মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বাঁশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য জুন-আগস্ট ৩ মাস বাঁশ কাটা এবং পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাঁশদস্যুরা তা মানছে না। এতে বিনাশ হচ্ছে চারাসহ মা বাঁশ। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বাঁশদস্যুরা বন বিভাগ ও আইনি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এসব বাঁশ কাটছেন।
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেঞ্জ অফিস রয়েছে দুটি। একটি নাইক্ষ্যংছড়িতে অপরটি বাইশারীতে অবস্থিত সাঙ্গু রেঞ্জ। এ দুটি রেঞ্জের আওতাধীন ১৭ মৌজায় বাঁশবন রয়েছে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। এ কারণে তথ্য রয়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বাঁশ জন্মে নাইক্ষ্যংছড়িতেই।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাইশারীর এক রাবারবাগানের ম্যানেজার আল আমিন প্রকাশ বিমান মৌলভীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন বাঁশদস্যু শত শত কাঠুরিকে অগ্রিম টাকা দিয়ে বনে ঢুকিয়ে বাঁশ কাটছেন। আর এসব বাঁশ পাচার করছে ঈদগড় খাল, গর্জনিয়া খাল ও বাঁকখালী নদী দিয়ে। এ দুই পয়েন্টের হাট বসানো হয় ঈদগড় খালের বউ ঘাটা, ঈদগড় বাজার ও বাঁকখালীর ছাগল খাইয় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাঁকখালী নদীতে।
আর অপর ৩টি গ্রুপ বাইশারী ইউনিয়ন ঘেঁষে নিচে আসা খুটাখালী ছড়া, ফারিখাল ও রেজুর ছড়া দিয়েও বাঁশ পাচার করছে। তাঁরা নদীপথ ছাড়া সড়কপথেও পাচার করছে বাঁশ। এ হিসেবে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ লাখ মা বাঁশ নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে পাচার হয়ে গেছে। বন্ধের ৯০ দিনে বাকি আছে মাত্র ১৬ দিন। এ সময়ে আরও ৮ লাখ মা বাঁশ তাঁরা পাচার করার পরিকল্পনা করছে। এ ২৮ লাখ মা বাঁশের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইউনুছ, হাবিবুর রহমান, আবদুর রহিম, আবু ইউছুপ ও আবদুর রহমান বলেন, ‘পাচারকারীরা বাঁকখালী নদী, রেজু আমতলী খাল, ঈদগড় খাল, খুটাখালী ছড়া ও গর্জনিয়া খাল দিয়ে বাঁশ পাচার করছে।’
তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বাঁশ আটক করলে বন বিভাগ পাচারকারীদের সহায়তা করে। যার সমন্বয়ের দায়িত্ব রয়েছেন সেই আল আমিন।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাঁশ ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘আমরা বাঁশ কাটা বন্ধের আগেই স্থানীয় বন বিভাগে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র নিয়েছি। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’
বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ৩ মাস বাঁশ কাটার কোনো অনুমতিপত্র নেই। আগেও নেই, চলাকালেও নেই। জুন, জুলাই ও আগস্টের পরে আছে। কেউ কাটলে বা পরিবহন করলে সে অপরাধী।’
স্থানীয়রা বলেন, এসবে ভুয়া কাগজপত্র দেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আর বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা একাধিকবার চুক্তিমতো লাখ টাকার দাখিলা কেটে রেখেছেন। সুতরাং এসব কাগজ বৈধ আর কাটা বাঁশও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম বলেন, ‘আমি স্টেশনে নেই। রেঞ্জে লোকবলসংকটও আছে। তাই সব সময় এসব বাঁশ পাচারকারীকে ধরতে পারি না।’
বান্দরবানের লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে বাঁশ কাটা ও পরিবহন নিষিদ্ধ। তবু কেন বাঁশ পাচার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাঁশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য জুন-আগস্ট ৩ মাস বাঁশ কাটা এবং পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাঁশদস্যুরা তা মানছে না। এতে বিনাশ হচ্ছে চারাসহ মা বাঁশ। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বাঁশদস্যুরা বন বিভাগ ও আইনি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে এসব বাঁশ কাটছেন।
জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেঞ্জ অফিস রয়েছে দুটি। একটি নাইক্ষ্যংছড়িতে অপরটি বাইশারীতে অবস্থিত সাঙ্গু রেঞ্জ। এ দুটি রেঞ্জের আওতাধীন ১৭ মৌজায় বাঁশবন রয়েছে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। এ কারণে তথ্য রয়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বাঁশ জন্মে নাইক্ষ্যংছড়িতেই।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাইশারীর এক রাবারবাগানের ম্যানেজার আল আমিন প্রকাশ বিমান মৌলভীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন বাঁশদস্যু শত শত কাঠুরিকে অগ্রিম টাকা দিয়ে বনে ঢুকিয়ে বাঁশ কাটছেন। আর এসব বাঁশ পাচার করছে ঈদগড় খাল, গর্জনিয়া খাল ও বাঁকখালী নদী দিয়ে। এ দুই পয়েন্টের হাট বসানো হয় ঈদগড় খালের বউ ঘাটা, ঈদগড় বাজার ও বাঁকখালীর ছাগল খাইয় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বাঁকখালী নদীতে।
আর অপর ৩টি গ্রুপ বাইশারী ইউনিয়ন ঘেঁষে নিচে আসা খুটাখালী ছড়া, ফারিখাল ও রেজুর ছড়া দিয়েও বাঁশ পাচার করছে। তাঁরা নদীপথ ছাড়া সড়কপথেও পাচার করছে বাঁশ। এ হিসেবে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ লাখ মা বাঁশ নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে পাচার হয়ে গেছে। বন্ধের ৯০ দিনে বাকি আছে মাত্র ১৬ দিন। এ সময়ে আরও ৮ লাখ মা বাঁশ তাঁরা পাচার করার পরিকল্পনা করছে। এ ২৮ লাখ মা বাঁশের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইউনুছ, হাবিবুর রহমান, আবদুর রহিম, আবু ইউছুপ ও আবদুর রহমান বলেন, ‘পাচারকারীরা বাঁকখালী নদী, রেজু আমতলী খাল, ঈদগড় খাল, খুটাখালী ছড়া ও গর্জনিয়া খাল দিয়ে বাঁশ পাচার করছে।’
তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বাঁশ আটক করলে বন বিভাগ পাচারকারীদের সহায়তা করে। যার সমন্বয়ের দায়িত্ব রয়েছেন সেই আল আমিন।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাঁশ ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘আমরা বাঁশ কাটা বন্ধের আগেই স্থানীয় বন বিভাগে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র নিয়েছি। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’
বন বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ৩ মাস বাঁশ কাটার কোনো অনুমতিপত্র নেই। আগেও নেই, চলাকালেও নেই। জুন, জুলাই ও আগস্টের পরে আছে। কেউ কাটলে বা পরিবহন করলে সে অপরাধী।’
স্থানীয়রা বলেন, এসবে ভুয়া কাগজপত্র দেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আর বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা একাধিকবার চুক্তিমতো লাখ টাকার দাখিলা কেটে রেখেছেন। সুতরাং এসব কাগজ বৈধ আর কাটা বাঁশও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মঞ্জুর আলম বলেন, ‘আমি স্টেশনে নেই। রেঞ্জে লোকবলসংকটও আছে। তাই সব সময় এসব বাঁশ পাচারকারীকে ধরতে পারি না।’
বান্দরবানের লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমে বাঁশ কাটা ও পরিবহন নিষিদ্ধ। তবু কেন বাঁশ পাচার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে