জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর ও মহসিন রেজা, দেওয়ানগঞ্জ
ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর-১। বেশির ভাগ সময় এই আসন আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি অবদান বর্তমান এমপি সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের। ১৯৯১ সালের পর পাঁচবার এই আসনে এমপি হয়েছেন তিনি। এরপরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না এই নেতা। তাই একের পর এক কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। দলে নিজের সমর্থক বাড়াচ্ছেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে মাঠে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও থেমে নেই বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম। ভেতরে-ভেতরে দলটি তৎপরতা বাড়িয়ে চলেছে।
সাম্প্রতিক কর্মসূচিতেই এ চিত্র স্পষ্ট। নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি দেখা না গেলেও সভা-সমাবেশে সমর্থক বাড়াতে তৎপর দলটি। মাঠের পরিস্থিতি বলছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে লড়াইটা জমে উঠবে।
নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন। নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা যোগযোগ করছেন। ঘন ঘন নির্বাচনী এলাকায় আসা-যাওয়া এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
২০০১ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা মামলার কারণে এরপর আর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় তিনি প্রার্থী হলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তবে বিএনপি কোনো কারণে নির্বাচনে অংশ না নিলে আসনটি এবারও আওয়ামী লীগের দখলেই থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
আবুল কালাম আজাদ ইতিমধ্যে দুই উপজেলা কমিটি নতুন করে সাজিয়েছেন। দলের ঝিমিয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে কাজ শুরু করেছেন। পথের কাঁটা সরাতে তাঁর নিজ এলাকা বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটির হাতে সাংগঠনিক ক্ষমতা দিয়েছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নূর মোহাম্মদ এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া ছিলেন। দলের পদ হারিয়ে এখন তিনি ঝিমিয়ে পড়েছেন।
এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করেছেন এমপি আজাদ। তিনি শেখ পরিবারের নিকটাত্মীয়, এ কারণে তাঁর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তবে মনোনয়ন পেতে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মোখলেসুর রহমান পান্না। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন। আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য (এরশাদ) এই আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী এম এ সাত্তারের ছেলে ব্যারিস্টার সামির সাত্তারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সাত বছর ধরে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। বাবার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হতে চান।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়া নূর মোহাম্মদ আগামী নির্বাচনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মাঠও গুছিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জীবনে হঠাৎ নেমে আসে রাজনৈতিক অন্ধকার। সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েন। এরপর এলাকায় আর আসেননি। তবে নির্বাচনী এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এখনো। দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনিও লবিং করবেন।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন নিয়ে এমন অবস্থায় সরাসরি মাঠে নেই বিএনপির প্রার্থীরা। তবে কৌশলে মাঠ গোছাতে কাজ করছেন সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় সেটা ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন। মিল্লাতের ছেলে ব্যারিস্টার শাহাদত বিন জামান শোভনকে প্রার্থীর তালিকায় রাখা হচ্ছে। কোনো কারণে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত প্রার্থী হতে না পারলে তিনিই বিএনপির টিকিটে এই আসনে নির্বাচন করবেন। বাবার অবর্তমানে দলের হয়ে কাজ করছেন শোভন। দলীয় নানা কর্মসূচিতে তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।
ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর-১। বেশির ভাগ সময় এই আসন আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি অবদান বর্তমান এমপি সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের। ১৯৯১ সালের পর পাঁচবার এই আসনে এমপি হয়েছেন তিনি। এরপরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না এই নেতা। তাই একের পর এক কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। দলে নিজের সমর্থক বাড়াচ্ছেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে মাঠে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও থেমে নেই বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম। ভেতরে-ভেতরে দলটি তৎপরতা বাড়িয়ে চলেছে।
সাম্প্রতিক কর্মসূচিতেই এ চিত্র স্পষ্ট। নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মসূচি দেখা না গেলেও সভা-সমাবেশে সমর্থক বাড়াতে তৎপর দলটি। মাঠের পরিস্থিতি বলছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে লড়াইটা জমে উঠবে।
নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা গা ঝাড়া দিতে শুরু করেছেন। নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা যোগযোগ করছেন। ঘন ঘন নির্বাচনী এলাকায় আসা-যাওয়া এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
২০০১ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা মামলার কারণে এরপর আর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় তিনি প্রার্থী হলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তবে বিএনপি কোনো কারণে নির্বাচনে অংশ না নিলে আসনটি এবারও আওয়ামী লীগের দখলেই থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
আবুল কালাম আজাদ ইতিমধ্যে দুই উপজেলা কমিটি নতুন করে সাজিয়েছেন। দলের ঝিমিয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে কাজ শুরু করেছেন। পথের কাঁটা সরাতে তাঁর নিজ এলাকা বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটির হাতে সাংগঠনিক ক্ষমতা দিয়েছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নূর মোহাম্মদ এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া ছিলেন। দলের পদ হারিয়ে এখন তিনি ঝিমিয়ে পড়েছেন।
এ ছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করেছেন এমপি আজাদ। তিনি শেখ পরিবারের নিকটাত্মীয়, এ কারণে তাঁর মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তবে মনোনয়ন পেতে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজি মোখলেসুর রহমান পান্না। তিনি এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন। আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য (এরশাদ) এই আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী এম এ সাত্তারের ছেলে ব্যারিস্টার সামির সাত্তারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সাত বছর ধরে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। বাবার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হতে চান।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়া নূর মোহাম্মদ আগামী নির্বাচনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মাঠও গুছিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জীবনে হঠাৎ নেমে আসে রাজনৈতিক অন্ধকার। সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েন। এরপর এলাকায় আর আসেননি। তবে নির্বাচনী এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এখনো। দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনিও লবিং করবেন।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন নিয়ে এমন অবস্থায় সরাসরি মাঠে নেই বিএনপির প্রার্থীরা। তবে কৌশলে মাঠ গোছাতে কাজ করছেন সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় সেটা ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদের শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন। মিল্লাতের ছেলে ব্যারিস্টার শাহাদত বিন জামান শোভনকে প্রার্থীর তালিকায় রাখা হচ্ছে। কোনো কারণে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত প্রার্থী হতে না পারলে তিনিই বিএনপির টিকিটে এই আসনে নির্বাচন করবেন। বাবার অবর্তমানে দলের হয়ে কাজ করছেন শোভন। দলীয় নানা কর্মসূচিতে তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে