কঙ্কন সরকার
উজ্জ্বল রঙের এই ফুল খাওয়া যায় সালাদের সঙ্গে, পনিরকে রঙিন করতে ব্যবহার করা যায় এর পাপড়ি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও দুধ দিয়ে তৈরি খাবারে যোগ করা যায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য। ‘গরিবের জাফরান’ বলা হয় দক্ষিণ ইউরোপের ফুল ক্যালেন্ডুলাকে।
প্রাচীন রোমান ও গ্রিকরা অনেক আচার-অনুষ্ঠানে সোনালি ক্যালেন্ডুলা ব্যবহার করত। কখনো কখনো ফুল থেকে তৈরি মুকুট বা মালা পরত তারা। এর একটি ডাকনাম ছিল ‘মেরি’স গোল্ড’। ক্যালেন্ডুলা ফুল ভারতে পবিত্র ফুল হিসেবে পরিচিত। আদিকাল থেকে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি সাজাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এ ফুল।
শীতের ফুল ক্যালেন্ডুলা। শীত এলেই অন্যান্য শীতকালীন ফুলের মতো ক্যালেন্ডুলাও পাপড়ি মেলে সৌন্দর্য বিলায়। তবে এটি শীতকালে সৌন্দর্য ছড়ালেও ওষুধ বিলায় বছরজুড়ে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাশাস্ত্রে ক্যালেন্ডুলা অতিপ্রয়োজনীয় ও কার্যকরী একটি ওষুধ।
প্রায় ২৫টি প্রজাতি আছে ক্যালেন্ডুলার। রোদযুক্ত উর্বর মাটিতে এটি জন্মে ভালো। ফলে আমাদের দেশে এর চাষ শুরু হয়েছে। রঙের বৈচিত্র্যের জন্য বেশ জনপ্রিয় ফুলটি। সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় কমলা ও কমলা লাল রঙের হয়ে থাকে এটি।
ঊর্ধ্বমুখী ক্যালেন্ডুলা ফুল ধরে গাছের কাণ্ডের মাথায়। ফুলের গঠন অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের মতো। তবে আকারে অনেক ছোট। ফুলটি দেখতে গোল চাকতির মতো, চারদিকে ছোট ছোট পাপড়ি ও মাঝে পরাগ। পূর্ণ বিকশিত ফুলের সৌন্দর্য অনেক দিন স্থায়ী থাকে। কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ক্যালেন্ডুলা ব্যবহারের উপযোগী।
বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে ফুল শেষ হয়ে যায়। গাছ ঝোপালো ও দ্রুত বর্ধনশীল, রসাল ও নরম প্রকৃতির। গাছের গড় উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুট হয়ে থাকে। পাতা সবুজ, খসখসে, রোমশ ও লম্বা আকৃতির।
বাগান, টব, ছাদবাগানসহ রৌদ্রোজ্জ্বল যেকোনো জায়গায় ক্যালেন্ডুলা খুব সহজেই চাষ করা যায়। ক্যালেন্ডুলা অনেকটা গাঁদা ফুল গাছের মতোই। রোপণের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস ভালো সময়। পাহাড়ি ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে সময়ের কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। ভালো ফলনের জন্য সূর্যের আলো এবং সেচ দুটোই দরকার।
একসময় ইংল্যান্ডে সুগন্ধি সাবান তৈরির জন্য ক্যালেন্ডুলার পাপড়ি ব্যবহার করা হতো বলে এরা পট মেরিগোল্ড নামে সুপরিচিত।
ক্যালেন্ডুলা থেকে তৈরি করা ওষুধ কেটে যাওয়া, থেঁতলে যাওয়া, ছাল ওঠা, আঁচড় খাওয়া কিংবা এসব থেকে হওয়া ঘায়ের পুঁজ সারানোর ওষুধ তৈরি হয়। সিজারিয়ান প্রসবে মাকে ক্যালেন্ডুলা মাদার টিংচার খাওয়ালে জটিলতামুক্ত থাকা যায়। নখের ফাঁকে ও হাতে ঘায়ের চিকিৎসায় ক্যালেন্ডুলা মলম ব্যবহার করলে সেরে যায়। শেভের পর ক্যালেন্ডুলা মলম কিংবা এর মাদার টিংচার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। এ ছাড়া পরিমাণমতো ক্যালেন্ডুলার মূলারিষ্ট পানিতে মিশিয়ে মাঝে মাঝে গোসল করলে এবং কুলকুচি করলেও উপকার পাওয়া যায়। হোমিওপ্যাথিক শাস্ত্রমতে, অস্ত্রোপচারের ক্ষতে কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার ক্ষত পরিষ্কার রাখার জন্য এবং পুঁজ বন্ধ করার জন্য ক্যালেন্ডুলা একটি অব্যর্থ ওষুধ।
সানস্ক্রিন হিসেবে দারুণ কাজ করে ক্যালেন্ডুলার নির্যাস মেশানো ক্রিম। বাড়িতে ট্যান তোলার জন্য ঘরোয়া প্যাক তৈরিতে মিশিয়ে নিন ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস। এতে দূর হবে আপনার ত্বকের কালচে দাগ, ছোপ ও ট্যান।
উজ্জ্বল রঙের এই ফুল খাওয়া যায় সালাদের সঙ্গে, পনিরকে রঙিন করতে ব্যবহার করা যায় এর পাপড়ি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও দুধ দিয়ে তৈরি খাবারে যোগ করা যায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য। ‘গরিবের জাফরান’ বলা হয় দক্ষিণ ইউরোপের ফুল ক্যালেন্ডুলাকে।
প্রাচীন রোমান ও গ্রিকরা অনেক আচার-অনুষ্ঠানে সোনালি ক্যালেন্ডুলা ব্যবহার করত। কখনো কখনো ফুল থেকে তৈরি মুকুট বা মালা পরত তারা। এর একটি ডাকনাম ছিল ‘মেরি’স গোল্ড’। ক্যালেন্ডুলা ফুল ভারতে পবিত্র ফুল হিসেবে পরিচিত। আদিকাল থেকে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি সাজাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এ ফুল।
শীতের ফুল ক্যালেন্ডুলা। শীত এলেই অন্যান্য শীতকালীন ফুলের মতো ক্যালেন্ডুলাও পাপড়ি মেলে সৌন্দর্য বিলায়। তবে এটি শীতকালে সৌন্দর্য ছড়ালেও ওষুধ বিলায় বছরজুড়ে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাশাস্ত্রে ক্যালেন্ডুলা অতিপ্রয়োজনীয় ও কার্যকরী একটি ওষুধ।
প্রায় ২৫টি প্রজাতি আছে ক্যালেন্ডুলার। রোদযুক্ত উর্বর মাটিতে এটি জন্মে ভালো। ফলে আমাদের দেশে এর চাষ শুরু হয়েছে। রঙের বৈচিত্র্যের জন্য বেশ জনপ্রিয় ফুলটি। সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় কমলা ও কমলা লাল রঙের হয়ে থাকে এটি।
ঊর্ধ্বমুখী ক্যালেন্ডুলা ফুল ধরে গাছের কাণ্ডের মাথায়। ফুলের গঠন অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের মতো। তবে আকারে অনেক ছোট। ফুলটি দেখতে গোল চাকতির মতো, চারদিকে ছোট ছোট পাপড়ি ও মাঝে পরাগ। পূর্ণ বিকশিত ফুলের সৌন্দর্য অনেক দিন স্থায়ী থাকে। কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ক্যালেন্ডুলা ব্যবহারের উপযোগী।
বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে ফুল শেষ হয়ে যায়। গাছ ঝোপালো ও দ্রুত বর্ধনশীল, রসাল ও নরম প্রকৃতির। গাছের গড় উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুট হয়ে থাকে। পাতা সবুজ, খসখসে, রোমশ ও লম্বা আকৃতির।
বাগান, টব, ছাদবাগানসহ রৌদ্রোজ্জ্বল যেকোনো জায়গায় ক্যালেন্ডুলা খুব সহজেই চাষ করা যায়। ক্যালেন্ডুলা অনেকটা গাঁদা ফুল গাছের মতোই। রোপণের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস ভালো সময়। পাহাড়ি ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে সময়ের কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। ভালো ফলনের জন্য সূর্যের আলো এবং সেচ দুটোই দরকার।
একসময় ইংল্যান্ডে সুগন্ধি সাবান তৈরির জন্য ক্যালেন্ডুলার পাপড়ি ব্যবহার করা হতো বলে এরা পট মেরিগোল্ড নামে সুপরিচিত।
ক্যালেন্ডুলা থেকে তৈরি করা ওষুধ কেটে যাওয়া, থেঁতলে যাওয়া, ছাল ওঠা, আঁচড় খাওয়া কিংবা এসব থেকে হওয়া ঘায়ের পুঁজ সারানোর ওষুধ তৈরি হয়। সিজারিয়ান প্রসবে মাকে ক্যালেন্ডুলা মাদার টিংচার খাওয়ালে জটিলতামুক্ত থাকা যায়। নখের ফাঁকে ও হাতে ঘায়ের চিকিৎসায় ক্যালেন্ডুলা মলম ব্যবহার করলে সেরে যায়। শেভের পর ক্যালেন্ডুলা মলম কিংবা এর মাদার টিংচার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। এ ছাড়া পরিমাণমতো ক্যালেন্ডুলার মূলারিষ্ট পানিতে মিশিয়ে মাঝে মাঝে গোসল করলে এবং কুলকুচি করলেও উপকার পাওয়া যায়। হোমিওপ্যাথিক শাস্ত্রমতে, অস্ত্রোপচারের ক্ষতে কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার ক্ষত পরিষ্কার রাখার জন্য এবং পুঁজ বন্ধ করার জন্য ক্যালেন্ডুলা একটি অব্যর্থ ওষুধ।
সানস্ক্রিন হিসেবে দারুণ কাজ করে ক্যালেন্ডুলার নির্যাস মেশানো ক্রিম। বাড়িতে ট্যান তোলার জন্য ঘরোয়া প্যাক তৈরিতে মিশিয়ে নিন ক্যালেন্ডুলা ফুলের নির্যাস। এতে দূর হবে আপনার ত্বকের কালচে দাগ, ছোপ ও ট্যান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে