ভালো আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পাওয়ায় দিনাজপুরের মাঠে এখন আমনে হলদে রঙের সমারোহ। এতে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকেরা। ভালো ফলন আর ভালো দামে এবার তাঁদের আশা পূরণ হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে উফশি, ৩৫৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ও ৩৪৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। আর এক মাসের মধ্যেই কৃষক তাঁর কাঙ্ক্ষিত আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

জানা গেছে, করোনাকালীন থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কৃষি বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃষকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ ফসল সেবা ক্লিনিক, আলোক ফাঁদ, সান্ধ্যকালীন ভিডিও প্রদর্শন, উঠান বৈঠক ও সচেতনতামূলক আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এ ছাড়া পিপি স্কোয়াড গঠন করে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, পরামর্শসহ নিয়মিত রোগ ও পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তা ছাড়া, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের তদারকি ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

সাতনালা গ্রামের চাষি ছপির উদ্দীন বলেন, ‘আমার ২১ বিঘা জমির মধ্যে গতবার বোরো মৌসুমে ১৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এবার পুরো ২১ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে এ ফসল ফলিয়েছি। এই ফসলের সবুজ ঢেউ এখন আমাকে স্বপ্ন দেখায় ভালো ফলন ও দামের।’

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উফশি জাতের আবাদ বেড়েছে। বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাইব্রিড ও উফশিতে আগ্রহ বেশি। আশা করছি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে।’