ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের লোকদের প্রাধান্য দেওয়ার তথ্য মিলেছে। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়, যেটি আগে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সে কারণেই ওই অঞ্চলের লোকেরা নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নিয়োগ বোর্ডের একাধিক সদস্য, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী সমিতির একাধিক নেতা জানান, বরিশাল অঞ্চলের লোকজন যাতে নিয়োগ পান সে জন্য নিয়োগ বোর্ডে তদবির করতেন উপাচার্য, উপাচার্যের স্ত্রী, ছেলে ও ভাগনে।
তবে মো. আখতারুজ্জামান দাবি করেছেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কথা মানুষজন বলে, বললেই তো আর বস্তুনিষ্ঠতা, সত্যনিষ্ঠতা থাকে না। আমি এসব অভিযোগ কখনো শুনিনি।’
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল ৩ নভেম্বর। এই পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। মো. আখতারুজ্জামান প্রথমে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্যানেল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হলে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর আখতারুজ্জামান উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখতারুজ্জামান দায়িত্বে থাকাকালে নিজ এলাকার শতাধিক লোককে নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮০ জনের তথ্য আজকের পত্রিকার কাছে আছে। উপাচার্যের দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এইচ এম নয়নের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে। সেকশন অফিসার নুর ইসলাম এবং প্রটোকল অফিসারের (পিও) দায়িত্বরত মাহামুদুল হাসান তানভীরও একই অঞ্চলের। পিয়ন পদে নিয়োগ পাওয়া এক নারীও বরিশালের। রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই বরিশালের।
জনসংযোগ দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে। তাঁরা হলেন সেকশন অফিসার রায়হানুল ইসলাম আবির ও তথ্যকেন্দ্রের পিয়ন সঞ্জয় কুমার। জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মাহমুদ আলমের বাড়ি পটুয়াখালী। প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে ১১ জন, হিসাব পরিচালকের দপ্তরে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন, এস্টেট অফিসে ৩৫ জনের মধ্যে ৮ জন এবং মাস্টাররোলের (অস্থায়ী) ৩ জনই বরিশালের।
আরও জানা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং মাস্টাররোলে ৭ জন, পরিবহন দপ্তরে ৯ জনের মধ্যে ৪ জন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মো. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে তৃতীয় শ্রেণিতে ৪ জনের মধ্যে ৩ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৯ জনের মধ্যে ৬ জন, হোমিও চিকিৎসক হিসেবে দুজনের মধ্যে দুই এবং অ্যালোপ্যাথিকে একজনে ১, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে ২৬ জনের মধ্যে ১০ জন, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ৭ জনে ২ জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসে ৮ জনে ২ জন, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসে ৩ জনের মধ্যে ২ জনই বরিশাল অঞ্চলের।
নিয়োগ বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে অঞ্চল না দেখে নিয়োগ দিলেও সেটি তদবিরের কারণে পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা যাঁদের নাম সুপারিশ করি, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হয় না, সে জায়গায় বরিশাল অঞ্চলের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়।’
জানা যায়, এ ধরনের কাজে বিদায়ী উপাচার্য ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও ছেলে আশিক খান এবং ভাগনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পিজে হার্টগে ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই প্রভাব খাটাতেন।
রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক দপ্তরপ্রধান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নিয়োগ বোর্ডে থাকতাম, কিন্তু যাচাই-বাছাই করে দেওয়ার সুযোগ হতো না। স্যার, ম্যাডাম যা বলতেন তা আমাদের করতে হতো। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।’
তবে জনবল নিয়োগে বরিশাল অঞ্চলকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছরের দায়িত্বকালে আখতারুজ্জামান নিজের এবং স্ত্রীর স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন উপাচার্যের ভাগনে, ভাগনি জামাই; উপাচার্যপত্নীর ভাতিজি, ভাইয়ের ছেলের বউ, ভাগনি জামাই, খালাতো বোনের মেয়েসহ প্রায় ৪০ জন। এ ছাড়া মেয়াদের শেষ সময়ে এসেও বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখেন বিদায়ী উপাচার্য। গত মাসে এক সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনই উপাচার্য এবং তার স্ত্রীর স্বজন।
সূত্র মতে, আবদুল হাইয়ের আত্মীয় সাইফুল ইসলাম নিয়োগ পান হিসাব পরিচালকের দপ্তরের নিরীক্ষক হিসেবে। উপাচার্যের ভাগনি জামাই শহিদুল নিয়োগ পেয়েছেন জসীমউদদীন হলে। আরেক ভাগনি জামাই এনামুল নিয়োগ পান কম্পিউটার অপারেটর পদে। উপাচার্যের স্ত্রীর ভাতিজা বউ পাপিয়া লেদার ইনস্টিটিউটে, ভাতিজি কলি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে, ভাগনির ছেলে কাইয়ুম নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। ভাগনে মানিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে, বিদায়ী উপাচার্যের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে লিংকন মেডিকেল সেন্টারে, আরেক চাচাতো ভাইয়ের ছেলে পারভেজ ইন্টারন্যাশনাল হলে, স্ত্রীর খালাতো বোনের মেয়ের জামাই মুসা ডাকসু অফিসে চাকরি পেয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কিছু মানুষের উদ্দেশ্যই থাকে মানুষের খুঁত ধরা, এটা যার যার স্বাধীনতা। এসব বিষয়ে আমাকে বিব্রত করে লাভ নেই। যথাযথ প্রক্রিয়ায় সততার সঙ্গে প্রয়াস নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫০ জন কিংবা ১০ জনের মধ্যে ১ জন নিয়োগ পায়, তখন বাকিরা কথা বলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে যেন পদ কম পায়, সেটি করেছি। সেটি একসময় বিশ্ববিদ্যালয় বুঝতে পারবে, একসময় সেটি বেশি ছিল। বেশ কিছু হতদরিদ্র মানুষ, যাদের বংশে প্রথম একজন চতুর্থ শ্রেণিতে চাকরি পেয়েছে, এ রকম অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ রকম তদবির করা হয়েছে, এসব মানবিক কাজ।’
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের লোকদের প্রাধান্য দেওয়ার তথ্য মিলেছে। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়, যেটি আগে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সে কারণেই ওই অঞ্চলের লোকেরা নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নিয়োগ বোর্ডের একাধিক সদস্য, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী সমিতির একাধিক নেতা জানান, বরিশাল অঞ্চলের লোকজন যাতে নিয়োগ পান সে জন্য নিয়োগ বোর্ডে তদবির করতেন উপাচার্য, উপাচার্যের স্ত্রী, ছেলে ও ভাগনে।
তবে মো. আখতারুজ্জামান দাবি করেছেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কথা মানুষজন বলে, বললেই তো আর বস্তুনিষ্ঠতা, সত্যনিষ্ঠতা থাকে না। আমি এসব অভিযোগ কখনো শুনিনি।’
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল ৩ নভেম্বর। এই পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। মো. আখতারুজ্জামান প্রথমে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্যানেল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হলে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর আখতারুজ্জামান উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখতারুজ্জামান দায়িত্বে থাকাকালে নিজ এলাকার শতাধিক লোককে নিয়োগ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮০ জনের তথ্য আজকের পত্রিকার কাছে আছে। উপাচার্যের দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এইচ এম নয়নের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে। সেকশন অফিসার নুর ইসলাম এবং প্রটোকল অফিসারের (পিও) দায়িত্বরত মাহামুদুল হাসান তানভীরও একই অঞ্চলের। পিয়ন পদে নিয়োগ পাওয়া এক নারীও বরিশালের। রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই বরিশালের।
জনসংযোগ দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে। তাঁরা হলেন সেকশন অফিসার রায়হানুল ইসলাম আবির ও তথ্যকেন্দ্রের পিয়ন সঞ্জয় কুমার। জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মাহমুদ আলমের বাড়ি পটুয়াখালী। প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে ১১ জন, হিসাব পরিচালকের দপ্তরে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন, এস্টেট অফিসে ৩৫ জনের মধ্যে ৮ জন এবং মাস্টাররোলের (অস্থায়ী) ৩ জনই বরিশালের।
আরও জানা যায়, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং মাস্টাররোলে ৭ জন, পরিবহন দপ্তরে ৯ জনের মধ্যে ৪ জন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মো. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে তৃতীয় শ্রেণিতে ৪ জনের মধ্যে ৩ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৯ জনের মধ্যে ৬ জন, হোমিও চিকিৎসক হিসেবে দুজনের মধ্যে দুই এবং অ্যালোপ্যাথিকে একজনে ১, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে ২৬ জনের মধ্যে ১০ জন, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ৭ জনে ২ জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসে ৮ জনে ২ জন, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসে ৩ জনের মধ্যে ২ জনই বরিশাল অঞ্চলের।
নিয়োগ বোর্ডের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে অঞ্চল না দেখে নিয়োগ দিলেও সেটি তদবিরের কারণে পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা যাঁদের নাম সুপারিশ করি, তাঁদেরও নিয়োগ দেওয়া হয় না, সে জায়গায় বরিশাল অঞ্চলের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়।’
জানা যায়, এ ধরনের কাজে বিদায়ী উপাচার্য ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও ছেলে আশিক খান এবং ভাগনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার পিজে হার্টগে ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই প্রভাব খাটাতেন।
রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক দপ্তরপ্রধান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নিয়োগ বোর্ডে থাকতাম, কিন্তু যাচাই-বাছাই করে দেওয়ার সুযোগ হতো না। স্যার, ম্যাডাম যা বলতেন তা আমাদের করতে হতো। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।’
তবে জনবল নিয়োগে বরিশাল অঞ্চলকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছরের দায়িত্বকালে আখতারুজ্জামান নিজের এবং স্ত্রীর স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন উপাচার্যের ভাগনে, ভাগনি জামাই; উপাচার্যপত্নীর ভাতিজি, ভাইয়ের ছেলের বউ, ভাগনি জামাই, খালাতো বোনের মেয়েসহ প্রায় ৪০ জন। এ ছাড়া মেয়াদের শেষ সময়ে এসেও বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখেন বিদায়ী উপাচার্য। গত মাসে এক সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, রোকেয়া হল ও কুয়েত মৈত্রী হলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনই উপাচার্য এবং তার স্ত্রীর স্বজন।
সূত্র মতে, আবদুল হাইয়ের আত্মীয় সাইফুল ইসলাম নিয়োগ পান হিসাব পরিচালকের দপ্তরের নিরীক্ষক হিসেবে। উপাচার্যের ভাগনি জামাই শহিদুল নিয়োগ পেয়েছেন জসীমউদদীন হলে। আরেক ভাগনি জামাই এনামুল নিয়োগ পান কম্পিউটার অপারেটর পদে। উপাচার্যের স্ত্রীর ভাতিজা বউ পাপিয়া লেদার ইনস্টিটিউটে, ভাতিজি কলি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে, ভাগনির ছেলে কাইয়ুম নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে। ভাগনে মানিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে, বিদায়ী উপাচার্যের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে লিংকন মেডিকেল সেন্টারে, আরেক চাচাতো ভাইয়ের ছেলে পারভেজ ইন্টারন্যাশনাল হলে, স্ত্রীর খালাতো বোনের মেয়ের জামাই মুসা ডাকসু অফিসে চাকরি পেয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কিছু মানুষের উদ্দেশ্যই থাকে মানুষের খুঁত ধরা, এটা যার যার স্বাধীনতা। এসব বিষয়ে আমাকে বিব্রত করে লাভ নেই। যথাযথ প্রক্রিয়ায় সততার সঙ্গে প্রয়াস নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫০ জন কিংবা ১০ জনের মধ্যে ১ জন নিয়োগ পায়, তখন বাকিরা কথা বলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে যেন পদ কম পায়, সেটি করেছি। সেটি একসময় বিশ্ববিদ্যালয় বুঝতে পারবে, একসময় সেটি বেশি ছিল। বেশ কিছু হতদরিদ্র মানুষ, যাদের বংশে প্রথম একজন চতুর্থ শ্রেণিতে চাকরি পেয়েছে, এ রকম অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ রকম তদবির করা হয়েছে, এসব মানবিক কাজ।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে