তোফাজ্জল হোসেন রুবেল মালয়েশিয়া থেকে ফিরে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক সৌরভের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারির সময়। ফলে পাসপোর্টের জন্য তিনি হাইকমিশনে নিয়মমাফিক ফি জমা দিয়ে আবেদন করেন। কয়েক মাস পর হাইকমিশনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর আবেদন হারিয়ে গেছে। সৌরভ বলেন, ‘পরে ৫০০ রিঙ্গিত ঘুষ দিলাম এক দালালকে। তিন মাস পরই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। দালাল ছাড়া গেলে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ হয়ে যায়।’
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক আছেন সাড়ে ১০ লাখের মতো। তাঁদের কারও পাসপোর্ট দরকার হলে হাইকমিশনে সরকারি ফি বাবদ ১৪৫ রিঙ্গিত (প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টাকা) জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট দেওয়ার কাজটি অতি জরুরি সেবার আওতায় পড়লেও বাস্তবে নিয়মমাফিক ফি জমা দিয়ে আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তা পাওয়া যায় না।
বাধ্য হয়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট পেতে দালাল চক্রের সাহায্য নিতে হয়। দালালেরা একটি পাসপোর্টের জন্য ৬০০ রিঙ্গিত (প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা) পর্যন্ত নিয়ে থাকে। হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্ধারিত দালালকে ৬০০ রিঙ্গিত দিলে কোনো কাগজপত্রেরও প্রয়োজন হয় না। একই অবস্থা ওয়ার্ক পারমিট (বিদেশে কাজ করার অনুমতি) প্রত্যয়নের ক্ষেত্রেও। এ ছাড়া কোনো সদ্যোজাত শিশুর জন্য সনদ দরকার হলে ঘুষের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের লেবার মিনিস্টার (অতিরিক্ত সচিব) নাজমুস সাদাত সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে আসলে কে কীভাবে কাজ করায়, তা জানি না। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারে না। তারা বাধ্য হয়ে কারও না কারও সহযোগিতা নেয়। সেখানে সরকারি ফির বাইরে গিয়ে টাকা লাগলেও লাগতে পারে।’
প্রবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ, পাসপোর্ট নিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, কাজ না পাওয়া, নানা অজুহাতে পারিশ্রমিক কেটে নেওয়া, কোনো শ্রমিক মারা গেলে লাশ দেশে পাঠানোসহ কোনো কাজেই সহযোগিতা পাওয়া যায় না হাইকমিশনের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কাজের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দালাল চক্র আছে।হাইকমিশনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এরা তৎপরতা চালায়। এদের কারও কারও মাসিক আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।চক্রের প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে পরিচিত নয়ন, বাবলু, লিটন, মাসুদ ও অনিক। এদের প্রত্যেকে মাঠ পর্যায় থেকে আরেকটি গ্রুপের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও অর্থ সংগ্রহ করে। তারা পাসপোর্টের জন্য ৬০০ রিঙ্গিত করে নেয়। এর মধ্যে সরকারি ফিসহ ৫০০ রিঙ্গিত দিতে হয় পাসপোর্ট কর্মকর্তাকে, আর ১০০ রিঙ্গিত পায় মাঠ পর্যায়ের দালাল।
এমনই একজন দালাল রেজাউল করিম। বুকিং বিনটাং এলাকায় পরিচয় গোপন করে কথা বলে জানা যায়, আট বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল। শ্রমিক হিসেবে কাজ করার একপর্যায়ে হাইকমিশনের লোকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই সুবাদে তিনি পাসপোর্টের দালালি শুরু করেন। এখন এটিই তাঁর মূল পেশা। রেজাউল করিম বলেন, ‘একটা পাসপোর্ট স্বাভাবিক নিয়মে করতে গেলে ৬ থেকে ৭ মাস লাগে। আর আমার মাধ্যমে করানো হলে ২ মাসে করে হাতে দিয়ে দেব। এখানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস, বিমানবন্দরে ডেসপাস, পুলিশসহ সব জায়গায় টাকা দিতে হয়। নতুন পাসপোর্টের জন্য মালয়েশিয়া পুলিশকেও ঘুষ দিতে হয়।’
একাধিক শ্রমিক জানান, বড় দালালেরা সরাসরি হাইকমিশনে যায় না। তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলে সাক্ষাৎ করে। বেশির ভাগ দালালের একাধিক এলাকায় ফ্ল্যাট আছে।
প্রবাসী শ্রমিক ডালিম ১৫ জুলাই কেলাং এলাকা থেকে পাসপোর্ট নিতে হাইকমিশনে যান। তিনি বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। এখন ডাকযোগে পাসপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু ৬ মাস পার হলেও তা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে আজ খোঁজ নিতে এলাম। আসা-যাওয়ায় ১৬০ রিঙ্গিত খরচ। আবার ছুটি নেওয়ায় এক দিনের বেতন ১২০ রিঙ্গিত কেটে নেবে মালিক। সব মিলিয়ে অনেক টাকা খরচ। ১০ মিনিটে পাসপোর্ট দিতে পারত, কিন্তু তা না করে বলে দিল, আজ হবে না।’
আরেক শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হয়। পাসপোর্ট ছাড়াও কারও শিশুসন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য গুনতে হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। নতুন শ্রমিকের ওয়ার্ক পারমিট অ্যাটেসটেশন (প্রত্যয়ন) নিতে হলে ঘুষের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক সৌরভের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারির সময়। ফলে পাসপোর্টের জন্য তিনি হাইকমিশনে নিয়মমাফিক ফি জমা দিয়ে আবেদন করেন। কয়েক মাস পর হাইকমিশনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর আবেদন হারিয়ে গেছে। সৌরভ বলেন, ‘পরে ৫০০ রিঙ্গিত ঘুষ দিলাম এক দালালকে। তিন মাস পরই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। দালাল ছাড়া গেলে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ হয়ে যায়।’
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক আছেন সাড়ে ১০ লাখের মতো। তাঁদের কারও পাসপোর্ট দরকার হলে হাইকমিশনে সরকারি ফি বাবদ ১৪৫ রিঙ্গিত (প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টাকা) জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট দেওয়ার কাজটি অতি জরুরি সেবার আওতায় পড়লেও বাস্তবে নিয়মমাফিক ফি জমা দিয়ে আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তা পাওয়া যায় না।
বাধ্য হয়ে প্রবাসীদের পাসপোর্ট পেতে দালাল চক্রের সাহায্য নিতে হয়। দালালেরা একটি পাসপোর্টের জন্য ৬০০ রিঙ্গিত (প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা) পর্যন্ত নিয়ে থাকে। হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্ধারিত দালালকে ৬০০ রিঙ্গিত দিলে কোনো কাগজপত্রেরও প্রয়োজন হয় না। একই অবস্থা ওয়ার্ক পারমিট (বিদেশে কাজ করার অনুমতি) প্রত্যয়নের ক্ষেত্রেও। এ ছাড়া কোনো সদ্যোজাত শিশুর জন্য সনদ দরকার হলে ঘুষের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের লেবার মিনিস্টার (অতিরিক্ত সচিব) নাজমুস সাদাত সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে আসলে কে কীভাবে কাজ করায়, তা জানি না। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারে না। তারা বাধ্য হয়ে কারও না কারও সহযোগিতা নেয়। সেখানে সরকারি ফির বাইরে গিয়ে টাকা লাগলেও লাগতে পারে।’
প্রবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ, পাসপোর্ট নিয়ে ঘুষ-বাণিজ্য ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, কাজ না পাওয়া, নানা অজুহাতে পারিশ্রমিক কেটে নেওয়া, কোনো শ্রমিক মারা গেলে লাশ দেশে পাঠানোসহ কোনো কাজেই সহযোগিতা পাওয়া যায় না হাইকমিশনের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কাজের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দালাল চক্র আছে।হাইকমিশনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এরা তৎপরতা চালায়। এদের কারও কারও মাসিক আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।চক্রের প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে পরিচিত নয়ন, বাবলু, লিটন, মাসুদ ও অনিক। এদের প্রত্যেকে মাঠ পর্যায় থেকে আরেকটি গ্রুপের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও অর্থ সংগ্রহ করে। তারা পাসপোর্টের জন্য ৬০০ রিঙ্গিত করে নেয়। এর মধ্যে সরকারি ফিসহ ৫০০ রিঙ্গিত দিতে হয় পাসপোর্ট কর্মকর্তাকে, আর ১০০ রিঙ্গিত পায় মাঠ পর্যায়ের দালাল।
এমনই একজন দালাল রেজাউল করিম। বুকিং বিনটাং এলাকায় পরিচয় গোপন করে কথা বলে জানা যায়, আট বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল। শ্রমিক হিসেবে কাজ করার একপর্যায়ে হাইকমিশনের লোকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই সুবাদে তিনি পাসপোর্টের দালালি শুরু করেন। এখন এটিই তাঁর মূল পেশা। রেজাউল করিম বলেন, ‘একটা পাসপোর্ট স্বাভাবিক নিয়মে করতে গেলে ৬ থেকে ৭ মাস লাগে। আর আমার মাধ্যমে করানো হলে ২ মাসে করে হাতে দিয়ে দেব। এখানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস, বিমানবন্দরে ডেসপাস, পুলিশসহ সব জায়গায় টাকা দিতে হয়। নতুন পাসপোর্টের জন্য মালয়েশিয়া পুলিশকেও ঘুষ দিতে হয়।’
একাধিক শ্রমিক জানান, বড় দালালেরা সরাসরি হাইকমিশনে যায় না। তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলে সাক্ষাৎ করে। বেশির ভাগ দালালের একাধিক এলাকায় ফ্ল্যাট আছে।
প্রবাসী শ্রমিক ডালিম ১৫ জুলাই কেলাং এলাকা থেকে পাসপোর্ট নিতে হাইকমিশনে যান। তিনি বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। এখন ডাকযোগে পাসপোর্ট পাঠানো হয়। কিন্তু ৬ মাস পার হলেও তা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে আজ খোঁজ নিতে এলাম। আসা-যাওয়ায় ১৬০ রিঙ্গিত খরচ। আবার ছুটি নেওয়ায় এক দিনের বেতন ১২০ রিঙ্গিত কেটে নেবে মালিক। সব মিলিয়ে অনেক টাকা খরচ। ১০ মিনিটে পাসপোর্ট দিতে পারত, কিন্তু তা না করে বলে দিল, আজ হবে না।’
আরেক শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হয়। পাসপোর্ট ছাড়াও কারও শিশুসন্তানের জন্মনিবন্ধনের জন্য গুনতে হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। নতুন শ্রমিকের ওয়ার্ক পারমিট অ্যাটেসটেশন (প্রত্যয়ন) নিতে হলে ঘুষের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে