হবিগঞ্জ ও কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় লোকজন তাঁদের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, আবাসন ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সংকট।
জানা গেছে, বন্যার কারণে বিভিন্ন এলাকার নলকূপ বিকল হয়ে গেছে। ফলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ও শৌচাগার নষ্ট হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
হবিগঞ্জে বন্যাকবলিত ছয়টি উপজেলার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ ও বাহুবল।
সরকারি হিসাবে জেলায় গত সোম ও মঙ্গলবার অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ১৮০ জন লোক নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো রয়েছেন ৫৪৮ জন মানুষ। বর্তমানে জেলায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, তাদের মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে। খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, সাপে কাটার ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ আছে।
হবিগঞ্জ শহরতলির জালালাবাদ গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরা শরিফা বেগম বলেন, ‘বাড়ি এসেছি। কিন্তু ঘরের যে অবস্থা। খুব কাদা। ঠিক করতে অনেক সময় লাগবে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অসুবিধা হচ্ছে।’
বন্যার কারণে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় হাওরে রোপণ করা রোপা আমনের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের হাওরে প্রায় এক হাজার একর জমিতে রোপা ধান চাষ করা হয়েছিল। বন্যায় আমাদের সব জমি তলিয়ে যায়। এ ক্ষতি কীভাবে আমরা কাটিয়ে উঠব, বুঝতে পারছি না। সরকারের সহযোগিতা চাই।’
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ করা সম্ভব হয়নি। বন্যা পুরোপুরি শেষ হলে বিস্তারিত বোঝা যাবে। তখন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে।
হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের লোকজন বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার স্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত রয়েছে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার নলকূপ বিকল হয়ে পড়েছে। শৌচাগারগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা মহাসংকটে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যায় জেলার তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। এতে অসংখ্য কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ ঘরে বন্যার পানি ঢুকেছে। বন্যার পানি কমলেও নলকূপ থেকে ময়লাযুক্ত পানি বের হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ১ হাজার ২০০টি নলকূপ ও ৩ হাজার শৌচাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় ১ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পরিমাণের ৯০০টি জেরিক্যান বিতরণ
করা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ উপজেলার সুফিয়ান মিয়া বলেন, ‘আমার ঘরের অর্ধেক ডুবে যায়। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। বাড়িতে ফিরে দেখি নলকূপের পানি খাওয়ার উপযোগী নয়। শৌচাগারগুলোও আর ব্যবহার করা যাবে না।’
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জেলার প্রতিটি বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পানির জেরিক্যান বিতরণ করছি। জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।’
সিলেটের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় লোকজন তাঁদের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, আবাসন ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সংকট।
জানা গেছে, বন্যার কারণে বিভিন্ন এলাকার নলকূপ বিকল হয়ে গেছে। ফলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ও শৌচাগার নষ্ট হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
হবিগঞ্জে বন্যাকবলিত ছয়টি উপজেলার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ ও বাহুবল।
সরকারি হিসাবে জেলায় গত সোম ও মঙ্গলবার অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ১৮০ জন লোক নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো রয়েছেন ৫৪৮ জন মানুষ। বর্তমানে জেলায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, তাদের মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে। খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, সাপে কাটার ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ আছে।
হবিগঞ্জ শহরতলির জালালাবাদ গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরা শরিফা বেগম বলেন, ‘বাড়ি এসেছি। কিন্তু ঘরের যে অবস্থা। খুব কাদা। ঠিক করতে অনেক সময় লাগবে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অসুবিধা হচ্ছে।’
বন্যার কারণে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় হাওরে রোপণ করা রোপা আমনের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের হাওরে প্রায় এক হাজার একর জমিতে রোপা ধান চাষ করা হয়েছিল। বন্যায় আমাদের সব জমি তলিয়ে যায়। এ ক্ষতি কীভাবে আমরা কাটিয়ে উঠব, বুঝতে পারছি না। সরকারের সহযোগিতা চাই।’
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ করা সম্ভব হয়নি। বন্যা পুরোপুরি শেষ হলে বিস্তারিত বোঝা যাবে। তখন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে।
হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের লোকজন বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার স্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত রয়েছে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার নলকূপ বিকল হয়ে পড়েছে। শৌচাগারগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা মহাসংকটে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যায় জেলার তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। এতে অসংখ্য কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ ঘরে বন্যার পানি ঢুকেছে। বন্যার পানি কমলেও নলকূপ থেকে ময়লাযুক্ত পানি বের হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ১ হাজার ২০০টি নলকূপ ও ৩ হাজার শৌচাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় ১ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পরিমাণের ৯০০টি জেরিক্যান বিতরণ
করা হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কমলগঞ্জ উপজেলার সুফিয়ান মিয়া বলেন, ‘আমার ঘরের অর্ধেক ডুবে যায়। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। বাড়িতে ফিরে দেখি নলকূপের পানি খাওয়ার উপযোগী নয়। শৌচাগারগুলোও আর ব্যবহার করা যাবে না।’
মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জেলার প্রতিটি বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ১০ লিটার পানির জেরিক্যান বিতরণ করছি। জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে