রানা আব্বাস, ঢাকা
দেশের ক্রিকেটে কথাটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান টেস্ট খেলতে আগ্রহী নন। এই সংস্করণ তিনি খুব একটা উপভোগ করেন না। বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) গত দুই বছর বাঁহাতি পেসারকে রাখছে না লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। গত কয়েক দিনে মোস্তাফিজের টেস্ট খেলার প্রসঙ্গটা আবার সামনে এসেছে। বিশেষ করে ছন্দে থাকা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর শরীফুল ইসলাম চোটে পড়ায়।
আগামী মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করতে মোস্তাফিজকে আইপিএল থেকে ফেরানো হবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। দুই দিন আগে নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক অবশ্য জানিয়েছেন, বাঁহাতি পেসারকে ছুটিই দেওয়া হয়েছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে। নিজের টেস্ট খেলা-না খেলা নিয়ে ফিজ অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে খোলাসা করেছেন কমই। এখনো খুব বেশি কিছু বলতে চান না। তবে আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মোস্তাফিজ মুম্বাই থেকে ফোনে যতটুকু বলেছেন, তাতেই টেস্ট খেলা-না খেলা নিয়ে তাঁর ভাবনা সম্পর্কে একটা ধারণা মিলবে।
টেস্ট নিয়ে মোস্তাফিজের ভাবনা আসলে কী
‘টেস্ট খেলতে চাই কি চাই না, এটা যদি ক্রিকেট বোর্ড আমার কাছে জানতে চায়, সেখানেই নিজের ভাবনা জানাব। সাধারণত দেখি (জাতীয় দলে) আমার সিনিয়র ভাইয়েরা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে থাকেন (নির্দিষ্ট সংস্করণে খেলা-না খেলা নিয়ে)। আমিও সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। যদিও তিনি আমার ব্যাপারটা ভালো করেই জানেন। বিসিবি এ ব্যাপারে আমাকে কখনো জোর করেনি। বিসিবির বর্তমান লাল বলের চুক্তিতেও আমি নেই।’
টেস্ট থেকে দূরে থাকার মূল কারণ
‘সুস্থ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিতে চাই, তাহলে আমার ফিট থাকা জরুরি। আর ফিট থাকতে হলে তিন সংস্করণের মধ্যে বেছে খেলাটাই সেরা উপায় মনে করি। এ ক্ষেত্রে কোন বলে আমার সাফল্য তুলনামূলক বেশি, সেটা দেখে সংস্করণ বাছাই করছি। রেকর্ড বলে, আমার সাফল্য বেশি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে। সে হিসেবে এই দুই সংস্করণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। আর বিশ্ব ক্রিকেটের অনেককেই দেখুন, ক্যারিয়ার লম্বা করতে সংস্করণ বেছে খেলছে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে কোনো দলও হয় না।’
মোস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে যে প্রভাব পড়ে
‘আমি থাকলেই পেস বোলিং ইউনিট অনেক শক্তিশালী হবে, এভাবে না ভেবে যদি এভাবে ভাবা যায়, সাদা ও লাল বলে আমাদের দুটো শক্তিশালী পেস বোলিং গ্রুপ থাকবে। এতে বোলারদের কাজের চাপে (ওয়ার্ক লোড) যেমন ভারসাম্য আসবে, পেসাররাও ধারাবাহিক ভালো করবে। জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নতুনদের সুযোগ দিয়ে তাদের সামর্থ্য দেখা যেতে পারে। বেশি বেশি সুযোগ না দিলে একজন নতুন বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? সে কি শুধুই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে?’
শুধু আর্থিক কারণেই কি আইপিএল বেশি আকর্ষণীয়
‘আইপিএলে প্রতিটি দলই হয় খুব শক্তিশালী। একটা দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই বিশ্বমানের। তাদের বিপক্ষে খেলে কিছু না কিছু ধারণা আসবে, কিছু না কিছু শেখা হবে। আপনি বিশ্বমানের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করছেন। সেখানে খেলছেন। সব মিলিয়ে আপনার একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, আইপিএল কখনো জাতীয় দলের চেয়ে বড় নয়। ২০২০ আইপিএলে সুযোগ পেয়েও কিন্তু খেলিনি। তখন আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সফর ছিল (সফরটা তখন আর হয়নি, হয়েছে গত বছর এপ্রিলে)। সব সময়ই জাতীয় দলকেই প্রাধান্য দিয়েছি।’
মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কিত পড়ুন:
দেশের ক্রিকেটে কথাটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান টেস্ট খেলতে আগ্রহী নন। এই সংস্করণ তিনি খুব একটা উপভোগ করেন না। বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) গত দুই বছর বাঁহাতি পেসারকে রাখছে না লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। গত কয়েক দিনে মোস্তাফিজের টেস্ট খেলার প্রসঙ্গটা আবার সামনে এসেছে। বিশেষ করে ছন্দে থাকা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর শরীফুল ইসলাম চোটে পড়ায়।
আগামী মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করতে মোস্তাফিজকে আইপিএল থেকে ফেরানো হবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। দুই দিন আগে নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক অবশ্য জানিয়েছেন, বাঁহাতি পেসারকে ছুটিই দেওয়া হয়েছে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে। নিজের টেস্ট খেলা-না খেলা নিয়ে ফিজ অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে খোলাসা করেছেন কমই। এখনো খুব বেশি কিছু বলতে চান না। তবে আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মোস্তাফিজ মুম্বাই থেকে ফোনে যতটুকু বলেছেন, তাতেই টেস্ট খেলা-না খেলা নিয়ে তাঁর ভাবনা সম্পর্কে একটা ধারণা মিলবে।
টেস্ট নিয়ে মোস্তাফিজের ভাবনা আসলে কী
‘টেস্ট খেলতে চাই কি চাই না, এটা যদি ক্রিকেট বোর্ড আমার কাছে জানতে চায়, সেখানেই নিজের ভাবনা জানাব। সাধারণত দেখি (জাতীয় দলে) আমার সিনিয়র ভাইয়েরা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে থাকেন (নির্দিষ্ট সংস্করণে খেলা-না খেলা নিয়ে)। আমিও সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। যদিও তিনি আমার ব্যাপারটা ভালো করেই জানেন। বিসিবি এ ব্যাপারে আমাকে কখনো জোর করেনি। বিসিবির বর্তমান লাল বলের চুক্তিতেও আমি নেই।’
টেস্ট থেকে দূরে থাকার মূল কারণ
‘সুস্থ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিতে চাই, তাহলে আমার ফিট থাকা জরুরি। আর ফিট থাকতে হলে তিন সংস্করণের মধ্যে বেছে খেলাটাই সেরা উপায় মনে করি। এ ক্ষেত্রে কোন বলে আমার সাফল্য তুলনামূলক বেশি, সেটা দেখে সংস্করণ বাছাই করছি। রেকর্ড বলে, আমার সাফল্য বেশি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে। সে হিসেবে এই দুই সংস্করণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। আর বিশ্ব ক্রিকেটের অনেককেই দেখুন, ক্যারিয়ার লম্বা করতে সংস্করণ বেছে খেলছে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে কোনো দলও হয় না।’
মোস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে যে প্রভাব পড়ে
‘আমি থাকলেই পেস বোলিং ইউনিট অনেক শক্তিশালী হবে, এভাবে না ভেবে যদি এভাবে ভাবা যায়, সাদা ও লাল বলে আমাদের দুটো শক্তিশালী পেস বোলিং গ্রুপ থাকবে। এতে বোলারদের কাজের চাপে (ওয়ার্ক লোড) যেমন ভারসাম্য আসবে, পেসাররাও ধারাবাহিক ভালো করবে। জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নতুনদের সুযোগ দিয়ে তাদের সামর্থ্য দেখা যেতে পারে। বেশি বেশি সুযোগ না দিলে একজন নতুন বোলার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? সে কি শুধুই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে?’
শুধু আর্থিক কারণেই কি আইপিএল বেশি আকর্ষণীয়
‘আইপিএলে প্রতিটি দলই হয় খুব শক্তিশালী। একটা দলের ১১ জন খেলোয়াড়ই বিশ্বমানের। তাদের বিপক্ষে খেলে কিছু না কিছু ধারণা আসবে, কিছু না কিছু শেখা হবে। আপনি বিশ্বমানের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করছেন। সেখানে খেলছেন। সব মিলিয়ে আপনার একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ, আইপিএল কখনো জাতীয় দলের চেয়ে বড় নয়। ২০২০ আইপিএলে সুযোগ পেয়েও কিন্তু খেলিনি। তখন আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সফর ছিল (সফরটা তখন আর হয়নি, হয়েছে গত বছর এপ্রিলে)। সব সময়ই জাতীয় দলকেই প্রাধান্য দিয়েছি।’
মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কিত পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৬ ঘণ্টা আগে