তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ১৭ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিং রয়েছে নয়টি। এগুলোর মধ্যে আটটিই আছে অরক্ষিত অবস্থায়। এসব লেভেল ক্রসিংয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও মানুষ। রেলের পক্ষ থেকে সেখানে শুধু সতর্কতামূলক নোটিশ টাঙিয়ে দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ ১৯৬৮ সালে রেল যোগাযোগব্যবস্থার আওতায় আসে। জেলায় স্টেশন আছে তিনটি।
বর্তমানে এখানে একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, বাংলাবান্ধা ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। গত কয়েক বছরে জেলায় রেলপথের অনেক উন্নয়ন হলেও লেভেল ক্রসিংগুলো নিরাপদ করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, নয়টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে শুধু কিসমত স্টেশনসংলগ্ন ক্রসিংয়ে গেটম্যান রয়েছে। বাকি আটটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ফলে রেললাইন পার হতে গিয়ে স্থানীয় মানুষ চরম বিপাকে পড়ছেন।
জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ ঝলইহাট-আমলারহার। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত যানবাহন। সড়কটিতে একটি লেভেল ক্রসিং থাকলেও কোনো গেটম্যান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।
একই চিত্র দেখা যায় নয়নীবুরুজ রেলস্টেশন-সংলগ্ন ক্রসিংয়ে। সেখানেও নেই কোনো গেটম্যান। এখানে ২০১৯ সালে রেলপথ পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্রসিং এলাকার আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন কাছে চলে এলেও বুঝতে পারেন না পথচারীরা।
এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আতঙ্কে থাকেন তাঁরা।
নয়নীবুরুজ এলাকার বাসিন্দা হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই গেট পার হওয়ার সময় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’
একই দুর্ভোগের কথা বলেন টেংগনমারী লেভেল ক্রসিং এলাকার তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গেটম্যান ও সিগন্যালের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন কখন আসে, তা আমরা বুঝতেই পারি না।’
সাইফুল ইসলাম শান্তি নামের এক পথচারী বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুত ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময় আমরা এ দাবি জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেল বিভাগ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জনবলের অভাবে প্রতিটি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গেটম্যানবিহীন ক্রসিংগুলো নিরাপদ করতে রেলপথের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেটম্যানের সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে।’
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ১৭ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিং রয়েছে নয়টি। এগুলোর মধ্যে আটটিই আছে অরক্ষিত অবস্থায়। এসব লেভেল ক্রসিংয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন ও মানুষ। রেলের পক্ষ থেকে সেখানে শুধু সতর্কতামূলক নোটিশ টাঙিয়ে দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ ১৯৬৮ সালে রেল যোগাযোগব্যবস্থার আওতায় আসে। জেলায় স্টেশন আছে তিনটি।
বর্তমানে এখানে একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, বাংলাবান্ধা ও দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে। গত কয়েক বছরে জেলায় রেলপথের অনেক উন্নয়ন হলেও লেভেল ক্রসিংগুলো নিরাপদ করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, নয়টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে শুধু কিসমত স্টেশনসংলগ্ন ক্রসিংয়ে গেটম্যান রয়েছে। বাকি আটটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ফলে রেললাইন পার হতে গিয়ে স্থানীয় মানুষ চরম বিপাকে পড়ছেন।
জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ ঝলইহাট-আমলারহার। এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত যানবাহন। সড়কটিতে একটি লেভেল ক্রসিং থাকলেও কোনো গেটম্যান না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।
একই চিত্র দেখা যায় নয়নীবুরুজ রেলস্টেশন-সংলগ্ন ক্রসিংয়ে। সেখানেও নেই কোনো গেটম্যান। এখানে ২০১৯ সালে রেলপথ পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্রসিং এলাকার আশপাশে বাড়িসহ নানা স্থাপনা থাকার কারণে অনেক সময় ট্রেন কাছে চলে এলেও বুঝতে পারেন না পথচারীরা।
এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়ার আতঙ্কে থাকেন তাঁরা।
নয়নীবুরুজ এলাকার বাসিন্দা হাসেম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই গেট পার হওয়ার সময় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে। তারপরও গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।’
একই দুর্ভোগের কথা বলেন টেংগনমারী লেভেল ক্রসিং এলাকার তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গেটম্যান ও সিগন্যালের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন কখন আসে, তা আমরা বুঝতেই পারি না।’
সাইফুল ইসলাম শান্তি নামের এক পথচারী বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুত ক্রসিংয়ে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই। বিভিন্ন সময় আমরা এ দাবি জানালেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেল বিভাগ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘জনবলের অভাবে প্রতিটি ক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গেটম্যানবিহীন ক্রসিংগুলো নিরাপদ করতে রেলপথের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেটম্যানের সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে