মামলা করার পর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার একটি পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামিপক্ষ পরিবারটির বিরুদ্ধেও পরবর্তীকালে দুটি মামলা দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির দাবি, মামলাগুলো মিথ্যা। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগী পরিবারটি গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বলেন, কলেজে আসা-যাওয়ার পথে চারঘাটের গৌড়শহরপুর কুঠিপাড়া গ্রামের বখাটে যুবক জাফর আলী (২৮) তাঁর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তার মেয়ে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা হতো। গত বছরের ২৪ জুন তাঁর কলেজে পড়ুয়া মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন জাফর আলী ও তাঁর বন্ধু জীবন আলী, সাব্বির হোসেন, মো. রাতুল এবং মো. লিখন দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে গ্রামের এক ব্যক্তির নিয়ে যান। সেখানে তাকে সবাই ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আর ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়।

এদিকে, ওই কলেজছাত্রীকে যারা ধরে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলে বখাটেরা বাড়ির জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।

ভুক্তভোগীর বাবা চারঘাট থানায় গেলেও আসামিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে মামলা নেননি ওসি জাহাঙ্গীর আলম। পরে আদালতে মামলা করা হয়। আসামিরা আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান। বর্তমানে আসামিরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার পর আসামিদের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁর এক ভাগনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স। রাত-বিরাতে বাড়ি ফেরার সময় তাঁরও পিছু নেয় আসামিপক্ষের লোকজন। হামলার ভয়ে তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারছেন না।

চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে মামলা না নেওয়ার বিষয়েও ওসি কোনো মন্তব্য করেননি।