কৌশিক হাসান মামুন, বারহাট্টা (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে হতাশ খামারিরা। দীর্ঘদিন ধরে সেবা না পাওয়ার কারণে এক ধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার অভাবে অনেক নতুন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। আবার অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ অবস্থায় তাঁরা গবাদিপশুকে বাঁচাতে অর্থের বিনিময়ে সাধারণ পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে একদিকে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তবে প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, নিয়ম মেনে পর্যায়ক্রমে খামারিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের আসমা গ্রামের খামারি সাইদুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে ৩০টি গরু আছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোনো পরামর্শ কিংবা সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাইনি। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতেও তাঁদের দেখা পাই না আমরা। বাধ্য হয়ে টাকার বিনিময়ে বেসরকারি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিই আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার চারটি বাছুর মারা গেছে এবং দুটি গর্ভবতী গাভির ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে। এতে আমার প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপযুক্ত চিকিৎসা যেহেতু পাই না তাই এখনো ভয়ে আছি কোনো দিন আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ি।’
সিংধা ইউনিয়নের খামারি মামুন বলেন, ‘পশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাধারণত গ্রামে আসেন না। গবাদিপশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে তাঁদের অফিসে নিয়ে যেতে বলা হয়। অফিসে গরু নিতে গেলে কমপক্ষে ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের মতো প্রান্তিক খামারিদের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়।’
উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের আশিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে তাঁরা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোনো সেবা পান না। গ্রামের ছোট খামারিরা মানে যাদের তিন চারটা গরু আছে তারা তো টাকা দিতে পারেন না। তাই তাদের ভাগ্যে সেবাও জোটে না।’
সেবা না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মহিউদ্দিন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে এখন অনেক মানুষ কাজ করছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে কৃত্রিম প্রজননকারী ও একজন করে ভ্যাকসিনেটর ও লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার গ্রামে গ্রামে ঘুরে খামারিদের সেবা দিয়ে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও বিভিন্ন খামার ও গ্রাম পর্যায়ের খামারিদের সেবা দেন। তবে উপজেলায় কোনো ভেটেরিনারি সার্জন নেই। তাই ভেটেরিনারি সার্জনের সেবাটা সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে হতাশ খামারিরা। দীর্ঘদিন ধরে সেবা না পাওয়ার কারণে এক ধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার অভাবে অনেক নতুন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। আবার অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ অবস্থায় তাঁরা গবাদিপশুকে বাঁচাতে অর্থের বিনিময়ে সাধারণ পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে একদিকে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তবে প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, নিয়ম মেনে পর্যায়ক্রমে খামারিদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের আসমা গ্রামের খামারি সাইদুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে ৩০টি গরু আছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোনো পরামর্শ কিংবা সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাইনি। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতেও তাঁদের দেখা পাই না আমরা। বাধ্য হয়ে টাকার বিনিময়ে বেসরকারি পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিই আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার চারটি বাছুর মারা গেছে এবং দুটি গর্ভবতী গাভির ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে। এতে আমার প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপযুক্ত চিকিৎসা যেহেতু পাই না তাই এখনো ভয়ে আছি কোনো দিন আরও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ি।’
সিংধা ইউনিয়নের খামারি মামুন বলেন, ‘পশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাধারণত গ্রামে আসেন না। গবাদিপশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে তাঁদের অফিসে নিয়ে যেতে বলা হয়। অফিসে গরু নিতে গেলে কমপক্ষে ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের মতো প্রান্তিক খামারিদের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়।’
উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের আশিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে তাঁরা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোনো সেবা পান না। গ্রামের ছোট খামারিরা মানে যাদের তিন চারটা গরু আছে তারা তো টাকা দিতে পারেন না। তাই তাদের ভাগ্যে সেবাও জোটে না।’
সেবা না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মহিউদ্দিন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে এখন অনেক মানুষ কাজ করছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে কৃত্রিম প্রজননকারী ও একজন করে ভ্যাকসিনেটর ও লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার গ্রামে গ্রামে ঘুরে খামারিদের সেবা দিয়ে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও বিভিন্ন খামার ও গ্রাম পর্যায়ের খামারিদের সেবা দেন। তবে উপজেলায় কোনো ভেটেরিনারি সার্জন নেই। তাই ভেটেরিনারি সার্জনের সেবাটা সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে