আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছোট দোকানে ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে যানবাহনে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এগুলো ‘মিনি পেট্রলপাম্প’ নামে পরিচিত। পাম্প বসানো ছাড়া তেল বিক্রিতে বিপিসি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেই। এসব পাম্প অবৈধ বলছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে মিনি পাম্পের উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা শতভাগ নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছেন, এতে কোনো ঝুঁকিও নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইটি মিনি পেট্রল পাম্পকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের মেসার্স খান ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। অপরদিকে বারিষাব ইউনিয়নে মেসার্স জম জম ট্রেডার্সকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসাইন।
এদিকে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর বাজার, দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট বাজার, সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বাজারে একটি করে মিনি পেট্রলপাম্প দেখে গেছে। এ ছাড়া টোক ইউনিয়নের বীরউজুলী বাজার, সনমানিয়া ইউনিয়নের গনি মার্কেট এলাকা, গিয়াসপুর থেকে সালধৈ বাজার সড়কের মধ্যে একটি করে একই ধরনের আরও পাম্প চালুর প্রস্তুতি চলছে। এসব পেট্রলপাম্পের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো সাইনবোর্ড থাকে না। সড়কের পাশে ছোট্ট দোকানের ভেতরে দুটি বা তিনটি ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। বেশির ভাগ দোকানে ডিজেল ও পেট্রল বিক্রি হয়।
পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডসহ ও কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি মিনি পাম্প তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে খোলাবাজারে তেল বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে এসব ছোট পাম্প গড়ে উঠেছে। এতে ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করা বড় পাম্প মালিকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এটা তাঁদের অভিযোগ। এ ছাড়া এগুলোয় চোরাই ও ভেজাল মিশিয়ে তেল বিক্রির সম্ভাবনা থাকে।
মিনি পাম্পের বিষয়টি গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। এতে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. মেহেদী হাসানের সরেজমিনে কাপাসিয়ার মিনি পেট্রলপাম্পগুলো অবৈধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো ডিলারশিপ নেই।
জমজম ট্রেডার্স নামের মিনি পাম্পের উদ্যোক্তা মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘এগুলো কোনো পাম্প না। গোডাউনের মতো মজুমদার হিসেবে আমরা অনুমতি নিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তর তেল মজুতের অনুমতি দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকেও গোডাউনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তেল সংরক্ষণের নির্দেশনা মেনেই ট্যাংক তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোটখাটো মজুত করার পারমিশন আছে। আমাদের ডিলারশিপ লাগে না। আমরা অন্য ডিলারের কাছ থেকে তেল সংগ্রহ করি।’
উজ্জ্বল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল এ বিষয়ে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স আছে। অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছি। আমরা সরাসরি ডিলার না।’
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘বড় পেট্রলপাম্পগুলোর ছাড়পত্রের বিষয়টি আমাদের এখান থেকে হয়। ছোট আকারে কাউকে তেল বিক্রি করতে আমরা ছাড়পত্র দিইনি। এমনকি মৌখিকভাবেও আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর দিনমণি শর্মা বলেন, ‘সরাসরি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিলারশিপ ছাড়া এ ধরনের ছোট পেট্রলপাম্পকে আমরা অনুমতি দিইনি। এদের অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছোট দোকানে ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে যানবাহনে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এগুলো ‘মিনি পেট্রলপাম্প’ নামে পরিচিত। পাম্প বসানো ছাড়া তেল বিক্রিতে বিপিসি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেই। এসব পাম্প অবৈধ বলছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে মিনি পাম্পের উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা শতভাগ নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছেন, এতে কোনো ঝুঁকিও নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইটি মিনি পেট্রল পাম্পকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের মেসার্স খান ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। অপরদিকে বারিষাব ইউনিয়নে মেসার্স জম জম ট্রেডার্সকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসাইন।
এদিকে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর বাজার, দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট বাজার, সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বাজারে একটি করে মিনি পেট্রলপাম্প দেখে গেছে। এ ছাড়া টোক ইউনিয়নের বীরউজুলী বাজার, সনমানিয়া ইউনিয়নের গনি মার্কেট এলাকা, গিয়াসপুর থেকে সালধৈ বাজার সড়কের মধ্যে একটি করে একই ধরনের আরও পাম্প চালুর প্রস্তুতি চলছে। এসব পেট্রলপাম্পের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো সাইনবোর্ড থাকে না। সড়কের পাশে ছোট্ট দোকানের ভেতরে দুটি বা তিনটি ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। বেশির ভাগ দোকানে ডিজেল ও পেট্রল বিক্রি হয়।
পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডসহ ও কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি মিনি পাম্প তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে খোলাবাজারে তেল বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে এসব ছোট পাম্প গড়ে উঠেছে। এতে ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করা বড় পাম্প মালিকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এটা তাঁদের অভিযোগ। এ ছাড়া এগুলোয় চোরাই ও ভেজাল মিশিয়ে তেল বিক্রির সম্ভাবনা থাকে।
মিনি পাম্পের বিষয়টি গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। এতে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. মেহেদী হাসানের সরেজমিনে কাপাসিয়ার মিনি পেট্রলপাম্পগুলো অবৈধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো ডিলারশিপ নেই।
জমজম ট্রেডার্স নামের মিনি পাম্পের উদ্যোক্তা মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘এগুলো কোনো পাম্প না। গোডাউনের মতো মজুমদার হিসেবে আমরা অনুমতি নিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তর তেল মজুতের অনুমতি দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকেও গোডাউনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তেল সংরক্ষণের নির্দেশনা মেনেই ট্যাংক তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোটখাটো মজুত করার পারমিশন আছে। আমাদের ডিলারশিপ লাগে না। আমরা অন্য ডিলারের কাছ থেকে তেল সংগ্রহ করি।’
উজ্জ্বল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল এ বিষয়ে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স আছে। অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছি। আমরা সরাসরি ডিলার না।’
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, ‘বড় পেট্রলপাম্পগুলোর ছাড়পত্রের বিষয়টি আমাদের এখান থেকে হয়। ছোট আকারে কাউকে তেল বিক্রি করতে আমরা ছাড়পত্র দিইনি। এমনকি মৌখিকভাবেও আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর দিনমণি শর্মা বলেন, ‘সরাসরি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিলারশিপ ছাড়া এ ধরনের ছোট পেট্রলপাম্পকে আমরা অনুমতি দিইনি। এদের অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে