ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা, লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, ও তরুণীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বছর। এসব ঘটনার মধ্যে তরুণীর পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই ও এর তদন্ত প্রতিবেদন ছিল আলোচনার শীর্ষে।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীর পেটে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি রেখেই সেলাই করেন চিকিৎসকেরা। পরে সেলাইয়ের প্রায় দুই বছর পর চিকিৎসকের রেখে দেওয়া কাঁচিটি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা।
এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২০ ডিসেম্বর হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান তখন জানান, এ ঘটনার জন্য কে দায়ী তা সুনির্দিষ্টভাবে ওই প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়নি। কিংবা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়নি।
পরিচালক আরও জানান, বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
ওই তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামান ছিলেন সদস্য।
অস্ত্রোপচার করে কাঁচি বের করা সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হন। কাঁচিটি দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে মনিরা খাতুনের পেটের নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তাঁর কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরা খাতুনের সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ তদন্ত কমিটি কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দাখিল করে। কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনা নিয়েও সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
ভুক্তভোগী মনিরা খাতুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে তিনি ভর্তি হন। সাত দিন পর তাঁর অপারেশন করা হয়। এ সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা, লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, ও তরুণীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বছর। এসব ঘটনার মধ্যে তরুণীর পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই ও এর তদন্ত প্রতিবেদন ছিল আলোচনার শীর্ষে।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীর পেটে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি রেখেই সেলাই করেন চিকিৎসকেরা। পরে সেলাইয়ের প্রায় দুই বছর পর চিকিৎসকের রেখে দেওয়া কাঁচিটি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা।
এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২০ ডিসেম্বর হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান তখন জানান, এ ঘটনার জন্য কে দায়ী তা সুনির্দিষ্টভাবে ওই প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়নি। কিংবা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়নি।
পরিচালক আরও জানান, বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
ওই তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামান ছিলেন সদস্য।
অস্ত্রোপচার করে কাঁচি বের করা সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হন। কাঁচিটি দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে মনিরা খাতুনের পেটের নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তাঁর কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরা খাতুনের সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ তদন্ত কমিটি কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দাখিল করে। কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনা নিয়েও সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
ভুক্তভোগী মনিরা খাতুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে তিনি ভর্তি হন। সাত দিন পর তাঁর অপারেশন করা হয়। এ সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে