সাইফুল মাসুম, রাজবাড়ী থেকে ফিরে
রাজবাড়ী জেলার উত্তরাংশ পদ্মা নদীবেষ্টিত। সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর ভাঙনে অনেক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বালুমহালের নামে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন অনেক বেড়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব। এভাবে চলতে থাকলে রাজবাড়ী শহরও হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয় সুধীজনেরা বলছেন, সরকার বালুমহাল থেকে বছরে দুই-এক কোটি টাকা আয় করলেও নদীভাঙন ঠেকাতে ব্যয় করতে হচ্ছে শতকোটি টাকা। তবে লাভের টাকা যাচ্ছে ইজারাদার, বালু ব্যবসায়ী আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পকেটে।
জানা গেছে, রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্যে জড়িয়ে আছেন জেলার অনেক রাজনীতিক ও কর্মকর্তা। তাঁরা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন। এতে কমিশন বাবদ মাস শেষে পান মোটা অঙ্কের অর্থ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইজারাদারেরা নির্ধারিত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করে। কেউ নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে থেকে বালু তুললে আমরা ব্যবস্থা নিই। বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করেছি। এ ছাড়া মনিটরিংয়ের জন্য একটা কমিটি আছে; তারা দেখে, সঠিক জায়গা থেকে বালু তোলা হচ্ছে কি না।’
রাজবাড়ীর শীর্ষস্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের একজন আজম মণ্ডল। তিনি রাজবাড়ী জেলা পরিষদেরও সদস্য। আজম মণ্ডল বলেন, ‘রাজবাড়ীর বালুর মান ভালো।তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় এই বালুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নদী থেকে বালু কিনি আর বিক্রি করি। কোথা থেকে বালু তুলল, এটা আমাদের ব্যাপার না।’
সম্প্রতি রাজবাড়ীর মিজানপুর ইউনিয়ন ও ভরাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মাসংলগ্ন গ্রামগুলোতে বালুর অসংখ্য স্তূপ। অর্ধশতাধিক খননযন্ত্র দিয়ে পদ্মা থেকে তোলা হচ্ছে বালু। দুঞ্চি বেড়িবাঁধ এলাকায় বাঁধ কেটে পাইপ বসাতে দেখা যায় এক শ্রমিককে। তাঁর নাম জাফর মিয়া। তিনি জানান, পদ্মার বালু বেড়িবাঁধের ভেতরে রাখার জন্য পাইপ বসাচ্ছেন। দুঞ্চি বেড়িবাঁধের টং দোকানে চা খেতে খেতে কথা হয় স্থানীয় আকু সরদারের (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি আগে ছিল মৌকুরি গ্রামে। ভাঙনে ভিটা, জমি, গরু—সব হারিয়ে এখন দুঞ্চি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনের কারণে রাজবাড়ীর ১২-১৫টি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে আছে রাখালগাছি, আমবাড়িয়া, গাছিয়াদাহ, পুসিহাটা, বাঘাবাড়ি, মৌকুরি, সিলমপুর, চর জুলসি, পাকুরিয়া, ববদিয়া, নয়নশুক, কাশিমপুর।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘আমরা অনেকবার মানববন্ধন করেছি, জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছি; রাজবাড়ী শহররক্ষা বাঁধ রক্ষা করার জন্য। এই বাঁধের কারণে শহর রক্ষা পেত। বাঁধ থেকে শহরের দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। আগে বাঁধ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিল পদ্মা। বালু তুলতে তুলতে নদী চলে এসেছে বাঁধের কাছে।’
প্রভাবশালীরা জড়িত
বালু ব্যবসার সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে জানালেন রাজবাড়ী সদরের মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. টুকু মিজি। তিনি বলেন, ‘নদীর পাড় ঘেঁষে বালু তোলার কারণে মহাদেবপুর, কালীতলা, চর নরসিংদী এলাকায় নদী ভাঙছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়া লাগে। কারণ বালুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক প্রভাবশালী।’
জানা গেছে, বালু তোলার জন্য প্রতি বছর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেয়। সেগুলো হচ্ছে—ফুরসা হাট, চরনরসিংদিয়া, নয়নসুখ, খাসচর পদ্মা, চরজাজিরা, পাতুরিয়া। ২০২২ সালে এসব বালুমহাল থেকে ইজারা বাবদ জেলা প্রশাসনের আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিনটি বালুমহালের ইজারাদার হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুস্তাফিজুর শরিফ, দুটি মহালের ইজারাদার পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দীপক কুণ্ডু, একটি বালুমহালের ইজারাদার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস চৌধুরী রাব্বি।
বালু তোলায় ভাঙন দেখছে পাউবো
রাজবাড়ীর ভাঙন রোধে সম্প্রতি ৩৭৬ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ফল ভালো হচ্ছে না বলে জানালেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা। পাউবোর তথ্য অনুসারে, ১৯৮৫ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে জেলার ৯ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজবাড়ীর ৫৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ পদ্মা নদীবেষ্টিত। এর মধ্যে মাত্র ৭ কিলোমিটার অংশে নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প ছিল। এখনো অনেক জায়গায় ভাঙনের প্রবণতা রয়েছে। আমরা নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বোর্ডে পাঠিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে রাজবাড়ীর নদীর তীররক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, পাউবোর এক প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।’
ঝুঁকিতে কয়েক লাখ মানুষ
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে সমস্যা জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি জ্যোতি শংকর ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে গত ১০ বছরে ভাঙনের হার অনেক বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের সামান্য কিছু রাজস্ব আদায়ের জন্য নদীভাঙন রোধে সরকারের শতগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে রাজবাড়ীর কয়েক লাখ মানুষ বিপদে পড়বে।’
রাজবাড়ী জেলার উত্তরাংশ পদ্মা নদীবেষ্টিত। সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর ভাঙনে অনেক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বালুমহালের নামে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে নদীভাঙন অনেক বেড়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে এখন নিঃস্ব। এভাবে চলতে থাকলে রাজবাড়ী শহরও হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয় সুধীজনেরা বলছেন, সরকার বালুমহাল থেকে বছরে দুই-এক কোটি টাকা আয় করলেও নদীভাঙন ঠেকাতে ব্যয় করতে হচ্ছে শতকোটি টাকা। তবে লাভের টাকা যাচ্ছে ইজারাদার, বালু ব্যবসায়ী আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পকেটে।
জানা গেছে, রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্যে জড়িয়ে আছেন জেলার অনেক রাজনীতিক ও কর্মকর্তা। তাঁরা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন। এতে কমিশন বাবদ মাস শেষে পান মোটা অঙ্কের অর্থ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান অবশ্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইজারাদারেরা নির্ধারিত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করে। কেউ নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে থেকে বালু তুললে আমরা ব্যবস্থা নিই। বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করেছি। এ ছাড়া মনিটরিংয়ের জন্য একটা কমিটি আছে; তারা দেখে, সঠিক জায়গা থেকে বালু তোলা হচ্ছে কি না।’
রাজবাড়ীর শীর্ষস্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের একজন আজম মণ্ডল। তিনি রাজবাড়ী জেলা পরিষদেরও সদস্য। আজম মণ্ডল বলেন, ‘রাজবাড়ীর বালুর মান ভালো।তাই দেশের বিভিন্ন জেলায় এই বালুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নদী থেকে বালু কিনি আর বিক্রি করি। কোথা থেকে বালু তুলল, এটা আমাদের ব্যাপার না।’
সম্প্রতি রাজবাড়ীর মিজানপুর ইউনিয়ন ও ভরাট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মাসংলগ্ন গ্রামগুলোতে বালুর অসংখ্য স্তূপ। অর্ধশতাধিক খননযন্ত্র দিয়ে পদ্মা থেকে তোলা হচ্ছে বালু। দুঞ্চি বেড়িবাঁধ এলাকায় বাঁধ কেটে পাইপ বসাতে দেখা যায় এক শ্রমিককে। তাঁর নাম জাফর মিয়া। তিনি জানান, পদ্মার বালু বেড়িবাঁধের ভেতরে রাখার জন্য পাইপ বসাচ্ছেন। দুঞ্চি বেড়িবাঁধের টং দোকানে চা খেতে খেতে কথা হয় স্থানীয় আকু সরদারের (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি আগে ছিল মৌকুরি গ্রামে। ভাঙনে ভিটা, জমি, গরু—সব হারিয়ে এখন দুঞ্চি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনের কারণে রাজবাড়ীর ১২-১৫টি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে আছে রাখালগাছি, আমবাড়িয়া, গাছিয়াদাহ, পুসিহাটা, বাঘাবাড়ি, মৌকুরি, সিলমপুর, চর জুলসি, পাকুরিয়া, ববদিয়া, নয়নশুক, কাশিমপুর।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘আমরা অনেকবার মানববন্ধন করেছি, জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছি; রাজবাড়ী শহররক্ষা বাঁধ রক্ষা করার জন্য। এই বাঁধের কারণে শহর রক্ষা পেত। বাঁধ থেকে শহরের দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। আগে বাঁধ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিল পদ্মা। বালু তুলতে তুলতে নদী চলে এসেছে বাঁধের কাছে।’
প্রভাবশালীরা জড়িত
বালু ব্যবসার সঙ্গে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে জানালেন রাজবাড়ী সদরের মিজানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. টুকু মিজি। তিনি বলেন, ‘নদীর পাড় ঘেঁষে বালু তোলার কারণে মহাদেবপুর, কালীতলা, চর নরসিংদী এলাকায় নদী ভাঙছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়া লাগে। কারণ বালুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক প্রভাবশালী।’
জানা গেছে, বালু তোলার জন্য প্রতি বছর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেয়। সেগুলো হচ্ছে—ফুরসা হাট, চরনরসিংদিয়া, নয়নসুখ, খাসচর পদ্মা, চরজাজিরা, পাতুরিয়া। ২০২২ সালে এসব বালুমহাল থেকে ইজারা বাবদ জেলা প্রশাসনের আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তিনটি বালুমহালের ইজারাদার হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুস্তাফিজুর শরিফ, দুটি মহালের ইজারাদার পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দীপক কুণ্ডু, একটি বালুমহালের ইজারাদার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস চৌধুরী রাব্বি।
বালু তোলায় ভাঙন দেখছে পাউবো
রাজবাড়ীর ভাঙন রোধে সম্প্রতি ৩৭৬ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ফল ভালো হচ্ছে না বলে জানালেন পাউবোর সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা। পাউবোর তথ্য অনুসারে, ১৯৮৫ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে জেলার ৯ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজবাড়ীর ৫৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ পদ্মা নদীবেষ্টিত। এর মধ্যে মাত্র ৭ কিলোমিটার অংশে নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প ছিল। এখনো অনেক জায়গায় ভাঙনের প্রবণতা রয়েছে। আমরা নতুন প্রকল্প প্রস্তাব বোর্ডে পাঠিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে রাজবাড়ীর নদীর তীররক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, পাউবোর এক প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।’
ঝুঁকিতে কয়েক লাখ মানুষ
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কারণে সমস্যা জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন রাজবাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি জ্যোতি শংকর ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে গত ১০ বছরে ভাঙনের হার অনেক বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের সামান্য কিছু রাজস্ব আদায়ের জন্য নদীভাঙন রোধে সরকারের শতগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে রাজবাড়ীর কয়েক লাখ মানুষ বিপদে পড়বে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে