যশোর প্রতিনিধি
যশোরে সরকার নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস মিলছে না। ভোক্তারা বলছেন, সরকার ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৯১ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ১ হাজার ৪৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, ডিপো থেকে চাহিদা অনুযায়ী সিলিন্ডার সরবরাহ না করায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে আমদানিকারক ও পরিবেশকেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাসবাহী জাহাজ আটকে আছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে গ্যাসের দাম আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে সময় ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২২৮ টাকা। প্রায় তিন মাস বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামেই সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ১২ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। পরে ৩ মার্চ সরকার গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১ হাজার ৩৯১ টাকা। এরপরও ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০-৬০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে দাম।
শামীম হোসেন নামের এক হোটেল মালিক বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি হোটেলের জন্য ১ হাজার ২৪০ টাকায় ১২ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডার নিই। অথচ গত বৃহস্পতিবার সেই সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে ১ হাজার ৪৪০ টাকায়। মাসে আমার হোটেলে অন্তত ১২-১৪টি গ্যাসের সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়। দাম যদি এমনই থাকে তাহলে আমাকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ২ হাজার ৪০০-২ হাজার ৮০০ টাকা গুনতে হবে।’
রিয়াজুল কবীর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘১ মার্চ গ্যাস কিনতে আমাকে চারটি দোকান ঘুরতে হয়েছে। দোকানে সিলিন্ডার থাকার পরও নেই জানিয়ে দোকানিরা বিক্রি করেননি। অবশেষে ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে একটি ১২ কেজির সিলিন্ডার পেয়েছিলাম। পরে শুনেছি, দাম আরও ৫০ টাকা বেড়েছে।’
রফিকুল ইসলাম নামের এক দোকানি বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিক থেকেই গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এরপর ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁদের ফোন বন্ধ করে দেন। এদিকে চাহিদা থাকায় দোকানে স্টক করে রাখা সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিছুদিন পর গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা বললেন, গ্যাস আসছে না। নতুন চালান নিতে হলে আমাদের অতিরিক্ত ১৫০ টাকা দিতে হবে। পরে ৩ মার্চ সরকার গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় ১ হাজার ৩৯১ টাকা। আমরা সে অনুযায়ী দাম নিচ্ছি।’
ইমরান হোসেন নামের আরেক গ্যাস বিক্রেতা বলেন, ‘৫ বছরের মধ্যে যশোরে সর্বোচ্চ দামে গ্যাস বিকিকিনি হচ্ছে। বর্তমানে ডিপো থেকে গ্যাস আসার পর ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার আনুষঙ্গিক খরচসহ ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
যশোর জ্বালানি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ডিপো ও কোম্পানি প্রতিনিধিরা আমাদের বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। সমুদ্র পথে জ্বালানি তেল ও গ্যাসবাহী জাহাজ আটকে থাকায় তাঁরা সরবরাহ পাচ্ছেন না। যে কারণে দেশের বাজারে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।’
কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘যশোরে প্রতি মাসে বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৫০ হাজার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে আমরা যে দামে কিনছি তা থেকে কমিশন ছাড়া ভোক্তার বাড়ির পৌঁছানোর পরিবহন খরচ বাবদ ২০-৩০ টাকা বেশি নিচ্ছি। অবশ্য ভোক্তা নিজে সিলিন্ডার পরিবহন করলে ওই টাকাটা দেওয়া লাগছে না।’
যশোরের গ্যাস আমদানিকারক এস কে ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউরোপ আমাদের বাজারের চাহিদার ২৫ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাসের দাম বেড়ে ৮৯৪ ডলারে এসে ঠেকেছে, যে কারণে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।’
মো. হাদিউজ্জামান আরও বলেন, ‘এর থেকেও বড় সমস্যা সামনে আসছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সাগরে আটকে থাকা গ্যাসবাহী জাহাজগুলো দেশে আসতে পারবে না। তখন গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশে জ্বালানি গ্যাসের মজুত সীমিত হতে থাকবে। একপর্যায়ে মাসখানেকের ভেতর দু-একটি কোম্পানি বাদে অন্যরা গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না।’
যশোরে সরকার নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস মিলছে না। ভোক্তারা বলছেন, সরকার ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৯১ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ১ হাজার ৪৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, ডিপো থেকে চাহিদা অনুযায়ী সিলিন্ডার সরবরাহ না করায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে আমদানিকারক ও পরিবেশকেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গ্যাসবাহী জাহাজ আটকে আছে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে গ্যাসের দাম আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে সময় ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২২৮ টাকা। প্রায় তিন মাস বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামেই সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ১২ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। পরে ৩ মার্চ সরকার গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১ হাজার ৩৯১ টাকা। এরপরও ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০-৬০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে দাম।
শামীম হোসেন নামের এক হোটেল মালিক বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি হোটেলের জন্য ১ হাজার ২৪০ টাকায় ১২ কেজির একটি গ্যাস সিলিন্ডার নিই। অথচ গত বৃহস্পতিবার সেই সিলিন্ডার কিনতে হয়েছে ১ হাজার ৪৪০ টাকায়। মাসে আমার হোটেলে অন্তত ১২-১৪টি গ্যাসের সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়। দাম যদি এমনই থাকে তাহলে আমাকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ২ হাজার ৪০০-২ হাজার ৮০০ টাকা গুনতে হবে।’
রিয়াজুল কবীর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘১ মার্চ গ্যাস কিনতে আমাকে চারটি দোকান ঘুরতে হয়েছে। দোকানে সিলিন্ডার থাকার পরও নেই জানিয়ে দোকানিরা বিক্রি করেননি। অবশেষে ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে একটি ১২ কেজির সিলিন্ডার পেয়েছিলাম। পরে শুনেছি, দাম আরও ৫০ টাকা বেড়েছে।’
রফিকুল ইসলাম নামের এক দোকানি বলেন, ‘গত বছরের শেষের দিক থেকেই গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এরপর ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাঁদের ফোন বন্ধ করে দেন। এদিকে চাহিদা থাকায় দোকানে স্টক করে রাখা সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিছুদিন পর গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা বললেন, গ্যাস আসছে না। নতুন চালান নিতে হলে আমাদের অতিরিক্ত ১৫০ টাকা দিতে হবে। পরে ৩ মার্চ সরকার গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয় ১ হাজার ৩৯১ টাকা। আমরা সে অনুযায়ী দাম নিচ্ছি।’
ইমরান হোসেন নামের আরেক গ্যাস বিক্রেতা বলেন, ‘৫ বছরের মধ্যে যশোরে সর্বোচ্চ দামে গ্যাস বিকিকিনি হচ্ছে। বর্তমানে ডিপো থেকে গ্যাস আসার পর ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার আনুষঙ্গিক খরচসহ ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
যশোর জ্বালানি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ডিপো ও কোম্পানি প্রতিনিধিরা আমাদের বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। সমুদ্র পথে জ্বালানি তেল ও গ্যাসবাহী জাহাজ আটকে থাকায় তাঁরা সরবরাহ পাচ্ছেন না। যে কারণে দেশের বাজারে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে।’
কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, ‘যশোরে প্রতি মাসে বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৫০ হাজার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে আমরা যে দামে কিনছি তা থেকে কমিশন ছাড়া ভোক্তার বাড়ির পৌঁছানোর পরিবহন খরচ বাবদ ২০-৩০ টাকা বেশি নিচ্ছি। অবশ্য ভোক্তা নিজে সিলিন্ডার পরিবহন করলে ওই টাকাটা দেওয়া লাগছে না।’
যশোরের গ্যাস আমদানিকারক এস কে ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউরোপ আমাদের বাজারের চাহিদার ২৫ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে গ্যাসের দাম বেড়ে ৮৯৪ ডলারে এসে ঠেকেছে, যে কারণে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।’
মো. হাদিউজ্জামান আরও বলেন, ‘এর থেকেও বড় সমস্যা সামনে আসছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সাগরে আটকে থাকা গ্যাসবাহী জাহাজগুলো দেশে আসতে পারবে না। তখন গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশে জ্বালানি গ্যাসের মজুত সীমিত হতে থাকবে। একপর্যায়ে মাসখানেকের ভেতর দু-একটি কোম্পানি বাদে অন্যরা গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে