সম্পাদকীয়
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হলো। বহু নাটকীয় ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক ডামাডোল থেকে বেরিয়ে এসে এখন অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা সবাই জানি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নানা কারণেই ভালো নয়।
রাজনীতির অর্থ যদি হয়ে থাকে দেশ ও দশের সেবা, তাহলে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো সমুন্নত রাখার চেষ্টা করা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম দায়িত্ব। আর সে দায়িত্ব পালন করার জন্যই সংসদে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা দরকার।
অর্থনৈতিক জীবনে যে কয়েকটি সংকট খোলা চোখেই দেখা যায়, তা নিয়ে আজকের পত্রিকার বাণিজ্য পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ডলার-সংকট ও এর মূল্যবৃদ্ধি নানাভাবেই সংশ্লিষ্ট মানুষদের বিচলিত করেছে এবং তাদের জীবনেও সংকট বয়ে নিয়ে আসছে।
ডলার-সংকট হওয়ায় প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিপদে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। রেমিট্যান্স প্রবাহও নানাভাবে কমে গেছে। বেশি লাভ পাওয়ার আশায় হুন্ডি বা এ ধরনের মাধ্যমে অর্থের আদান প্রদান বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইছেন ব্যবসাবান্ধব সরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এটাও দেখতে হবে, তারা নিজেরা কতটা মানববান্ধব। ব্যবসায় যে এথিকসগুলো আছে, তা আমাদের ব্যবসায়ী মহল নানা সময়ই মানেন না, এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।
ডলার-সংকট অবশ্যই অর্থনীতির গতিকে শ্লথ করেছে, কিন্তু অর্থবিষয়ক পরিকল্পনাগুলো যদি মানববান্ধব না হয়, তাহলে সেটা শুধু ব্যবসায়ীদের আখের গোছানোর কাজে লাগবে। মানুষের তাতে কোনো লাভ হবে না। তাই নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেন, তা দেখার জন্য জনসাধারণ অপেক্ষা করছে। শুধু কথায় কাজ হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই এখন জরুরি।
আর এ কথা বলার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, দুর্নীতি রাহুর মতো গ্রাস করছে অর্থনীতিকে। এটা সামাল দিতে না পারলে অর্থনীতির যে ধস নামবে, তাতে দেশের চরম সর্বনাশ হবে। ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে দেশকে বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না।
শীতকাল এসে কিছুটা হলেও মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছিল। শাকসবজি এবং মাছের দাম কিছুটা কমে আসায় সাধারণ মানুষ তা কিনে খেতে পেরেছে। গরুর মাংসের দাম নিয়ে যেসব কাণ্ড-কাহিনির জন্ম হয়েছে, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। বোঝা যায়, যদি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে অনেক কিছুই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেন করে না—সেটাই প্রশ্ন।
আমজনতা ভোট কিংবা গণতন্ত্র নিয়ে সব সময় মাথা ঘামায় না। প্রতিদিন যারা বেঁচে থাকার লড়াই করে, তাদের কাছে টিকে থাকার সংগ্রামটাই সবচেয়ে বড়। রাজনীতিতে সবই আছে, শুধু জনকল্যাণের জন্য পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ নেই। রাজনীতি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার নয়, এটি সাধারণ জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকারও। এ কথা ভুলে গেলে অন্যায় হবে। নতুন সরকার অর্থনৈতিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হলো। বহু নাটকীয় ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক ডামাডোল থেকে বেরিয়ে এসে এখন অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা সবাই জানি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নানা কারণেই ভালো নয়।
রাজনীতির অর্থ যদি হয়ে থাকে দেশ ও দশের সেবা, তাহলে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো সমুন্নত রাখার চেষ্টা করা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম দায়িত্ব। আর সে দায়িত্ব পালন করার জন্যই সংসদে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা দরকার।
অর্থনৈতিক জীবনে যে কয়েকটি সংকট খোলা চোখেই দেখা যায়, তা নিয়ে আজকের পত্রিকার বাণিজ্য পাতায় একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ডলার-সংকট ও এর মূল্যবৃদ্ধি নানাভাবেই সংশ্লিষ্ট মানুষদের বিচলিত করেছে এবং তাদের জীবনেও সংকট বয়ে নিয়ে আসছে।
ডলার-সংকট হওয়ায় প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিপদে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। রেমিট্যান্স প্রবাহও নানাভাবে কমে গেছে। বেশি লাভ পাওয়ার আশায় হুন্ডি বা এ ধরনের মাধ্যমে অর্থের আদান প্রদান বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইছেন ব্যবসাবান্ধব সরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীদের এটাও দেখতে হবে, তারা নিজেরা কতটা মানববান্ধব। ব্যবসায় যে এথিকসগুলো আছে, তা আমাদের ব্যবসায়ী মহল নানা সময়ই মানেন না, এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।
ডলার-সংকট অবশ্যই অর্থনীতির গতিকে শ্লথ করেছে, কিন্তু অর্থবিষয়ক পরিকল্পনাগুলো যদি মানববান্ধব না হয়, তাহলে সেটা শুধু ব্যবসায়ীদের আখের গোছানোর কাজে লাগবে। মানুষের তাতে কোনো লাভ হবে না। তাই নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেন, তা দেখার জন্য জনসাধারণ অপেক্ষা করছে। শুধু কথায় কাজ হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই এখন জরুরি।
আর এ কথা বলার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, দুর্নীতি রাহুর মতো গ্রাস করছে অর্থনীতিকে। এটা সামাল দিতে না পারলে অর্থনীতির যে ধস নামবে, তাতে দেশের চরম সর্বনাশ হবে। ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে দেশকে বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না।
শীতকাল এসে কিছুটা হলেও মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছিল। শাকসবজি এবং মাছের দাম কিছুটা কমে আসায় সাধারণ মানুষ তা কিনে খেতে পেরেছে। গরুর মাংসের দাম নিয়ে যেসব কাণ্ড-কাহিনির জন্ম হয়েছে, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। বোঝা যায়, যদি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে অনেক কিছুই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কেন করে না—সেটাই প্রশ্ন।
আমজনতা ভোট কিংবা গণতন্ত্র নিয়ে সব সময় মাথা ঘামায় না। প্রতিদিন যারা বেঁচে থাকার লড়াই করে, তাদের কাছে টিকে থাকার সংগ্রামটাই সবচেয়ে বড়। রাজনীতিতে সবই আছে, শুধু জনকল্যাণের জন্য পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ নেই। রাজনীতি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার নয়, এটি সাধারণ জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকারও। এ কথা ভুলে গেলে অন্যায় হবে। নতুন সরকার অর্থনৈতিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে