খাগড়াছড়ির রামগড়-মাটিরাঙ্গা সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে নির্মাণাধীন রামগড়-তানাক্কাপাড়া সীমান্ত সড়কের পিলাক ছড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের মধ্যে নগদ অর্থ হস্তান্তর করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির অধিনায়ক ও প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আমজাদ হোসেন দিদার, রামগড় ৪৩ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মনিরুল হাসান ও ২০ ইসিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এস এম খালেদুল ইসলামসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় ২৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে ফসলের ক্ষতি বাবদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লে. কর্ণেল আমজাদ হোসেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, সীমান্ত সড়ক হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে। শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষি বিপণনে ব্যাপক পরিবর্তন হবে এই অঞ্চলে বাসিন্দাদের।

অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত মিলন ত্রিপুরা বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ বাবদ ইউপি সদস্যের মাধ্যমে দশ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাদের পনেরো হাজার টাকা দিয়েছেন।’

আরেক ক্ষতিগ্রস্ত দুলাল ত্রিপুরা জানান, এই সড়ক নির্মাণ হলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী গুলো এগিয়ে আসবে। দেশের অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা রাখতে পারবে। ক্ষতিপূরণের অর্থ পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট।

ইউপি সদস্য সহায়ন ত্রিপুরা জানান, আগে এই সড়ক দিয়ে সদরে যেতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগত। রাস্তাঘাট ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় যানবাহন চলাচল কম ছিলো। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকে মারা গেছেন। এই সড়কে তাদের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দেবে। ইতিমধ্যে নির্মাণাধীন সড়কের সুফল ভোগ করছেন তারা।

প্রসঙ্গত, রামগড় সদর থেকে মাটিরাঙা উপজেলার করইল্যাছড়ি ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর সড়কটি নির্মাণ করছে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনেস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ১১ সেপ্টেম্বর পিলাকছড়াতে এর উদ্বোধন করেন প্রকল্পের উপ-সাইট ইনচার্জ ২০ ইসিবির সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।