আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত জেলেরা। উপজেলার খাজরা জেলেপাড়ার ৬ শতাধিক কার্ডধারী জেলের মধ্যে এবার সহায়তা পেয়েছেন মাত্র ১৪ জন। এতে অন্যরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে সরকারি প্রণোদনা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তাদের দাবি, শিগগিরই প্রত্যেক কার্ডধারী পাবেন সরকারি সহায়তা।
আশাশুনি উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার শুধু আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় মৎস্যজীবীদের ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। নদী অথবা সাগরে যখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ হয়, তখন তাদের ভিজিএফের কার্ডের আওতায় ৬৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
মৎস্য অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলায় জেলে কার্ডধারীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০ জন। তবে এবার চাল পেয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন। সরেজমিন জানা যায়, আশাশুনি উপজেলায় জেলে পরিবার রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। পাশের কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া বছরের বেশ কয়েক মাস তারা বঙ্গোপসাগরে মহাজনদের হয়ে মাছ ধরেন। এতে ভালোভাবে চলে না তাদের সংসার।
এ ছাড়া ২০ মে থেকে শুরু হয় নদী ও সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। চলে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। মাছ ধরার নিষিদ্ধ এ সময়ে অচল হয়ে পড়ে তাদের জীবন-জীবিকা। সরকারি সহায়তা পেতে তাই প্রতি পরিবারে রয়েছে জেলে কার্ড। তবে জেলে কার্ড থাকলেও তারা পান না সরকারি সহায়তা।
আশাশুনির খাজরা এলাকার ৬ শতাধিক জেলের মধ্যে এবার ভিজিএফের চাল পেয়েছেন মাত্র ১৪ জন। গত বছর পান মাত্র ৬ জন। আপৎকালীন সরকারি সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে সরকারি প্রণোদনা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের জেলেপল্লিতে বসবাস করে ৮০টি পরিবার। পরিবারপ্রতি রয়েছে জেলে কার্ডও। গত ৬ বছরে এর একটি পরিবারও পায়নি সরকারি সহায়তা। সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলেপল্লির বাসিন্দা কৈলাস মণ্ডল জানান, কার্ড নবায়ন করতে গেলে টাকা লাগে। আর কার্ড থাকলেও চাল পাই না। মাছ ধরা নিষিদ্ধের ৬৫ দিন না খেয়ে থাকতে হয় বলা যায়।
খাজরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি বিকাশ মণ্ডল জানান, কাজির গরু শুধু কিতাবে। আমরা চাল পাই না। অথচ যারা প্রকৃত মৎস্যজীবী নন, তারাও চাল পান।
অভিযোগের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাড়ে সাত হাজার কার্ডধারীর মধ্যে ভিজিএফের চাল এসেছে মাত্র ১ হাজার ১০০ জনের। তাহলে কাকে রেখে কাকে দেব।
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের চাল দেওয়া হয় না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া কঠোর করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অফিস জেলা প্রশাসককে পত্র দেয়। জেলা প্রশাসন থেকে ৪ হাজার ৫০০ জন জেলেকে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চাল বিতরণ করা হবে।
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত জেলেরা। উপজেলার খাজরা জেলেপাড়ার ৬ শতাধিক কার্ডধারী জেলের মধ্যে এবার সহায়তা পেয়েছেন মাত্র ১৪ জন। এতে অন্যরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে সরকারি প্রণোদনা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তাদের দাবি, শিগগিরই প্রত্যেক কার্ডধারী পাবেন সরকারি সহায়তা।
আশাশুনি উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার শুধু আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় মৎস্যজীবীদের ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। নদী অথবা সাগরে যখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ হয়, তখন তাদের ভিজিএফের কার্ডের আওতায় ৬৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
মৎস্য অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলায় জেলে কার্ডধারীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০ জন। তবে এবার চাল পেয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন। সরেজমিন জানা যায়, আশাশুনি উপজেলায় জেলে পরিবার রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। পাশের কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া বছরের বেশ কয়েক মাস তারা বঙ্গোপসাগরে মহাজনদের হয়ে মাছ ধরেন। এতে ভালোভাবে চলে না তাদের সংসার।
এ ছাড়া ২০ মে থেকে শুরু হয় নদী ও সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। চলে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। মাছ ধরার নিষিদ্ধ এ সময়ে অচল হয়ে পড়ে তাদের জীবন-জীবিকা। সরকারি সহায়তা পেতে তাই প্রতি পরিবারে রয়েছে জেলে কার্ড। তবে জেলে কার্ড থাকলেও তারা পান না সরকারি সহায়তা।
আশাশুনির খাজরা এলাকার ৬ শতাধিক জেলের মধ্যে এবার ভিজিএফের চাল পেয়েছেন মাত্র ১৪ জন। গত বছর পান মাত্র ৬ জন। আপৎকালীন সরকারি সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে সরকারি প্রণোদনা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের জেলেপল্লিতে বসবাস করে ৮০টি পরিবার। পরিবারপ্রতি রয়েছে জেলে কার্ডও। গত ৬ বছরে এর একটি পরিবারও পায়নি সরকারি সহায়তা। সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলেপল্লির বাসিন্দা কৈলাস মণ্ডল জানান, কার্ড নবায়ন করতে গেলে টাকা লাগে। আর কার্ড থাকলেও চাল পাই না। মাছ ধরা নিষিদ্ধের ৬৫ দিন না খেয়ে থাকতে হয় বলা যায়।
খাজরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি বিকাশ মণ্ডল জানান, কাজির গরু শুধু কিতাবে। আমরা চাল পাই না। অথচ যারা প্রকৃত মৎস্যজীবী নন, তারাও চাল পান।
অভিযোগের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাড়ে সাত হাজার কার্ডধারীর মধ্যে ভিজিএফের চাল এসেছে মাত্র ১ হাজার ১০০ জনের। তাহলে কাকে রেখে কাকে দেব।
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের চাল দেওয়া হয় না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া কঠোর করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অফিস জেলা প্রশাসককে পত্র দেয়। জেলা প্রশাসন থেকে ৪ হাজার ৫০০ জন জেলেকে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চাল বিতরণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে