রাহুল শর্মা, ঢাকা
নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কথা বলছে সরকার। যার বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী বছর থেকে। কিন্তু এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব যাঁদের, অর্থাৎ শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি ঝুলে আছে এক যুগের বেশি সময় ধরে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। কিন্তু এ পেশায় যুগোপযোগী বেতন কাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মেধাবীরা আকৃষ্ট হচ্ছে না। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি এবং মর্যাদা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এমন বাস্তবতায় আজ বুধবার সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘শিক্ষার পরিবর্তনের শুরু শিক্ষক দিয়ে’। এটা জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেসকোর বার্তা।
সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা পান। স্কেলভিত্তিক পূর্ণ বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, উৎসব বোনাসের পাশাপাশি বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও পান। আর বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেলও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সমানই। তবে তা কেবল মূল বেতনে। বাকি সব ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা তাঁরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পান না। অবশ্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বড় অংশ এমপিওভুক্ত নন। তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কেননা তাঁদের বেতন-ভাতা প্রদানে কোনো নিয়মের বালাই নেই। প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন স্কেল ও পদ্ধতি ভিন্ন।
এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরাও জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তবে বেতন স্কেল নিয়ে শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেতনের স্কেল পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালের মে মাসে কমিটির সুপারিশ করা শিক্ষানীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়, যা শিক্ষানীতি-২০১০ নামে পরিচিত। এতে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা শুধু সুবিন্যস্ত বাক্য গাঁথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রকৃত অর্থে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া না হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা হবে।’
শিক্ষানীতি প্রণয়নের পর এক যুগের বেশি পেরিয়ে গেছে। কবীর চৌধুরী মারা গেছেন। কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
শিক্ষানীতির এসব সুপারিশ এখনো কাগজেই সীমাবদ্ধ বলে মন্তব্য করে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘শিক্ষানীতি-২০১০ এ শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এগুলো শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে শিক্ষানীতির সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু যাঁরা বাস্তবায়নের দায়িত্বে, তাঁদের গাফিলতির কারণেই মূলত এগুলো আলোর মুখ দেখছে না।
এক যুগেও শিক্ষানীতির সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়াকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষক পেতে হলে অবশ্যই সময়োপযোগী বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ শিক্ষানীতি-২০১০-এ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আকর্ষণীয় যুগোপযোগী বেতন কাঠামো না থাকায় মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না বলে তিনি মনে করেন। বলেন, বর্তমানে শিক্ষকদের যে বেতন-ভাতা দেওয়া হয় এতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা তো আরও খারাপ। আর কিন্ডারগার্টেনগুলোর কথা না-ই বললাম।
একই সুরে কথা বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যে শিক্ষক কারিকুলামকে বুঝবেন, তিনিই ক্লাসে তা শিক্ষার্থীদের শিখনে সহায়তা করতে পারবেন। ফলে মানসম্মত শিক্ষক নিতে গেলে অবশ্যই বর্তমান বেতন স্কেল পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান বেতন স্কেল দিয়ে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া কঠিন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাজশাহীতে একজন সংসদ সদস্য কর্তৃক একটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রহৃত হওয়ার ঘটনা কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির কথা বলছে। কিন্তু এসব ঘটনা প্রমাণ করে সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে শিক্ষকের মানমর্যাদা প্রতিনিয়ত কমছে।
শিক্ষকতা পেশায় কম বেতন-ভাতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ফরিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা পারভিনের কথায়ও। তিনি বলেন, ‘যে বেতন-ভাতা আমরা পেয়ে থাকি, সেটার ওপর নির্ভর করে একটা চার সদস্যের পরিবার চলে না। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ, সাংসারিক খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটানো সম্ভব না শুধু বেতনের টাকায় ৷ শিক্ষকতার চাকরিই যাঁর একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন, তাঁর পক্ষে সচ্ছলভাবে পরিবার চালানো সম্ভব না।’
এ শিক্ষকের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার বৃদ্ধির কথা শুধুই মুখে মুখে। এগুলোর কোনো বাস্তব অগ্রগতি নেই। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে এত কম বেতনে শিক্ষকদের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষকসমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেতনবৈষম্য দূরীকরণে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা প্রয়োজন।
নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কথা বলছে সরকার। যার বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী বছর থেকে। কিন্তু এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব যাঁদের, অর্থাৎ শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি ঝুলে আছে এক যুগের বেশি সময় ধরে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। কিন্তু এ পেশায় যুগোপযোগী বেতন কাঠামো ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মেধাবীরা আকৃষ্ট হচ্ছে না। এ অবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি এবং মর্যাদা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এমন বাস্তবতায় আজ বুধবার সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘শিক্ষার পরিবর্তনের শুরু শিক্ষক দিয়ে’। এটা জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেসকোর বার্তা।
সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা পান। স্কেলভিত্তিক পূর্ণ বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা, উৎসব বোনাসের পাশাপাশি বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও পান। আর বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেলও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সমানই। তবে তা কেবল মূল বেতনে। বাকি সব ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা তাঁরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো পান না। অবশ্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বড় অংশ এমপিওভুক্ত নন। তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কেননা তাঁদের বেতন-ভাতা প্রদানে কোনো নিয়মের বালাই নেই। প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন স্কেল ও পদ্ধতি ভিন্ন।
এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরাও জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তবে বেতন স্কেল নিয়ে শিক্ষকদের ক্ষোভ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বেতনের স্কেল পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালের মে মাসে কমিটির সুপারিশ করা শিক্ষানীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়, যা শিক্ষানীতি-২০১০ নামে পরিচিত। এতে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা শুধু সুবিন্যস্ত বাক্য গাঁথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রকৃত অর্থে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া না হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা হবে।’
শিক্ষানীতি প্রণয়নের পর এক যুগের বেশি পেরিয়ে গেছে। কবীর চৌধুরী মারা গেছেন। কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
শিক্ষানীতির এসব সুপারিশ এখনো কাগজেই সীমাবদ্ধ বলে মন্তব্য করে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘শিক্ষানীতি-২০১০ এ শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এগুলো শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে শিক্ষানীতির সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু যাঁরা বাস্তবায়নের দায়িত্বে, তাঁদের গাফিলতির কারণেই মূলত এগুলো আলোর মুখ দেখছে না।
এক যুগেও শিক্ষানীতির সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়াকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষক পেতে হলে অবশ্যই সময়োপযোগী বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ শিক্ষানীতি-২০১০-এ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আকর্ষণীয় যুগোপযোগী বেতন কাঠামো না থাকায় মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না বলে তিনি মনে করেন। বলেন, বর্তমানে শিক্ষকদের যে বেতন-ভাতা দেওয়া হয় এতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা তো আরও খারাপ। আর কিন্ডারগার্টেনগুলোর কথা না-ই বললাম।
একই সুরে কথা বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যে শিক্ষক কারিকুলামকে বুঝবেন, তিনিই ক্লাসে তা শিক্ষার্থীদের শিখনে সহায়তা করতে পারবেন। ফলে মানসম্মত শিক্ষক নিতে গেলে অবশ্যই বর্তমান বেতন স্কেল পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান বেতন স্কেল দিয়ে মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া কঠিন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাজশাহীতে একজন সংসদ সদস্য কর্তৃক একটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রহৃত হওয়ার ঘটনা কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির কথা বলছে। কিন্তু এসব ঘটনা প্রমাণ করে সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে শিক্ষকের মানমর্যাদা প্রতিনিয়ত কমছে।
শিক্ষকতা পেশায় কম বেতন-ভাতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ফরিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা পারভিনের কথায়ও। তিনি বলেন, ‘যে বেতন-ভাতা আমরা পেয়ে থাকি, সেটার ওপর নির্ভর করে একটা চার সদস্যের পরিবার চলে না। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ, সাংসারিক খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটানো সম্ভব না শুধু বেতনের টাকায় ৷ শিক্ষকতার চাকরিই যাঁর একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন, তাঁর পক্ষে সচ্ছলভাবে পরিবার চালানো সম্ভব না।’
এ শিক্ষকের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার বৃদ্ধির কথা শুধুই মুখে মুখে। এগুলোর কোনো বাস্তব অগ্রগতি নেই। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে এত কম বেতনে শিক্ষকদের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষকসমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেতনবৈষম্য দূরীকরণে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা প্রয়োজন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে