আয়নাল হোসেন, ঢাকা
খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে দেশে হৃদ্রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে। এদিকে মানদণ্ড না থাকায় দেশের বেশির ভাগ প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে ইচ্ছামতো লবণ ব্যবহার করছেন উৎপাদনকারীরা। এসব খাবার খেয়ে অজান্তেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে ভোক্তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রক্রিয়াজাতকৃত এবং প্যাকেটজাত ৬১৮টি খাদ্যদ্রব্যের মান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে লবণ ব্যবহারের মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি খাবারগুলোতে কী পরিমাণে লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। তাই উৎপাদকদেরও খাবারের প্যাকেটে লবণের মাত্রা উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই কোন খাবারে কী পরিমাণ লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানতে পারছেন না ভোক্তারা।
বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, চিপস-ক্রেকার্স ও চানাচুরে লবণ ব্যবহারের নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে চানাচুরে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চিপস ও ক্রেকার্সে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ লবণ ব্যবহারের বিধান রয়েছে। অন্যান্য খাবারে স্বাদমতো লবণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রসেসড (প্রক্রিয়াজাতকৃত) খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণের ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে অকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই এসব খাবারে যেন মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে (বিএফএসএ) দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাদ্যের মানে লবণ কমবেশি থাকা না-থাকার বিষয়ে আইন বা বিধি-প্রবিধি কোথাও উল্লেখ নেই। এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাও নেই।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সংস্থার বিধিবিধান মেনে নেওয়ার নির্দেশনা তাদের পক্ষ থেকে রয়েছে। তবে বিএসটিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, মান প্রণয়নের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। অনেক মানেই লবণের পরিমাণ বলা আছে ‘স্বাদমতো।’ কাজেই লবণ কমবেশি মূলত স্বাদের ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে দুই গ্রামের বেশি ও পাঁচ গ্রামের কম পরিমাণ লবণ খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের লবণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৩ গ্রাম। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৩ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ গ্রাম। আর গ্রামাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ১ গ্রাম। অর্থাৎ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে।
খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে দেশে হৃদ্রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে। এদিকে মানদণ্ড না থাকায় দেশের বেশির ভাগ প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে ইচ্ছামতো লবণ ব্যবহার করছেন উৎপাদনকারীরা। এসব খাবার খেয়ে অজান্তেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে ভোক্তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রক্রিয়াজাতকৃত এবং প্যাকেটজাত ৬১৮টি খাদ্যদ্রব্যের মান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে লবণ ব্যবহারের মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি খাবারগুলোতে কী পরিমাণে লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। তাই উৎপাদকদেরও খাবারের প্যাকেটে লবণের মাত্রা উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই কোন খাবারে কী পরিমাণ লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানতে পারছেন না ভোক্তারা।
বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, চিপস-ক্রেকার্স ও চানাচুরে লবণ ব্যবহারের নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে চানাচুরে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চিপস ও ক্রেকার্সে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ লবণ ব্যবহারের বিধান রয়েছে। অন্যান্য খাবারে স্বাদমতো লবণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রসেসড (প্রক্রিয়াজাতকৃত) খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণের ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে অকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই এসব খাবারে যেন মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে (বিএফএসএ) দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাদ্যের মানে লবণ কমবেশি থাকা না-থাকার বিষয়ে আইন বা বিধি-প্রবিধি কোথাও উল্লেখ নেই। এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাও নেই।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সংস্থার বিধিবিধান মেনে নেওয়ার নির্দেশনা তাদের পক্ষ থেকে রয়েছে। তবে বিএসটিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, মান প্রণয়নের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। অনেক মানেই লবণের পরিমাণ বলা আছে ‘স্বাদমতো।’ কাজেই লবণ কমবেশি মূলত স্বাদের ওপর নির্ভরশীল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে দুই গ্রামের বেশি ও পাঁচ গ্রামের কম পরিমাণ লবণ খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের লবণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৩ গ্রাম। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৩ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ গ্রাম। আর গ্রামাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ১ গ্রাম। অর্থাৎ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে