কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর
কুটির শিল্পের গ্রাম নামে খ্যাত যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল। এটি ও পাশের দুই গ্রামের বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০০ কারখানা। এসব কারখানায় কাঠ দিয়ে ফুলদানি, মোমদানি, মেয়েদের চুরির আলনা, কলস, বাটি, অ্যাশ ট্রে, সিঁদুর বক্সসহ ৩০ ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করে প্রায় ৫০০ পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে।
এ পেশায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এক যুগ আগেও অর্থাভাবে থাকা গ্রামের অধিকাংশ মানুষের সংসারে এখন কুটির শিল্পের মাধ্যমে এসেছে সচ্ছলতা। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।
জানা গেছে, উপজেলার আলতাপোল গ্রামের ইনসার আলী নামে এক ব্যক্তি ভারত থেকে এসব পণ্য তৈরির কাজ শিখে ২০০০ সালে এলাকায় ফিরে আসেন। পরে তিনি আলতাপোল গ্রামে কাঠ দিয়ে পণ্য তৈরি শুরু করেন। তাঁর সফলতা দেখে এলাকার অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হন। গ্রামের ৬৫ ভাগ মানুষ বাড়িতেই মোটর কিনে গড়ে তোলেন প্রায় ৪০০ কারখানা। অর্থাভাবে থাকা এলাকার বেকার যুবকসহ নারীরা জড়িয়ে পড়েন এ কাজে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরাও শ্রমিক হিসেবে এখন কাজ করছেন আলতাপোল কুটির শিল্পে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আয় বেড়েছে তাঁদের সংসারে।
কুটির শিল্পকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় সম্প্রতি আলতাপোলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের প্রথম জীবিকায়ন শিল্প পল্লি। এর মাধ্যমে এ পল্লির প্রায় ৬০০ পরিবার সরকারি অর্থ ও প্রশিক্ষণ সহায়তায় নিজেদের ব্যবসার আরও বেশি উন্নয়ন করার সুযোগ পাবেন।
কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেহগনি কাঠ থেকে কুটির শিল্পের এসব পণ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। স্থানীয় ১২টি করাতকলে মেহগনি কাঠ নির্দিষ্ট মাপে কেটে টুকরো করা হয়। পরে শ্রমিকেরা টুকরো করা কাঠের ছাল উঠিয়ে রোদে শুকাতে দেন। দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকানোর পর কারখানায় আনা হয় এসব কাঠ। পরে বৈদ্যুতিক মোটরে লাগানো ঘূর্ণয়মান রোলারে কাঠ আটকিয়ে ধারালো বাটালির ছোঁয়ায় খোদাই করে তৈরি করা হয় হরেক রকমের পণ্য।
এসব পণ্যে সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে মসৃণ করে রং পলিশ ও ফার্নেস করার পর বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি গভীর রাত অবধি চলে এ কর্মযজ্ঞ। শ্রমিকদের তৈরি করা পণ্যের পিচ হিসেবে দেওয়া হয় মজুরি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আলতাপোল, মঙ্গলকোট ও কন্দর্পপুর গ্রামে প্রতি মাসে তৈরি করা কুটির শিল্পের এসব পণ্য ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়।
কুটির শিল্প তৈরি করার সময় আলতাপোল গ্রামের আলমগীর হোসেনের (৩৮) সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি স্থানীয় মহাজনের কারখানায় কাঠ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে থাকেন। পিচ অনুযায়ী মহাজন টাকা দেয়। তার মতো এলাকার অধিকাংশ যুবক এ কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আবু বক্কার মোড়ল বলেন, তিনি প্রতিদিন ছোট খেলনা হাঁড়ি ১০০টির বেশি তৈরি করতে পারেন। তার প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়।
নারী শ্রমিক শাহনাজ খাতুন বলেন, যখন কাজ থাকে তখন প্রতিদিন তার ৭০০-৮০০ টাকা আয়। সংসারে আয় বাড়াতে ও উন্নতি করতে তার মতো অনেক নারীই এখন কুটির শিল্পে কাজ করেন।
আলতাপোল তেইশ মাইল বাজারের ভাই ভাই কুটির শিল্পের ম্যানেজার রনি বিশ্বাস বলেন, তার কারখানায় ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পিচ হিসেবে তাঁদের তৈরি পণ্যের মজুরি দেওয়া হয়। মেলার সময় কুটির শিল্পের চাহিদা বেশি থাকে। এসব তৈরি পণ্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগসহ দেশের সব জেলায় যায়।
উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজন কুমার চন্দ্র বলেন, বিআরডিবি পল্লি জীবিকায়ন শিল্প পল্লির মাধ্যমে আলতাপোলে কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে দেড় কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, কুটির শিল্পের মাধ্যমে আলতাপোল গ্রামের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে ব্যবসার উন্নয়ন করতে গড়ে তোলা হয়েছে জীবিকায়ন শিল্প পল্লি।
কুটির শিল্পের গ্রাম নামে খ্যাত যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল। এটি ও পাশের দুই গ্রামের বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে প্রায় ৪০০ কারখানা। এসব কারখানায় কাঠ দিয়ে ফুলদানি, মোমদানি, মেয়েদের চুরির আলনা, কলস, বাটি, অ্যাশ ট্রে, সিঁদুর বক্সসহ ৩০ ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করে প্রায় ৫০০ পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে।
এ পেশায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এক যুগ আগেও অর্থাভাবে থাকা গ্রামের অধিকাংশ মানুষের সংসারে এখন কুটির শিল্পের মাধ্যমে এসেছে সচ্ছলতা। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।
জানা গেছে, উপজেলার আলতাপোল গ্রামের ইনসার আলী নামে এক ব্যক্তি ভারত থেকে এসব পণ্য তৈরির কাজ শিখে ২০০০ সালে এলাকায় ফিরে আসেন। পরে তিনি আলতাপোল গ্রামে কাঠ দিয়ে পণ্য তৈরি শুরু করেন। তাঁর সফলতা দেখে এলাকার অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হন। গ্রামের ৬৫ ভাগ মানুষ বাড়িতেই মোটর কিনে গড়ে তোলেন প্রায় ৪০০ কারখানা। অর্থাভাবে থাকা এলাকার বেকার যুবকসহ নারীরা জড়িয়ে পড়েন এ কাজে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরাও শ্রমিক হিসেবে এখন কাজ করছেন আলতাপোল কুটির শিল্পে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আয় বেড়েছে তাঁদের সংসারে।
কুটির শিল্পকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় সম্প্রতি আলতাপোলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের প্রথম জীবিকায়ন শিল্প পল্লি। এর মাধ্যমে এ পল্লির প্রায় ৬০০ পরিবার সরকারি অর্থ ও প্রশিক্ষণ সহায়তায় নিজেদের ব্যবসার আরও বেশি উন্নয়ন করার সুযোগ পাবেন।
কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেহগনি কাঠ থেকে কুটির শিল্পের এসব পণ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। স্থানীয় ১২টি করাতকলে মেহগনি কাঠ নির্দিষ্ট মাপে কেটে টুকরো করা হয়। পরে শ্রমিকেরা টুকরো করা কাঠের ছাল উঠিয়ে রোদে শুকাতে দেন। দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকানোর পর কারখানায় আনা হয় এসব কাঠ। পরে বৈদ্যুতিক মোটরে লাগানো ঘূর্ণয়মান রোলারে কাঠ আটকিয়ে ধারালো বাটালির ছোঁয়ায় খোদাই করে তৈরি করা হয় হরেক রকমের পণ্য।
এসব পণ্যে সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে মসৃণ করে রং পলিশ ও ফার্নেস করার পর বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি গভীর রাত অবধি চলে এ কর্মযজ্ঞ। শ্রমিকদের তৈরি করা পণ্যের পিচ হিসেবে দেওয়া হয় মজুরি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আলতাপোল, মঙ্গলকোট ও কন্দর্পপুর গ্রামে প্রতি মাসে তৈরি করা কুটির শিল্পের এসব পণ্য ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়।
কুটির শিল্প তৈরি করার সময় আলতাপোল গ্রামের আলমগীর হোসেনের (৩৮) সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে তিনি স্থানীয় মহাজনের কারখানায় কাঠ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে থাকেন। পিচ অনুযায়ী মহাজন টাকা দেয়। তার মতো এলাকার অধিকাংশ যুবক এ কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আবু বক্কার মোড়ল বলেন, তিনি প্রতিদিন ছোট খেলনা হাঁড়ি ১০০টির বেশি তৈরি করতে পারেন। তার প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়।
নারী শ্রমিক শাহনাজ খাতুন বলেন, যখন কাজ থাকে তখন প্রতিদিন তার ৭০০-৮০০ টাকা আয়। সংসারে আয় বাড়াতে ও উন্নতি করতে তার মতো অনেক নারীই এখন কুটির শিল্পে কাজ করেন।
আলতাপোল তেইশ মাইল বাজারের ভাই ভাই কুটির শিল্পের ম্যানেজার রনি বিশ্বাস বলেন, তার কারখানায় ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। পিচ হিসেবে তাঁদের তৈরি পণ্যের মজুরি দেওয়া হয়। মেলার সময় কুটির শিল্পের চাহিদা বেশি থাকে। এসব তৈরি পণ্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগসহ দেশের সব জেলায় যায়।
উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুজন কুমার চন্দ্র বলেন, বিআরডিবি পল্লি জীবিকায়ন শিল্প পল্লির মাধ্যমে আলতাপোলে কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে দেড় কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, কুটির শিল্পের মাধ্যমে আলতাপোল গ্রামের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে ব্যবসার উন্নয়ন করতে গড়ে তোলা হয়েছে জীবিকায়ন শিল্প পল্লি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে