আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
টানা চার দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয় মনিরামপুরে। ফলে শুকানোর জন্য হাজার হাজার হেক্টর জমির কেটে রাখা পাকা ধান ভিজে খেতেই নষ্ট হচ্ছে।কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি আসায় বহু কৃষক তাঁদের ভেজা ধান শুকনা স্থানে সরিয়ে নিতে পারেননি। এ জন্য ভেজা ধানে খেতেই চারা গজিয়েছে। এখন এসব ধান আর কোনো কাজা আসবে না।
শুধু ধান নয়, বিচালিও পচে নষ্ট হচ্ছে। এবার বোরোর বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে শেষ মুহূর্তে সে হাসি কান্নায় পরিণত হয়েছে অনেক কৃষকের। মাঠজুড়ে কেটে রাখা ও স্তূপ করা ধানে চারা গজাতে দেখে ধানের আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষক। আবার কেউ কেউ পশুখাদ্য (বিচালি) রক্ষায় খেতে নেমে পড়েছেন।
বৃষ্টি থেমে রোদ দেখামাত্র মাঠে নেমে পানি থেকে ধান তুলে শুকনা জমিতে বা খেতের আইলে নেড়ে দিচ্ছেন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে কৃষক পথে বসার উপক্রম হলেও তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানেন না উপজেলা কৃষি অফিস। কোনো উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে দপ্তরে জমাও দেননি। এমনকি খেতে ধান পচা নিয়ে কৃষকের দুর্ভোগ হলেও তাঁদের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না কৃষি দপ্তর।
মামুদকাটি গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ‘দেড় বিঘা জমির ধান কাটার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আর বাড়ি তুলতে পারিনি। বৃষ্টির পানিতে ধান ভিজে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে একটু রোধ পেয়ে গিয়ে দেখি সব ধানে এক দেড় ইঞ্চি করে চারা গজিয়েছে।’
কদমবাড়ীয়া গ্রামের মানিক হোসেন বলেন, ‘দেড় বিঘায় ধান করিছি। অর্ধেক বাড়ি নিতি পারিছি। বাকি ধান কাটা অবস্থায় খেতে ভিজেছে। ভেজা ধানে চারা এসে গেছে। এ ধানে চাল হবে না। এখন ওষুধ ছিটিয়ে দিয়ে ধানের চারা নষ্ট করব, যাতে এসব ধান অন্তত গরুর খাদ্য বানাতে পারি।’
মামুদকাটি, কদমবাড়ীয়া ও রঘুনাথপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, তাঁদের ধান নিয়ে যে দুর্দশা, তা কৃষি অফিসের কেউ একবার চেয়েও দেখেননি। বৃষ্টি আর রোদের মধ্যে ধান পচে চারা এসে গেছে। এ কদিনে কৃষি অফিসের কাউকে মাঠে আসতি দেখেননি।
রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি কাশিমপুর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মাঠের ভেজা ধান একটু রোদ পেলে কৃষকেরা উঁচু স্থানে তুলে নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন, কিন্তু আবার বৃষ্টি আসায় ধান ভিজে যাচ্ছে। কৃষকের এ দুর্ভোগ দেখা যায় না। এ অবস্থায়ও কৃষি অফিসের কাউকে খোঁজখবর নিতে দেখলাম না।’
মামুদকাটি গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ‘৫৩ কাঠা জমির ধান সব মাঠে কাটা রয়েছে। একটা ধানও বাড়ি তুলতি পারিনি। এমনকি বৃষ্টির ৩-৪ দিনে কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তাকে মাঠে আসতে দেখিনি।’
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার শ্যামকুড়, ঝাঁপা, হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পড়ে থাকা কাটা ধানে ও খেতে স্তূপ করে রাখা ধানে চারা গজিয়েছে। রোদ পেয়ে কৃষক সে ধান মেলে দিয়ে শুকানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সাগর মণ্ডলের ২৩ কাঠা জমিতে কেটে আঁটি বেঁধে রাখা ধান ভিজে চারা গজিয়ে যাওয়ায় পুরো ধান বিচালিসহ ১২ হাজার টাকায় বেচে দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় বলছে, মনিরামপুরের পূর্ব এলাকার ইউনিয়নগুলোতে এখনো তেমন ধান কাটা পড়েনি। পশ্চিমাঞ্চলে ২০ শতাংশ বোরো ধান জমিতে খাঁড়া আছে। ৩০ শতাংশ ধান কৃষক বাড়ি নিতে পেরেছেন। বাকি ৫০ শতাংশ কাটা ধান বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, কৃষি অফিসের তথ্য সঠিক না। তাঁরা কোনো দিন মাঠে এসে আমাদের খবর নেননি। কর্মকর্তারা অফিসে বসে আন্দাজে হিসাব কষছেন।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘পূর্ব এলাকায় এখনো বোরো ধান তেমন কাটা পড়েনি। পশ্চিম এলাকায় বৃষ্টির কারণে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। আমরা এখনো ক্ষতির হিসাব করিনি।’
টানা চার দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয় মনিরামপুরে। ফলে শুকানোর জন্য হাজার হাজার হেক্টর জমির কেটে রাখা পাকা ধান ভিজে খেতেই নষ্ট হচ্ছে।কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি আসায় বহু কৃষক তাঁদের ভেজা ধান শুকনা স্থানে সরিয়ে নিতে পারেননি। এ জন্য ভেজা ধানে খেতেই চারা গজিয়েছে। এখন এসব ধান আর কোনো কাজা আসবে না।
শুধু ধান নয়, বিচালিও পচে নষ্ট হচ্ছে। এবার বোরোর বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে শেষ মুহূর্তে সে হাসি কান্নায় পরিণত হয়েছে অনেক কৃষকের। মাঠজুড়ে কেটে রাখা ও স্তূপ করা ধানে চারা গজাতে দেখে ধানের আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষক। আবার কেউ কেউ পশুখাদ্য (বিচালি) রক্ষায় খেতে নেমে পড়েছেন।
বৃষ্টি থেমে রোদ দেখামাত্র মাঠে নেমে পানি থেকে ধান তুলে শুকনা জমিতে বা খেতের আইলে নেড়ে দিচ্ছেন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে কৃষক পথে বসার উপক্রম হলেও তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানেন না উপজেলা কৃষি অফিস। কোনো উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে দপ্তরে জমাও দেননি। এমনকি খেতে ধান পচা নিয়ে কৃষকের দুর্ভোগ হলেও তাঁদের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না কৃষি দপ্তর।
মামুদকাটি গ্রামের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ‘দেড় বিঘা জমির ধান কাটার পর বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আর বাড়ি তুলতে পারিনি। বৃষ্টির পানিতে ধান ভিজে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে একটু রোধ পেয়ে গিয়ে দেখি সব ধানে এক দেড় ইঞ্চি করে চারা গজিয়েছে।’
কদমবাড়ীয়া গ্রামের মানিক হোসেন বলেন, ‘দেড় বিঘায় ধান করিছি। অর্ধেক বাড়ি নিতি পারিছি। বাকি ধান কাটা অবস্থায় খেতে ভিজেছে। ভেজা ধানে চারা এসে গেছে। এ ধানে চাল হবে না। এখন ওষুধ ছিটিয়ে দিয়ে ধানের চারা নষ্ট করব, যাতে এসব ধান অন্তত গরুর খাদ্য বানাতে পারি।’
মামুদকাটি, কদমবাড়ীয়া ও রঘুনাথপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, তাঁদের ধান নিয়ে যে দুর্দশা, তা কৃষি অফিসের কেউ একবার চেয়েও দেখেননি। বৃষ্টি আর রোদের মধ্যে ধান পচে চারা এসে গেছে। এ কদিনে কৃষি অফিসের কাউকে মাঠে আসতি দেখেননি।
রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি কাশিমপুর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মাঠের ভেজা ধান একটু রোদ পেলে কৃষকেরা উঁচু স্থানে তুলে নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন, কিন্তু আবার বৃষ্টি আসায় ধান ভিজে যাচ্ছে। কৃষকের এ দুর্ভোগ দেখা যায় না। এ অবস্থায়ও কৃষি অফিসের কাউকে খোঁজখবর নিতে দেখলাম না।’
মামুদকাটি গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, ‘৫৩ কাঠা জমির ধান সব মাঠে কাটা রয়েছে। একটা ধানও বাড়ি তুলতি পারিনি। এমনকি বৃষ্টির ৩-৪ দিনে কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তাকে মাঠে আসতে দেখিনি।’
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার শ্যামকুড়, ঝাঁপা, হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পড়ে থাকা কাটা ধানে ও খেতে স্তূপ করে রাখা ধানে চারা গজিয়েছে। রোদ পেয়ে কৃষক সে ধান মেলে দিয়ে শুকানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সাগর মণ্ডলের ২৩ কাঠা জমিতে কেটে আঁটি বেঁধে রাখা ধান ভিজে চারা গজিয়ে যাওয়ায় পুরো ধান বিচালিসহ ১২ হাজার টাকায় বেচে দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় বলছে, মনিরামপুরের পূর্ব এলাকার ইউনিয়নগুলোতে এখনো তেমন ধান কাটা পড়েনি। পশ্চিমাঞ্চলে ২০ শতাংশ বোরো ধান জমিতে খাঁড়া আছে। ৩০ শতাংশ ধান কৃষক বাড়ি নিতে পেরেছেন। বাকি ৫০ শতাংশ কাটা ধান বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, কৃষি অফিসের তথ্য সঠিক না। তাঁরা কোনো দিন মাঠে এসে আমাদের খবর নেননি। কর্মকর্তারা অফিসে বসে আন্দাজে হিসাব কষছেন।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘পূর্ব এলাকায় এখনো বোরো ধান তেমন কাটা পড়েনি। পশ্চিম এলাকায় বৃষ্টির কারণে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। আমরা এখনো ক্ষতির হিসাব করিনি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে