জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
হাওরাঞ্চলের বোরো ধান রক্ষায় এবার সুনামগঞ্জে ৭২৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে। সমন্বিতভাবে এ কাজটি করেছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ব্যয় হয় ১২১ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা খরচ করেও বাঁধগুলো রক্ষা করা গেল না। এরই মধ্যে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির ধান। এ জন্য বাঁধের কাজে অনিয়মকেই দায়ী করছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার কারণেই বাঁধ নির্মাণের কাজে অনিয়ম হয়েছে। দুর্বল নির্মাণকাজের কারণে ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাঁধগুলো।
গত চার বছর ভারতের মেঘালয়ে অসময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে সুনামগঞ্জে। কৃষকেরাও স্বস্তিতে ধান গোলায় তুলতে পেরেছেন। কিন্তু এবার মেঘালয়ে গত সাত দিনে ১ হাজার ২০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে সুনামগঞ্জের শাল্লা, তাহিরপুর, দিরাই, ধর্মপাশা ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৬টি বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর আধা পাকা ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় বাঁধ ভাঙে দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরে। গত বৃহস্পতিবার এ হাওরের বৈশাখী বাঁধে ভাঙনের ফলে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
চাপতি হাওরে কথা হয় চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক রফু মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের কাছে বসে চুপচাপ নিজের তলিয়ে যাওয়া জমি দেখছিলেন তিনি। রফু মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধের কাজ করেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। যখন বাঁধের কাজ হয় তখন অনিয়ম দেখার পর আমরা বারবার বলেছি। তারপরও পিআইসির লোকজন আমরারে বাঁধের কাছেই যেতে দিছে না। আমাদের বলে, তুমরা এসব বুঝবা না।’
চণ্ডীপুর গ্রামের আরেক কৃষক মো. এমরান হোসেন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এই ভান (বৈশাখী বাঁধ) ভাঙলেও তেমন সমস্যা হইত না। চাপতি হাওরের মাঝে আরেকটা ভান আছে। ওই ভানটা (বাঁধ) যদি হইতো তাইলে হাওরের অনেক ফসল রক্ষা হইতো। কেনে যে ডিসি সাব আর ইউএনও সাব এই ভানটা করছে না একমাত্র তারাই সব জানে।’
বাঁধের কাজ নিয়ে শুরু থেকেই বিস্তর অভিযোগ ছিল ধর্মপাশা উপজেলার কৃষকদের। জেলার সবচেয়ে বেশি বাঁধ ধর্মপাশায়। গত মঙ্গলবার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওরের ডোবাইল বাঁধ ভেঙে ১২০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায় নিমেষেই।
এই হাওর পাড়ে কথা হয় কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। রাজাপুর গ্রামের বকতিয়ার হোসেন অপু বলেন, ‘গত তিন বছর আমাদের হাওরে বাঁধ করতে গিয়া নাটক শুরু হইছে। নীতিমালায় বলা আছে, যার জমি আছে সেই হবে পিআইসির সদস্য। কিন্তু আমাদের এখানে কয়েকটা পিআইসি হইছে যাদের একতুলা জমিও নাই এই হাওরে। টাকার বিনিময়ে পিআইসির সদস্য হইয়া আমাদের হাওরের সর্বনাশ করছে। আমরা কৃষকেরা কিছু নেতার কাছে জিম্মি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজাপুর গ্রামের অপর কৃষক বলেন, ‘বাঁধের কাজ যারা করছে তারা সবাই অমুক নেতার ভাতিজা, তমুক নেতার ভাই। এরাই নামমাত্র বাঁধের কাজ কইরা গেছে। বাঁধ সঠিক মাপমতো করছে না বলেই আমরা হাওরের ফসল তুলা নিয়া আজকা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছি।’
এদিকে হাওরের বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল শনিবার বেলা ১টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে যে ভয়ংকর অবস্থায় ছিল হাওরের। এটি কমেছে। পানির চাপও কমেছে। তবে আমরা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নই।’
হাওরের কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘এখন কাজ নিয়ে দোষাদোষীর সময় নয়, আগে হাওরের ফসল রক্ষায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে হাওরের বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’
হাওরাঞ্চলের বোরো ধান রক্ষায় এবার সুনামগঞ্জে ৭২৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে। সমন্বিতভাবে এ কাজটি করেছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ব্যয় হয় ১২১ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা খরচ করেও বাঁধগুলো রক্ষা করা গেল না। এরই মধ্যে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর জমির ধান। এ জন্য বাঁধের কাজে অনিয়মকেই দায়ী করছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার কারণেই বাঁধ নির্মাণের কাজে অনিয়ম হয়েছে। দুর্বল নির্মাণকাজের কারণে ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাঁধগুলো।
গত চার বছর ভারতের মেঘালয়ে অসময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে সুনামগঞ্জে। কৃষকেরাও স্বস্তিতে ধান গোলায় তুলতে পেরেছেন। কিন্তু এবার মেঘালয়ে গত সাত দিনে ১ হাজার ২০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে সুনামগঞ্জের শাল্লা, তাহিরপুর, দিরাই, ধর্মপাশা ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৬টি বাঁধ ভেঙে প্রায় ৫ হাজার ২০০ হেক্টর আধা পাকা ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় বাঁধ ভাঙে দিরাই উপজেলার চাপতি হাওরে। গত বৃহস্পতিবার এ হাওরের বৈশাখী বাঁধে ভাঙনের ফলে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
চাপতি হাওরে কথা হয় চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক রফু মিয়ার সঙ্গে। বাঁধের কাছে বসে চুপচাপ নিজের তলিয়ে যাওয়া জমি দেখছিলেন তিনি। রফু মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধের কাজ করেছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। যখন বাঁধের কাজ হয় তখন অনিয়ম দেখার পর আমরা বারবার বলেছি। তারপরও পিআইসির লোকজন আমরারে বাঁধের কাছেই যেতে দিছে না। আমাদের বলে, তুমরা এসব বুঝবা না।’
চণ্ডীপুর গ্রামের আরেক কৃষক মো. এমরান হোসেন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এই ভান (বৈশাখী বাঁধ) ভাঙলেও তেমন সমস্যা হইত না। চাপতি হাওরের মাঝে আরেকটা ভান আছে। ওই ভানটা (বাঁধ) যদি হইতো তাইলে হাওরের অনেক ফসল রক্ষা হইতো। কেনে যে ডিসি সাব আর ইউএনও সাব এই ভানটা করছে না একমাত্র তারাই সব জানে।’
বাঁধের কাজ নিয়ে শুরু থেকেই বিস্তর অভিযোগ ছিল ধর্মপাশা উপজেলার কৃষকদের। জেলার সবচেয়ে বেশি বাঁধ ধর্মপাশায়। গত মঙ্গলবার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওরের ডোবাইল বাঁধ ভেঙে ১২০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায় নিমেষেই।
এই হাওর পাড়ে কথা হয় কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। রাজাপুর গ্রামের বকতিয়ার হোসেন অপু বলেন, ‘গত তিন বছর আমাদের হাওরে বাঁধ করতে গিয়া নাটক শুরু হইছে। নীতিমালায় বলা আছে, যার জমি আছে সেই হবে পিআইসির সদস্য। কিন্তু আমাদের এখানে কয়েকটা পিআইসি হইছে যাদের একতুলা জমিও নাই এই হাওরে। টাকার বিনিময়ে পিআইসির সদস্য হইয়া আমাদের হাওরের সর্বনাশ করছে। আমরা কৃষকেরা কিছু নেতার কাছে জিম্মি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজাপুর গ্রামের অপর কৃষক বলেন, ‘বাঁধের কাজ যারা করছে তারা সবাই অমুক নেতার ভাতিজা, তমুক নেতার ভাই। এরাই নামমাত্র বাঁধের কাজ কইরা গেছে। বাঁধ সঠিক মাপমতো করছে না বলেই আমরা হাওরের ফসল তুলা নিয়া আজকা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছি।’
এদিকে হাওরের বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল শনিবার বেলা ১টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে যে ভয়ংকর অবস্থায় ছিল হাওরের। এটি কমেছে। পানির চাপও কমেছে। তবে আমরা সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নই।’
হাওরের কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘এখন কাজ নিয়ে দোষাদোষীর সময় নয়, আগে হাওরের ফসল রক্ষায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে হাওরের বাঁধের কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে