চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভোলাহাট প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে জেলাজুড়ে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ৪০ মিনিট ধরে চলা এই ঝড়ে কাঁচা-পাকা বাড়ি, দোকান ভেঙে যায় ও টিনের ছাউনি উড়ে যায়। এ ছাড়া বড় বনজ গাছ রাস্তায় পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শিবগঞ্জের আমবাগানে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ঝড়ে তাঁদের শতকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া ভোলাহাটে ঘরবাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর বসতবাড়ির ছাউনি উড়ে ও ঘর ভেঙে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শ্যামপুর ইউনিয়নের আমচাষি আনারুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাগানের প্রায় দেড় শ মণ লক্ষণভোগ আম ছিল। যা পেড়ে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকালে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে তাঁর বাগানের প্রায় ৮০ মণ আম পড়ে গেছে। এসব আম বাজারে বিক্রি করা যাবে না।
আব্বাস বাজার এলাকার আমচাষি রফিকুল আলম বলেন, তাঁর বাগানে ক্ষীরশাপাতি, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, ফজলিসহ প্রায় ৬ জাতের ৩০০ মণ আম ছিল। কিন্তু সকালের ঝড়ে অর্ধেকের বেশি পড়ে গেছে। কিছু আম আজকেই পেড়ে বিক্রি করার কথা ছিল। এখন সব শেষ হয়ে গেল।
বাবুপুর গ্রামের এক আম ব্যবসায়ী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে আম পাড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে তাঁর বাগানের প্রায় অর্ধেকের বেশি আম পড়ে গেছে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, সকালের ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লক্ষণভোগ ও খিরসাপাতি গাছ থেকে অর্ধেকের বেশি আম ঝড়ে পড়েছে। তাঁর নিজেরও দুইটি আম গাছ ভেঙে পড়েছে। তাঁর দাবি, ঝড়ে জেলায় প্রায় সব বাগানের কিছু কিছু আম ঝড়ে পড়েছে। এতে শতকোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সুনাইন বিন জামান বলেন, সকালের ঝড় বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর আমবাগানের ক্ষতির খবর পেয়েছেন তিনি। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সব স্থানে বৃষ্টি হলেও বেশি ঝড় বৃষ্টি হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলাতে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এ দিকে ভোলাহাট উপজেলার একটি গ্রামের ওপর বয়ে গেছে এই ঝড়। এতে ঝড়ে ঘরবাড়ি ও দোকান ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া সোনাজলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রোপণ করা বড় বড় বনজ গাছ রাস্তায় পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নাহিদ বলেন, তাঁদের পাকা বাড়ি তারপরও আংশিক ভেঙে গেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রতিবেশী এক চাচির বাড়ির টিন উড়ে গেছে। ফলে তিনি এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন।
জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আফাজ উদ্দিন পানু মিঞা বলেন, এই ইউনিয়নে কাঁচা পাকা বাড়ি, দোকান, আম, বনজ গাছসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার বলেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানানো যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে জেলাজুড়ে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ৪০ মিনিট ধরে চলা এই ঝড়ে কাঁচা-পাকা বাড়ি, দোকান ভেঙে যায় ও টিনের ছাউনি উড়ে যায়। এ ছাড়া বড় বনজ গাছ রাস্তায় পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শিবগঞ্জের আমবাগানে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ঝড়ে তাঁদের শতকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া ভোলাহাটে ঘরবাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর বসতবাড়ির ছাউনি উড়ে ও ঘর ভেঙে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শ্যামপুর ইউনিয়নের আমচাষি আনারুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাগানের প্রায় দেড় শ মণ লক্ষণভোগ আম ছিল। যা পেড়ে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকালে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে তাঁর বাগানের প্রায় ৮০ মণ আম পড়ে গেছে। এসব আম বাজারে বিক্রি করা যাবে না।
আব্বাস বাজার এলাকার আমচাষি রফিকুল আলম বলেন, তাঁর বাগানে ক্ষীরশাপাতি, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, ফজলিসহ প্রায় ৬ জাতের ৩০০ মণ আম ছিল। কিন্তু সকালের ঝড়ে অর্ধেকের বেশি পড়ে গেছে। কিছু আম আজকেই পেড়ে বিক্রি করার কথা ছিল। এখন সব শেষ হয়ে গেল।
বাবুপুর গ্রামের এক আম ব্যবসায়ী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে আম পাড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে তাঁর বাগানের প্রায় অর্ধেকের বেশি আম পড়ে গেছে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, সকালের ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লক্ষণভোগ ও খিরসাপাতি গাছ থেকে অর্ধেকের বেশি আম ঝড়ে পড়েছে। তাঁর নিজেরও দুইটি আম গাছ ভেঙে পড়েছে। তাঁর দাবি, ঝড়ে জেলায় প্রায় সব বাগানের কিছু কিছু আম ঝড়ে পড়েছে। এতে শতকোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সুনাইন বিন জামান বলেন, সকালের ঝড় বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর আমবাগানের ক্ষতির খবর পেয়েছেন তিনি। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সব স্থানে বৃষ্টি হলেও বেশি ঝড় বৃষ্টি হয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলাতে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এ দিকে ভোলাহাট উপজেলার একটি গ্রামের ওপর বয়ে গেছে এই ঝড়। এতে ঝড়ে ঘরবাড়ি ও দোকান ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া সোনাজলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রোপণ করা বড় বড় বনজ গাছ রাস্তায় পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নাহিদ বলেন, তাঁদের পাকা বাড়ি তারপরও আংশিক ভেঙে গেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রতিবেশী এক চাচির বাড়ির টিন উড়ে গেছে। ফলে তিনি এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন।
জামবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আফাজ উদ্দিন পানু মিঞা বলেন, এই ইউনিয়নে কাঁচা পাকা বাড়ি, দোকান, আম, বনজ গাছসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার বলেন, এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানানো যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে