সম্পাদকীয়
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে? হ্যাঁ, কেন পুলিশ ছুঁলে ‘ছত্রিশ ঘা’ বলা হয়, সেটা কিন্তু সত্যিই ভাবার মতো বিষয়। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কেউ কেউ জনগণকে বন্ধু না ভেবে তাদেরকে আধিপত্যের জায়গা থেকে দেখে থাকেন। তাঁরা নিজেদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষমতাবান হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত। সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশ বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তা নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ঘুষ নেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার কি শুধু পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই করেন? দেশের সব অফিস-আদালত যেখানে ঘুষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে শুধু এ বাহিনীর ওপর অপরাধের দায় চাপানো হয়তো পুরোপুরি যৌক্তিক নয়। তার পেছনে প্রকট সত্যও যে আছে, সে কথাও তো বলতে হয়। পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব দেশের জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। তাই তাদের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাটাও বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্যাপ্ত সুযোগের কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন। আর এর দায় এসে পড়ে পুরো বাহিনীর ওপর।
বর্তমান পুলিশ বাহিনী চলছে ঔপনিবেশিক আমলের আইন দ্বারা। এর মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫৩ বছর হলেও, এ আইনকে যুগোপযোগী করা হয়নি। আগের বিধিমালা দিয়ে কি এ বাহিনীর কার্যক্রম চালানো সম্ভব? পুলিশ বাহিনীর ওপর বড় অভিযোগ হলো যে তারা বিভিন্ন সরকারের সময়ে দলীয় ভূমিকা পালন করেছে। এটা কি এ বাহিনীর অপরাধ, নাকি যে সরকার তাদের দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য অপব্যবহার করেছে, তাদের অপরাধ? অপরাধটা যে সরকার এবং পুলিশ বাহিনীর সম্মিলিত অপরাধ, সে কথা বললে ভুল হবে না।
পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপকর্ম করেন, আর তাঁদের হুকুম পালন করে থাকেন সিপাহিরা। সব ধরনের ঘুষ, দুর্নীতির সঙ্গেও তাঁরা জড়িয়ে পড়েন। সিপাহিদের রয়েছে শিক্ষার অভাব। পুলিশের সিপাহি পদে নিয়োগের যোগ্যতা হলো সর্বোচ্চ এসএসসি পাস। নিয়োগ দেওয়ার পরে মাত্র ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়। চাকরির পুরো সময়টা তাঁরা আর প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। এই যদি হয় একজন সিপাহির যোগ্যতা, তাহলে তাঁদের কাছে ভালো কিছু আশা করার সুযোগ কি আছে?
আর একটা বড় বিষয় হলো, তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার সময় চৌদ্দগোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হয়। তাহলে তাঁরা কীভাবে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হতে পারবেন?
৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ১১ দফা দাবি পেশ করেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারও সেসব দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছিল। সম্প্রতি সরকার পুলিশ বাহিনী সংস্কারের কমিশন গঠন করেছে। আমরা আশা করব, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করে তাদের গায়ে লাগানো কালিমা থেকে মুক্ত করা হবে। তারা যেন প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হতে পারে আর এই সংস্কারের মাধ্যমে তারা যেন তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত সব অপবাদ মিথ্যা প্রমাণিত করতে পারে, সেটাই সবার চাওয়া।
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে? হ্যাঁ, কেন পুলিশ ছুঁলে ‘ছত্রিশ ঘা’ বলা হয়, সেটা কিন্তু সত্যিই ভাবার মতো বিষয়। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কেউ কেউ জনগণকে বন্ধু না ভেবে তাদেরকে আধিপত্যের জায়গা থেকে দেখে থাকেন। তাঁরা নিজেদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষমতাবান হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত। সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশ বাহিনীর সংস্কার বিষয়ে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তা নিয়ে রোববার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ঘুষ নেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহার কি শুধু পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই করেন? দেশের সব অফিস-আদালত যেখানে ঘুষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে শুধু এ বাহিনীর ওপর অপরাধের দায় চাপানো হয়তো পুরোপুরি যৌক্তিক নয়। তার পেছনে প্রকট সত্যও যে আছে, সে কথাও তো বলতে হয়। পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব দেশের জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। তাই তাদের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাটাও বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্যাপ্ত সুযোগের কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন। আর এর দায় এসে পড়ে পুরো বাহিনীর ওপর।
বর্তমান পুলিশ বাহিনী চলছে ঔপনিবেশিক আমলের আইন দ্বারা। এর মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫৩ বছর হলেও, এ আইনকে যুগোপযোগী করা হয়নি। আগের বিধিমালা দিয়ে কি এ বাহিনীর কার্যক্রম চালানো সম্ভব? পুলিশ বাহিনীর ওপর বড় অভিযোগ হলো যে তারা বিভিন্ন সরকারের সময়ে দলীয় ভূমিকা পালন করেছে। এটা কি এ বাহিনীর অপরাধ, নাকি যে সরকার তাদের দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য অপব্যবহার করেছে, তাদের অপরাধ? অপরাধটা যে সরকার এবং পুলিশ বাহিনীর সম্মিলিত অপরাধ, সে কথা বললে ভুল হবে না।
পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপকর্ম করেন, আর তাঁদের হুকুম পালন করে থাকেন সিপাহিরা। সব ধরনের ঘুষ, দুর্নীতির সঙ্গেও তাঁরা জড়িয়ে পড়েন। সিপাহিদের রয়েছে শিক্ষার অভাব। পুলিশের সিপাহি পদে নিয়োগের যোগ্যতা হলো সর্বোচ্চ এসএসসি পাস। নিয়োগ দেওয়ার পরে মাত্র ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়। চাকরির পুরো সময়টা তাঁরা আর প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না। এই যদি হয় একজন সিপাহির যোগ্যতা, তাহলে তাঁদের কাছে ভালো কিছু আশা করার সুযোগ কি আছে?
আর একটা বড় বিষয় হলো, তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার সময় চৌদ্দগোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হয়। তাহলে তাঁরা কীভাবে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হতে পারবেন?
৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ১১ দফা দাবি পেশ করেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারও সেসব দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছিল। সম্প্রতি সরকার পুলিশ বাহিনী সংস্কারের কমিশন গঠন করেছে। আমরা আশা করব, পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করে তাদের গায়ে লাগানো কালিমা থেকে মুক্ত করা হবে। তারা যেন প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হতে পারে আর এই সংস্কারের মাধ্যমে তারা যেন তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত সব অপবাদ মিথ্যা প্রমাণিত করতে পারে, সেটাই সবার চাওয়া।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে