সম্পাদকীয়
শিক্ষকদের হেনস্তা করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। বিভিন্ন শিক্ষালয়ে জোর করে শিক্ষকদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটের সঙ্গে এই আচরণ যায় না।
আগস্ট মাসে পটপরিবর্তনের পর থেকেই শিক্ষক হেনস্তা শুরু হয়েছিল। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাদের গুরুজন শিক্ষকদের অসম্মান করছিল এবং এখনো করে যাচ্ছে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং পড়ছে, তাতে বিব্রত না হয়ে পারা যায় না।
কোনো শিক্ষক যদি বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু দেখা গেছে, এখনো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করাচ্ছে, নানাভাবে হেনস্তা করেছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশ কতটা কাজে লাগবে, সেটাই দেখার বিষয়।
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের তোষণ, বিদ্যায়তনের উন্নয়নকাজে ঠিকাদারিতে অনিয়ম, স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে টাকাপয়সার লেনদেন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা রকম অভিযোগ রয়েছে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর। কিন্তু সে রকম অপরাধের জন্ম হলে তার সুষ্ঠু বিচার করে শাস্তি দেওয়াই স্বাভাবিক নিয়ম। সেই শাস্তি পাওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে না, কারণ কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের প্রধান যদি সরকারি দলের আনুকূল্য পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের আর শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। সেই সুযোগটাই নেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বড় একটা অংশ।
নিরপেক্ষ তদন্ত দলের তদন্ত করার ক্ষমতা থাকলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে বলে প্রশাসনকে দুর্নীতি ও দলীয়করণমুক্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য শিক্ষাবিষয়ক ভাবনায় আমূল পরিবর্তন দরকার। সরকার ও রাজনীতি থেকে প্রশাসনিক কাজকে পুরোপুরি আলাদা করা না গেলে কোনো টোটকা চিকিৎসায় এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসা যাবে না।
শিক্ষার্থীরা ছিল আগস্ট অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই এভাবে শিক্ষকদের হেনস্তা করার ঘটনা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই অফিস আদেশকে সম্মান করে শিক্ষার্থীরা এই আচরণ থেকে বিরত থাকবে—এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই উন্মত্ত আচরণ দেখছে, তারাও যদি একই আচরণ করতে শুরু করে, তাহলে তাদের ঠেকাবে কে? এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া না হলে শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা ঘটবে—এ রকম গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না।
শিক্ষকদের হেনস্তা করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। বিভিন্ন শিক্ষালয়ে জোর করে শিক্ষকদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটের সঙ্গে এই আচরণ যায় না।
আগস্ট মাসে পটপরিবর্তনের পর থেকেই শিক্ষক হেনস্তা শুরু হয়েছিল। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাদের গুরুজন শিক্ষকদের অসম্মান করছিল এবং এখনো করে যাচ্ছে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং পড়ছে, তাতে বিব্রত না হয়ে পারা যায় না।
কোনো শিক্ষক যদি বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু দেখা গেছে, এখনো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করাচ্ছে, নানাভাবে হেনস্তা করেছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশ কতটা কাজে লাগবে, সেটাই দেখার বিষয়।
আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের তোষণ, বিদ্যায়তনের উন্নয়নকাজে ঠিকাদারিতে অনিয়ম, স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে টাকাপয়সার লেনদেন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা রকম অভিযোগ রয়েছে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর। কিন্তু সে রকম অপরাধের জন্ম হলে তার সুষ্ঠু বিচার করে শাস্তি দেওয়াই স্বাভাবিক নিয়ম। সেই শাস্তি পাওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে না, কারণ কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের প্রধান যদি সরকারি দলের আনুকূল্য পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের আর শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। সেই সুযোগটাই নেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বড় একটা অংশ।
নিরপেক্ষ তদন্ত দলের তদন্ত করার ক্ষমতা থাকলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে বলে প্রশাসনকে দুর্নীতি ও দলীয়করণমুক্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য শিক্ষাবিষয়ক ভাবনায় আমূল পরিবর্তন দরকার। সরকার ও রাজনীতি থেকে প্রশাসনিক কাজকে পুরোপুরি আলাদা করা না গেলে কোনো টোটকা চিকিৎসায় এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসা যাবে না।
শিক্ষার্থীরা ছিল আগস্ট অভ্যুত্থানের অগ্রভাগে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই এভাবে শিক্ষকদের হেনস্তা করার ঘটনা এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই অফিস আদেশকে সম্মান করে শিক্ষার্থীরা এই আচরণ থেকে বিরত থাকবে—এটা আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই উন্মত্ত আচরণ দেখছে, তারাও যদি একই আচরণ করতে শুরু করে, তাহলে তাদের ঠেকাবে কে? এ ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে দিকনির্দেশনা দেওয়া না হলে শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা ঘটবে—এ রকম গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে