মাহবুব আলম আরিফমুরাদনগর (কুমিল্লা)
তার বয়স যেমন বেশি, কলেবর তেমন বিশালকায়। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে আদালতে মামলাও হয়েছে। তাই আয়োজন করে মারতে না পেরে এবার কৌশলে একটু একটু করে তাকে মারার পাঁয়তারা চলছে। এতে কেউ বুঝবে না কী চলছে, কিন্তু দু-দশ-বিশ বছর পর একদিন সে নাই হয়ে যাবে।
কুমিল্লার মুরাদনগরের রায় দিঘির বয়স ১১০ বছর। আয়তন ছিল ১৫ একরের বেশি। দিঘিটি ভরাট করার জন্য কোনো দিন রাতের বেলা টুপ করে এক ট্রাক ভাঙা ইট অথবা মাটি ফেলা হয়। এরপর সব চুপচাপ। দু-এক দিনের বিরতি দিয়ে একই জায়গায় আবারও এক ট্রাক ইট অথবা মাটি ফেলা হচ্ছে। এভাবেই চলছে কয়েক বছর ধরে। একটু একটু করে এত দিনে ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৬ একর। এখন আছে ৯ একর। এ কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা, নিতাইসহ কয়েকজন।
শতাব্দীপ্রাচীন রায় দিঘিটির অবস্থান উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় এলাকায়। এ জন্য দিঘিটি নগরপাড় দিঘি হিসেবেও পরিচিত। নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তথ্য বাতায়নের তথ্য অনুযায়ী, ১৯১০ সালে তৎকালীন তিন জমিদারের প্রচেষ্টায় ওই দিঘিটি খনন করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকার জদুলাল বসাক, বাঙ্গরার রূপক চন্দ্র ও নগরপাড়ের রামদেব রায়। নগরপাড় জমিদার বংশের নামানুসারে রায় দিঘি নামেই এটি পরিচিতি পায়।
জানা যায়, ২০১২ সালে দিঘির পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই বছরই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দিঘিতে কোনো প্রকার ভরাটের কাজ না করতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
এই দিঘির এক পাশ থেকে নিয়মিত ভরাট করে যাচ্ছেন এম এস সি ব্রিকসের মালিক গোলাম মোস্তফা। দু-এক দিন পরপরই নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রাকে করে ইট, ভাঙা ইট ও ইটের গুঁড়া এনে দিঘির এক পাশে ফেলছেন। মানুষের চোখে যেন না পড়ে, সে জন্য কৌশলে সামনে টিনের বেড়া লাগিয়ে নিয়েছেন।
দিঘি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা দাবি করেন, ‘এই দিঘিতে আমার প্রায় দেড় একর জায়গা রয়েছে। আদালতে মামলা চলার কারণে কেউ আর ভরাট করছে না। তাই আমিও ওই দিঘিতে আমার জায়গা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রকার ভরাট করছি না।’ কৌশলে ইট ফেলে ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। আগে থেকেই এই জায়গা ভরাট ছিল।’
নিতাই নামে অপর ব্যক্তিও দাবি করেন, তিনি দিঘি ভরাট করছেন না। তবে অভিযোগ করেন, গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দিঘিটি ভরাট করছেন। দিঘিটির উত্তর পাশে একটি বিশাল সরকারি হালট (খাসজমি) ছিল, যা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন দখল করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই সরকারি হালট দখল করে ঘর বানিয়েছেন নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের এবং সিদ্দিক মিয়া চৌধুরী, ইকবাল মিয়া, কাজী সুলতান ও মোহন মিয়া। হালটের পাশে নিজেদের কিছু জমি থাকায় তাঁরা ধীরে ধীরে এ হালট দখলে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, তিনি খাসজমি দখল করেননি। তবে রাস্তার উত্তর পাশের কয়েকটি পরিবার ১১ ফুট খাসজমি দখলে নিয়েছে। তাদের নামে ভূমি আত্মসাতের মামলা হয়েছে।
নিজের বাড়ি খাসজমিতে পড়েছে কি না, জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাপে যদি দেখা যায়, আমার বাড়ি খাসজমিতে পড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নেব।’
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ‘পুকুর বা দিঘি ভরাটের বিষয়ে কেউ আমাদের জানালে আমরা খোঁজ নিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিই। তবে রায় দিঘি ভরাটের বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আর দিঘির পরিবেশ রক্ষার্থে মামলার বিষয়টিও আমার জানা নেই। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি, যদি কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবং দিঘি ভরাট করার চেষ্টা করে, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তার বয়স যেমন বেশি, কলেবর তেমন বিশালকায়। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে আদালতে মামলাও হয়েছে। তাই আয়োজন করে মারতে না পেরে এবার কৌশলে একটু একটু করে তাকে মারার পাঁয়তারা চলছে। এতে কেউ বুঝবে না কী চলছে, কিন্তু দু-দশ-বিশ বছর পর একদিন সে নাই হয়ে যাবে।
কুমিল্লার মুরাদনগরের রায় দিঘির বয়স ১১০ বছর। আয়তন ছিল ১৫ একরের বেশি। দিঘিটি ভরাট করার জন্য কোনো দিন রাতের বেলা টুপ করে এক ট্রাক ভাঙা ইট অথবা মাটি ফেলা হয়। এরপর সব চুপচাপ। দু-এক দিনের বিরতি দিয়ে একই জায়গায় আবারও এক ট্রাক ইট অথবা মাটি ফেলা হচ্ছে। এভাবেই চলছে কয়েক বছর ধরে। একটু একটু করে এত দিনে ভরাট হয়ে গেছে প্রায় ৬ একর। এখন আছে ৯ একর। এ কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা, নিতাইসহ কয়েকজন।
শতাব্দীপ্রাচীন রায় দিঘিটির অবস্থান উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের নগরপাড় এলাকায়। এ জন্য দিঘিটি নগরপাড় দিঘি হিসেবেও পরিচিত। নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তথ্য বাতায়নের তথ্য অনুযায়ী, ১৯১০ সালে তৎকালীন তিন জমিদারের প্রচেষ্টায় ওই দিঘিটি খনন করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকার জদুলাল বসাক, বাঙ্গরার রূপক চন্দ্র ও নগরপাড়ের রামদেব রায়। নগরপাড় জমিদার বংশের নামানুসারে রায় দিঘি নামেই এটি পরিচিতি পায়।
জানা যায়, ২০১২ সালে দিঘির পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই বছরই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দিঘিতে কোনো প্রকার ভরাটের কাজ না করতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
এই দিঘির এক পাশ থেকে নিয়মিত ভরাট করে যাচ্ছেন এম এস সি ব্রিকসের মালিক গোলাম মোস্তফা। দু-এক দিন পরপরই নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রাকে করে ইট, ভাঙা ইট ও ইটের গুঁড়া এনে দিঘির এক পাশে ফেলছেন। মানুষের চোখে যেন না পড়ে, সে জন্য কৌশলে সামনে টিনের বেড়া লাগিয়ে নিয়েছেন।
দিঘি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা দাবি করেন, ‘এই দিঘিতে আমার প্রায় দেড় একর জায়গা রয়েছে। আদালতে মামলা চলার কারণে কেউ আর ভরাট করছে না। তাই আমিও ওই দিঘিতে আমার জায়গা থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রকার ভরাট করছি না।’ কৌশলে ইট ফেলে ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। আগে থেকেই এই জায়গা ভরাট ছিল।’
নিতাই নামে অপর ব্যক্তিও দাবি করেন, তিনি দিঘি ভরাট করছেন না। তবে অভিযোগ করেন, গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দিঘিটি ভরাট করছেন। দিঘিটির উত্তর পাশে একটি বিশাল সরকারি হালট (খাসজমি) ছিল, যা বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন দখল করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই সরকারি হালট দখল করে ঘর বানিয়েছেন নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের এবং সিদ্দিক মিয়া চৌধুরী, ইকবাল মিয়া, কাজী সুলতান ও মোহন মিয়া। হালটের পাশে নিজেদের কিছু জমি থাকায় তাঁরা ধীরে ধীরে এ হালট দখলে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, তিনি খাসজমি দখল করেননি। তবে রাস্তার উত্তর পাশের কয়েকটি পরিবার ১১ ফুট খাসজমি দখলে নিয়েছে। তাদের নামে ভূমি আত্মসাতের মামলা হয়েছে।
নিজের বাড়ি খাসজমিতে পড়েছে কি না, জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাপে যদি দেখা যায়, আমার বাড়ি খাসজমিতে পড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নেব।’
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ‘পুকুর বা দিঘি ভরাটের বিষয়ে কেউ আমাদের জানালে আমরা খোঁজ নিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিই। তবে রায় দিঘি ভরাটের বিষয়ে আমাকে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। আর দিঘির পরিবেশ রক্ষার্থে মামলার বিষয়টিও আমার জানা নেই। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি, যদি কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবং দিঘি ভরাট করার চেষ্টা করে, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে