ক্রীড়া ডেস্ক
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার—গত এক দশকে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নেই তিন টেনিস সুপারস্টারের একজনও। শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই-বা বলছি কেন, কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালই হয়নি, যেখানে এই ‘বিগ থ্রি’র একজনও ছিলেন না!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ওই তিনজনের কারও না থাকাকে কেউ কেউ যুগবদলের বাঁক হিসেবেই দেখছেন। বছর দুয়েক আগে টেনিস ছেড়েছেন ফেদেরার। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে উপনীত রজার ফেদেরারও। ব্যতিক্রম জোকোভিচ; ছত্রিশেও পেশাদার সার্কিটে তাঁর কৈশোরীয় চাঞ্চল্যের উপস্থিতি। এবার সেমিতে তাঁর বিদায়ে স্বাভাবিকভাবে বিশ্ব টেনিসে পালাবদলের প্রশ্নটা আসছেই।
তো এই পালাবদলে নতুনের কেতন ওড়াবেন কে? জোকোভিচের বড় চ্যালেঞ্জার যিনি, সেই কার্লোস আলকারাস অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিয়েছেন। বিদায় নিলেও তাঁর যে খেলার ধরন আর মানসিক শক্তি, তাতে টেনিস পণ্ডিতদের কাছে তিনিই লম্বা রেসের ঘোড়া। এই আলকারাসকে বাদ দিলে সাফল্যের বুদ্বুদ তোলা অনেক উদীয়মানকেই পাওয়া যাবে। জার্মানির আলেক্সান্দার জভেরভ, গ্রিসের স্টেফানোস সিৎসিপাস, অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিম, অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিওস, নরওয়ের ক্যাসপার রুড কিংবা আমেরিকার ফ্রান্সেস তিয়াফোও আছেন এই তালিকায়। আছেন আজকের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দুই ফাইনালিস্ট রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ ও ইতালির ইয়ানিক সিনার। কিন্তু কার্লোস আলকারাস বাদে আর কোনো উদীয়মানই পেশাদার সার্কিটে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। কখনো প্রত্যাশিতভাবে চমকে দিয়েছেন। গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে উঠছেন। কেউ কেউ হয়তো শিরোপাও জিতছেন। কিন্তু পরের গ্র্যান্ড স্লামে তাঁর কোনো খবর নেই। থাকলে কি আর ‘বড় তিন’কে ছাড়াই কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল হতে এত সময় লাগে!
তবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল জয়ীর তৈরি হতে পারে ধারাবাহিকতার ভিত। দানিল মেদভেদেভকে অবশ্য উদীয়মান বলা যাবে না। ২০১৪ সালে পেশাদার সার্কিটে পা রাখা রুশ প্রতিযোগীর বয়স ২৭। ২০২১ ইউএস ওপেনজয়ী এই তারকা চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল খেলেছেন। এবারের ফাইনাল জিতলে সেটা তাঁর ধারাবাহিক হয়ে ওঠার গল্পই বলবে।
কাগজে-কলমে আজকের ফাইনালে মেদভেদেভ ফেবারিটও। এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে সিনারের অবস্থান ৪। মেদভেদেভের ৩। সিনারের ১০ এটিপি শিরোপার বিপরীতে তাঁর শোকেসে ২০টি শিরোপা। গ্র্যান্ড স্লামে এটাই সিনারের প্রথম ফাইনাল। মেদভেদেভের এটি ষষ্ঠ। মুখোমুখি লড়াইয়েও সিনারের চেয়ে ঢের এগিয়ে মেদভেদেভ। এ পর্যন্ত ৯ সাক্ষাতের ৩ টিতে জিতেছেন সিনার। মেদভেদেভের জয় ৬ টিতে।
এই এগিয়ে থাকার সঙ্গে মেদভেদেভের আছে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসও। ফাইনালের আগে বললেন, ‘আগের চেয়ে আমি এখন শক্তিশালী। এখন জানি, এমন কিছু করতে সক্ষম, আগে ভেবেছিলাম, যা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ফাইনালে উঠতে যা করেছি, আগে তা কখনো করিনি। কাজেই আগের চেয়ে আমি মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং আমি আমার প্রস্তুতি নিয়ে খুশি।’ তবে মেদভেদেভের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যেতে হবে নিজেকে, ‘যদি (সিনারকে) হারাতে চাই, তবে নিজের খেলাটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে আমাকে।’
‘মানসিকভাবে শক্তিশালী’ হতে পারেন মেদভেদেভ, যদি তাঁর কোনো দুর্বলতা থেকে থাকে, সেটি শারীরিকভাবে অধিকতর শক্তিশালী না হওয়া। যেটা কার্লোস আলকারাসের আছে। প্রতিপক্ষ সিনারের শক্তির জায়গা অবশ্য অন্যখানে। বেজলাইনে সৃষ্টিশীল তাঁর নড়ন-চড়ন। জোরাল ফোরহ্যান্ড কিংবা দুই হাতের শক্তিশালী ব্যাকহ্যান্ড যে কারও জন্য ভয়ের কারণ। সিনার তাঁর শেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে থাকা তারকাকে হারিয়েছেন।
এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও দুর্দান্ত খেলেছেন সিনার। ফাইনালে ওঠার পথে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন। শুধু জোকোভিচের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টাইব্রেকে হারা সেটটি বাদ দিলে দ্বিতীয় কোনো সেট হারেননি সিনার। ফাইনালের আগে হারানোর কিছু নেই মন্ত্রে উজ্জীবিতও সিনার, ‘সত্যি বলতে আমি নির্ভার। যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করার চেষ্টা করি এবং বিশ্বাস করি, পরিশ্রম বৃথা যায় না। স্বপ্নপূরণে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করছি আমরা।’
তাহলে আজ জিতবেন কে? উত্তরটা সময়ের হাতেই। তবে ফাইনালের আগেই বলা যায়, নতুন চ্যাম্পিয়নকে দেখবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার—গত এক দশকে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নেই তিন টেনিস সুপারস্টারের একজনও। শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই-বা বলছি কেন, কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালই হয়নি, যেখানে এই ‘বিগ থ্রি’র একজনও ছিলেন না!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ওই তিনজনের কারও না থাকাকে কেউ কেউ যুগবদলের বাঁক হিসেবেই দেখছেন। বছর দুয়েক আগে টেনিস ছেড়েছেন ফেদেরার। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে উপনীত রজার ফেদেরারও। ব্যতিক্রম জোকোভিচ; ছত্রিশেও পেশাদার সার্কিটে তাঁর কৈশোরীয় চাঞ্চল্যের উপস্থিতি। এবার সেমিতে তাঁর বিদায়ে স্বাভাবিকভাবে বিশ্ব টেনিসে পালাবদলের প্রশ্নটা আসছেই।
তো এই পালাবদলে নতুনের কেতন ওড়াবেন কে? জোকোভিচের বড় চ্যালেঞ্জার যিনি, সেই কার্লোস আলকারাস অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিয়েছেন। বিদায় নিলেও তাঁর যে খেলার ধরন আর মানসিক শক্তি, তাতে টেনিস পণ্ডিতদের কাছে তিনিই লম্বা রেসের ঘোড়া। এই আলকারাসকে বাদ দিলে সাফল্যের বুদ্বুদ তোলা অনেক উদীয়মানকেই পাওয়া যাবে। জার্মানির আলেক্সান্দার জভেরভ, গ্রিসের স্টেফানোস সিৎসিপাস, অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিম, অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিওস, নরওয়ের ক্যাসপার রুড কিংবা আমেরিকার ফ্রান্সেস তিয়াফোও আছেন এই তালিকায়। আছেন আজকের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দুই ফাইনালিস্ট রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ ও ইতালির ইয়ানিক সিনার। কিন্তু কার্লোস আলকারাস বাদে আর কোনো উদীয়মানই পেশাদার সার্কিটে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। কখনো প্রত্যাশিতভাবে চমকে দিয়েছেন। গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে উঠছেন। কেউ কেউ হয়তো শিরোপাও জিতছেন। কিন্তু পরের গ্র্যান্ড স্লামে তাঁর কোনো খবর নেই। থাকলে কি আর ‘বড় তিন’কে ছাড়াই কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল হতে এত সময় লাগে!
তবে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল জয়ীর তৈরি হতে পারে ধারাবাহিকতার ভিত। দানিল মেদভেদেভকে অবশ্য উদীয়মান বলা যাবে না। ২০১৪ সালে পেশাদার সার্কিটে পা রাখা রুশ প্রতিযোগীর বয়স ২৭। ২০২১ ইউএস ওপেনজয়ী এই তারকা চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল খেলেছেন। এবারের ফাইনাল জিতলে সেটা তাঁর ধারাবাহিক হয়ে ওঠার গল্পই বলবে।
কাগজে-কলমে আজকের ফাইনালে মেদভেদেভ ফেবারিটও। এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে সিনারের অবস্থান ৪। মেদভেদেভের ৩। সিনারের ১০ এটিপি শিরোপার বিপরীতে তাঁর শোকেসে ২০টি শিরোপা। গ্র্যান্ড স্লামে এটাই সিনারের প্রথম ফাইনাল। মেদভেদেভের এটি ষষ্ঠ। মুখোমুখি লড়াইয়েও সিনারের চেয়ে ঢের এগিয়ে মেদভেদেভ। এ পর্যন্ত ৯ সাক্ষাতের ৩ টিতে জিতেছেন সিনার। মেদভেদেভের জয় ৬ টিতে।
এই এগিয়ে থাকার সঙ্গে মেদভেদেভের আছে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসও। ফাইনালের আগে বললেন, ‘আগের চেয়ে আমি এখন শক্তিশালী। এখন জানি, এমন কিছু করতে সক্ষম, আগে ভেবেছিলাম, যা হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ফাইনালে উঠতে যা করেছি, আগে তা কখনো করিনি। কাজেই আগের চেয়ে আমি মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং আমি আমার প্রস্তুতি নিয়ে খুশি।’ তবে মেদভেদেভের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যেতে হবে নিজেকে, ‘যদি (সিনারকে) হারাতে চাই, তবে নিজের খেলাটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে আমাকে।’
‘মানসিকভাবে শক্তিশালী’ হতে পারেন মেদভেদেভ, যদি তাঁর কোনো দুর্বলতা থেকে থাকে, সেটি শারীরিকভাবে অধিকতর শক্তিশালী না হওয়া। যেটা কার্লোস আলকারাসের আছে। প্রতিপক্ষ সিনারের শক্তির জায়গা অবশ্য অন্যখানে। বেজলাইনে সৃষ্টিশীল তাঁর নড়ন-চড়ন। জোরাল ফোরহ্যান্ড কিংবা দুই হাতের শক্তিশালী ব্যাকহ্যান্ড যে কারও জন্য ভয়ের কারণ। সিনার তাঁর শেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে থাকা তারকাকে হারিয়েছেন।
এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও দুর্দান্ত খেলেছেন সিনার। ফাইনালে ওঠার পথে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন। শুধু জোকোভিচের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টাইব্রেকে হারা সেটটি বাদ দিলে দ্বিতীয় কোনো সেট হারেননি সিনার। ফাইনালের আগে হারানোর কিছু নেই মন্ত্রে উজ্জীবিতও সিনার, ‘সত্যি বলতে আমি নির্ভার। যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করার চেষ্টা করি এবং বিশ্বাস করি, পরিশ্রম বৃথা যায় না। স্বপ্নপূরণে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করছি আমরা।’
তাহলে আজ জিতবেন কে? উত্তরটা সময়ের হাতেই। তবে ফাইনালের আগেই বলা যায়, নতুন চ্যাম্পিয়নকে দেখবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে