সম্পাদকীয়
ইটভাটার জন্য মারাত্মক পরিবেশদূষণ হয়, তারপরও অবৈধ ভাটার মালিকেরা বীরদর্পে এসব চালাচ্ছেন। একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া কোনোভাবেই ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় ‘৪৩ অবৈধ ইটভাটা, পুড়ছে কাঠ’ শিরোনামে রোববার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইটভাটা নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ ছাপা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সদর্পে চলতে থাকে ওই সব ইটভাটা। এভাবে চলতে পারে না। কারণ ইটের প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে, তেমনি ইটভাটার মালিকেরা কোনো নিয়ম মানবেন না, তা তো হতে পারে না।
সংবাদ থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের আট উপজেলায় ৯৩টি ইটভাটার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অবৈধভাবে চলছে। সম্প্রতি ৪৩টি অবৈধ ভাটা চিহ্নিত করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর কোনোটি জনবসতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবার কোনোটি ফসলি জমির মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।
আইন অমান্য করে এসব ইটভাটায় আবার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ইটভাটায় কাঠ ব্যবহারের কারণে বন ধ্বংস হয় এবং গাছপালা কমে যায়। এমনিতেই আমাদের দেশে দিন দিন বন উজাড় হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। ইটভাটা থেকে বায়ুমণ্ডলে দূষিত উপাদান যুক্ত হচ্ছে। এসব দূষিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে পার্টিকুলেট ম্যাটার, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব উপাদান মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব উপাদান মানবদেহে প্রবেশ করলে শ্বাসপ্রণালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
দেশে ইট তৈরি সনাতন পদ্ধতিতে করার কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে মারাত্মকভাবে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এই পদ্ধতিতে ইট তৈরির কারণে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। ইটভাটার আশপাশে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয় বেশি। কৃষিজমির ওপরও ইটভাটার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়।
ইটভাটা স্থাপন-সংক্রান্ত একটি আইন দেশে কার্যকর রয়েছে। আইনটির নাম ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’। সেই আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা স্থাপনের সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এটা চালু করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। আইন যদি কার্যকর না হয়, তাহলে আইন থেকেই বা লাভ কী? আইন কার্যকর করা এবং তদারকি করার দায়িত্ব হলো জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের। এ ক্ষেত্রে তারা যে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তা স্পষ্ট।
ইটভাটা আধুনিক পদ্ধতিতে চালালে পরিবেশদূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম। আধুনিক পদ্ধতিতে ইট তৈরির জন্য বাধ্য করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এ জন্য এ বিষয়ে এখনই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকা দরকার। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে
হবে। আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেবে। ইটভাটাগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে আমাদের পরিবেশকে রক্ষার জন্য।
ইটভাটার জন্য মারাত্মক পরিবেশদূষণ হয়, তারপরও অবৈধ ভাটার মালিকেরা বীরদর্পে এসব চালাচ্ছেন। একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়া কোনোভাবেই ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকায় ‘৪৩ অবৈধ ইটভাটা, পুড়ছে কাঠ’ শিরোনামে রোববার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইটভাটা নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ ছাপা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার সদর্পে চলতে থাকে ওই সব ইটভাটা। এভাবে চলতে পারে না। কারণ ইটের প্রয়োজনীয়তা যেমন আছে, তেমনি ইটভাটার মালিকেরা কোনো নিয়ম মানবেন না, তা তো হতে পারে না।
সংবাদ থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের আট উপজেলায় ৯৩টি ইটভাটার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অবৈধভাবে চলছে। সম্প্রতি ৪৩টি অবৈধ ভাটা চিহ্নিত করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর কোনোটি জনবসতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবার কোনোটি ফসলি জমির মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।
আইন অমান্য করে এসব ইটভাটায় আবার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ইটভাটায় কাঠ ব্যবহারের কারণে বন ধ্বংস হয় এবং গাছপালা কমে যায়। এমনিতেই আমাদের দেশে দিন দিন বন উজাড় হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। ইটভাটা থেকে বায়ুমণ্ডলে দূষিত উপাদান যুক্ত হচ্ছে। এসব দূষিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে পার্টিকুলেট ম্যাটার, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইড। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব উপাদান মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব উপাদান মানবদেহে প্রবেশ করলে শ্বাসপ্রণালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
দেশে ইট তৈরি সনাতন পদ্ধতিতে করার কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে মারাত্মকভাবে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, এই পদ্ধতিতে ইট তৈরির কারণে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। ইটভাটার আশপাশে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয় বেশি। কৃষিজমির ওপরও ইটভাটার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়।
ইটভাটা স্থাপন-সংক্রান্ত একটি আইন দেশে কার্যকর রয়েছে। আইনটির নাম ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’। সেই আইন অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা স্থাপনের সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এটা চালু করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। আইন যদি কার্যকর না হয়, তাহলে আইন থেকেই বা লাভ কী? আইন কার্যকর করা এবং তদারকি করার দায়িত্ব হলো জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের। এ ক্ষেত্রে তারা যে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তা স্পষ্ট।
ইটভাটা আধুনিক পদ্ধতিতে চালালে পরিবেশদূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম। আধুনিক পদ্ধতিতে ইট তৈরির জন্য বাধ্য করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এ জন্য এ বিষয়ে এখনই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকা দরকার। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে
হবে। আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেবে। ইটভাটাগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে আমাদের পরিবেশকে রক্ষার জন্য।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে