কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও) মো. ইসলামুল হক মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, অধীনস্থ শিক্ষকদের পকেট থেকে জোর করে টাকা তুলে নেওয়া, নারী শিক্ষকদের উত্ত্যক্ত করা, শোকজের ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করাসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কয়রা উপজেলায় ২০১১ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে প্রথম যোগদান করেন। যোগদানের পর এক শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গোড়ে তোলেন। এ কথা জানাজানি হলে কয়রা উপজেলা থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখে পাইকগাছা শিক্ষা অফিসে তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখে বদলির আদেশে কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু করেন বিনা কারণে শোকজের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার ফন্দি। প্রাথমিক শিক্ষা এইউইও মিঠু, কয়রা, খুলনা নামে তার একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপে তার ক্লাস্টারের সব শিক্ষককে তিনি যুক্ত করেন। এই গ্রুপে চলে শিক্ষকদের ব্ল্যাক মেইলের পাঁয়তারা।
বেদকাশি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার ইউনুস আলী বলেন, এ বছর রমজান মাসে স্কুলের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যাই। কাজ শেষে সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠু স্যারের রুমে প্রবেশ করি। স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার পর বের হয়ে আসার সময় তিনি আমার পকেটে জোর করে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে টাকা বের করে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি দেখান।
কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, করোনাকালীন সময়ে ডিপিও স্যারের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ মিটিংয়ে আমিসহ আমার স্কুলের দুই শিক্ষকের জয়েন্ট করার কথা ছিল। জুম মিটিংয়ে জয়েন্টের দুই মিনিট পর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর মিটিংয়ে যুক্ত হতে না পারায় ওই দুই শিক্ষকে শোকজ লেটার দেন। ভয়ে ওই দুই শিক্ষক মিঠু স্যারকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন, একদিন শিক্ষা অফিসে মিঠু স্যার আমার পাশে এসে বসেন। স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার পর একপর্যায়ে তিনি আমার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে শোকজের ভয় দেখান। মান সম্মানের ভয় ও পারিবারিক অশান্তি তৈরি হওয়ার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
এ সব বিষয়ে ইসলামুল হক মিঠু বলেন, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সঠিক নয়। আমার ক্লাস্টারের থাকা বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পরিদর্শন করি। এটাই শিক্ষকেরা পছন্দ করেন না। যে কারণে শিক্ষকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিঠুর বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনার কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও) মো. ইসলামুল হক মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বে অবহেলা, অধীনস্থ শিক্ষকদের পকেট থেকে জোর করে টাকা তুলে নেওয়া, নারী শিক্ষকদের উত্ত্যক্ত করা, শোকজের ভয় দেখিয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করাসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কয়রা উপজেলায় ২০১১ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে প্রথম যোগদান করেন। যোগদানের পর এক শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গোড়ে তোলেন। এ কথা জানাজানি হলে কয়রা উপজেলা থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখে পাইকগাছা শিক্ষা অফিসে তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখে বদলির আদেশে কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর থেকে শুরু করেন বিনা কারণে শোকজের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার ফন্দি। প্রাথমিক শিক্ষা এইউইও মিঠু, কয়রা, খুলনা নামে তার একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপে তার ক্লাস্টারের সব শিক্ষককে তিনি যুক্ত করেন। এই গ্রুপে চলে শিক্ষকদের ব্ল্যাক মেইলের পাঁয়তারা।
বেদকাশি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার ইউনুস আলী বলেন, এ বছর রমজান মাসে স্কুলের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যাই। কাজ শেষে সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠু স্যারের রুমে প্রবেশ করি। স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার পর বের হয়ে আসার সময় তিনি আমার পকেটে জোর করে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে টাকা বের করে নেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি দেখান।
কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, করোনাকালীন সময়ে ডিপিও স্যারের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ মিটিংয়ে আমিসহ আমার স্কুলের দুই শিক্ষকের জয়েন্ট করার কথা ছিল। জুম মিটিংয়ে জয়েন্টের দুই মিনিট পর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর মিটিংয়ে যুক্ত হতে না পারায় ওই দুই শিক্ষকে শোকজ লেটার দেন। ভয়ে ওই দুই শিক্ষক মিঠু স্যারকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন, একদিন শিক্ষা অফিসে মিঠু স্যার আমার পাশে এসে বসেন। স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার পর একপর্যায়ে তিনি আমার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে শোকজের ভয় দেখান। মান সম্মানের ভয় ও পারিবারিক অশান্তি তৈরি হওয়ার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
এ সব বিষয়ে ইসলামুল হক মিঠু বলেন, আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সঠিক নয়। আমার ক্লাস্টারের থাকা বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পরিদর্শন করি। এটাই শিক্ষকেরা পছন্দ করেন না। যে কারণে শিক্ষকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিঠুর বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে