মির্জাপুর প্রতিনিধি
মির্জাপুরে হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে মাথায় হাত পড়েছে চাষির। এ ছাড়া নদীতে ছাটা ফেলে চাষ করা মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি ক্রমেই বাড়ছে, এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, এ উপজেলার ওপর দিয়ে ঝিনাই ও বংশাই নদ প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীতে চর জেগে ওঠে। বিস্তীর্ণ এসব চরে স্থানীয় চাষিরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করে থাকেন। এ বছরও নানা আবাদ করেছিলেন এ অঞ্চলের চাষিরা। কিন্তু হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে শেওরাতৈল, টেংরাপাড়া, প্যাচপাড়া; বান্দরমারা তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা, রামপুর ফতেপুর ইউনিয়নের চাকলেশ্বর, নিচিন্দপুর, সুতানড়ী, ফতেপুর, থলপাড়া ও বানকাটা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধানসহ আবাদ করা সেসব সবজি জোয়ারের পনিতে তলিয়ে গেছে। এতে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আধা পাকা ধান ও সবজি কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিন দিন আগেও যেখানে সবুজের সমারোহ ছিল, এখন সেখানে জোয়ারের পানি থই থই করছে। চাকলেশ্বর গ্রামের রহম সিদ্দিকী, আবুবক্কর মৃধা, করম সিদ্দিকী, মান্নান মৃধা, নাসির মৃধা, শেওরাতৈল গ্রামের গৌর সরকার, হারাধন ও প্রহল্লাদের আধা পাকা বোরো ধান ও ফলন্ত করলাখেত আগাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শেওড়াতৈল গ্রামের কিষানি আমিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ২০ হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেছি, কিন্তু অসময়ের পানিতে সব শেষ হয়ে গেছে।’ বোরো চাষি দুর্লভ সরকার বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে ২৯ জাতের ধান এবং ১০ শতাংশ জমিতে পোলাওয়ের ধান চাষ করেছিলাম। জোয়ারের পানিতে আমার আধা পাকা সব ধান তলিয়ে গেছে।’ সারা বছর কী খাবেন, তা নিয়েও চিন্তিত বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ঝিনাই ও বংশাই নদে ছাটা ফেলে চাষ করা সব মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বলে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি আব্দুর রউফ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, অসময়ে নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিসের লোকজন এলাকায় গিয়ে ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত সোমবার পানি বৃদ্ধিতে যে ক্ষতি হয়, গত মঙ্গলবার তা আরও বেড়েছে। এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মির্জাপুর জোনের প্রকৌশলী গোলাম ফারোয়ার জানান, উজানে ব্যাপক ঢল হয়েছে। সেই পানি নেমে আসায় অসময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মির্জাপুরে হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে মাথায় হাত পড়েছে চাষির। এ ছাড়া নদীতে ছাটা ফেলে চাষ করা মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি ক্রমেই বাড়ছে, এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, এ উপজেলার ওপর দিয়ে ঝিনাই ও বংশাই নদ প্রবাহিত হয়েছে। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীতে চর জেগে ওঠে। বিস্তীর্ণ এসব চরে স্থানীয় চাষিরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করে থাকেন। এ বছরও নানা আবাদ করেছিলেন এ অঞ্চলের চাষিরা। কিন্তু হঠাৎ নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে শেওরাতৈল, টেংরাপাড়া, প্যাচপাড়া; বান্দরমারা তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা, রামপুর ফতেপুর ইউনিয়নের চাকলেশ্বর, নিচিন্দপুর, সুতানড়ী, ফতেপুর, থলপাড়া ও বানকাটা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধানসহ আবাদ করা সেসব সবজি জোয়ারের পনিতে তলিয়ে গেছে। এতে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আধা পাকা ধান ও সবজি কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিন দিন আগেও যেখানে সবুজের সমারোহ ছিল, এখন সেখানে জোয়ারের পানি থই থই করছে। চাকলেশ্বর গ্রামের রহম সিদ্দিকী, আবুবক্কর মৃধা, করম সিদ্দিকী, মান্নান মৃধা, নাসির মৃধা, শেওরাতৈল গ্রামের গৌর সরকার, হারাধন ও প্রহল্লাদের আধা পাকা বোরো ধান ও ফলন্ত করলাখেত আগাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শেওড়াতৈল গ্রামের কিষানি আমিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ২০ হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেছি, কিন্তু অসময়ের পানিতে সব শেষ হয়ে গেছে।’ বোরো চাষি দুর্লভ সরকার বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে ২৯ জাতের ধান এবং ১০ শতাংশ জমিতে পোলাওয়ের ধান চাষ করেছিলাম। জোয়ারের পানিতে আমার আধা পাকা সব ধান তলিয়ে গেছে।’ সারা বছর কী খাবেন, তা নিয়েও চিন্তিত বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ঝিনাই ও বংশাই নদে ছাটা ফেলে চাষ করা সব মাছ ও ছাটা জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বলে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি আব্দুর রউফ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, অসময়ে নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিসের লোকজন এলাকায় গিয়ে ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত সোমবার পানি বৃদ্ধিতে যে ক্ষতি হয়, গত মঙ্গলবার তা আরও বেড়েছে। এতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মির্জাপুর জোনের প্রকৌশলী গোলাম ফারোয়ার জানান, উজানে ব্যাপক ঢল হয়েছে। সেই পানি নেমে আসায় অসময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে