জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত মানুষ। তবে এখনো বাড়ির আশপাশে নোংরা ও পচা পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে ঘরের ভেতর থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে তাদের। এদিকে ঘরের চারদিকে ভাঙন আর কর্দমাক্ত অবস্থায় পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুদের নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্যাকবলিতরা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম হাজিপাড়ার শ্রমজীবী সালমা বেগম বলেন, ‘ঘরে আইছি ঠিকই, কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চা লইয়া ঘরো থাকন যাইতাছে না। ঘরের ভিতরে হাঁটু সমান পেক (কাদা)। এমুন কইরা কেমনে মানুষ থাকে কইন?’
একই এলাকার বাসিন্দা রইছ উদ্দিন পেশায় রিকশাচালক। বন্যার পানি আসায় আট দিন ছিলেন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল বুধবার সকালে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কাঁচা ঘরে কোনোরকমে থাকতাম। ওখন আইয়া দেখি ঘরের অবস্থা নাজেহাল। এই অবস্থায় ঘরে থাকা তো আমরার লাগি কঠিন হই যাইব। বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখ হই যাইব।’
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে কীভাবে, সেই চিন্তা করছেন সুনামগঞ্জের চার উপজেলার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না কাঁচা ঘরবাড়ির লোকজন। ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া ঘরগুলোর পরিবারের সদস্যরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বিভিন্ন বাসাবাড়িতেই অবস্থান করছেন।
বানের পানিতে অবশিষ্ট বসতভিটাটুকুও ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার দুই শতাধিক পরিবারের। বানের পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাবার। গবাদিপশুদের কী খাওয়াবেন, সেই দুশ্চিন্তাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে।
সদর উপজেলার হাসবাহার গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, ‘বন্যায় আমার ঘর নষ্ট হইছে সমস্যা নাই। তবে গরুর খেড়ও ভাসাইয়া নিছেগি। আমরা তো যাই পারি খাইয়া বাঁচতাম পারমু। কিন্তু গরু ছাগল কিলা পালতাম, ওই চিন্তা ওই করতাছি।’
এ ছাড়া পানি নেমে গেলেও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে চরম আকারে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চার উপজেলার প্রায় ১ হাজার নলকূপ পানিতে ডুবে যায়। এসব নলকূপ মেরামত করতে আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। আপাতত পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম। এ ছাড়া যেসব এলাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকায় অস্থায়ীভাবে খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বন্যায় সুনামগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রমতে, সড়কের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। একটি সেতু ও সড়কের দুটি অংশ ভেঙে সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার ও ছাতকের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রায় ২৭২ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে। কোথাও খানাখন্দ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি ও ঢলে সুনামগঞ্জের গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষতির প্রকৃত হিসাব বলা যাবে। পরে আমরা মন্ত্রণালয়ে পত্র দেব সড়ক সংস্কারের জন্য।’
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত মানুষ। তবে এখনো বাড়ির আশপাশে নোংরা ও পচা পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে ঘরের ভেতর থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে তাদের। এদিকে ঘরের চারদিকে ভাঙন আর কর্দমাক্ত অবস্থায় পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুদের নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্যাকবলিতরা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম হাজিপাড়ার শ্রমজীবী সালমা বেগম বলেন, ‘ঘরে আইছি ঠিকই, কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চা লইয়া ঘরো থাকন যাইতাছে না। ঘরের ভিতরে হাঁটু সমান পেক (কাদা)। এমুন কইরা কেমনে মানুষ থাকে কইন?’
একই এলাকার বাসিন্দা রইছ উদ্দিন পেশায় রিকশাচালক। বন্যার পানি আসায় আট দিন ছিলেন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল বুধবার সকালে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কাঁচা ঘরে কোনোরকমে থাকতাম। ওখন আইয়া দেখি ঘরের অবস্থা নাজেহাল। এই অবস্থায় ঘরে থাকা তো আমরার লাগি কঠিন হই যাইব। বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখ হই যাইব।’
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে কীভাবে, সেই চিন্তা করছেন সুনামগঞ্জের চার উপজেলার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারছে না কাঁচা ঘরবাড়ির লোকজন। ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া ঘরগুলোর পরিবারের সদস্যরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বিভিন্ন বাসাবাড়িতেই অবস্থান করছেন।
বানের পানিতে অবশিষ্ট বসতভিটাটুকুও ভেঙে গেছে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার দুই শতাধিক পরিবারের। বানের পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাবার। গবাদিপশুদের কী খাওয়াবেন, সেই দুশ্চিন্তাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে।
সদর উপজেলার হাসবাহার গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, ‘বন্যায় আমার ঘর নষ্ট হইছে সমস্যা নাই। তবে গরুর খেড়ও ভাসাইয়া নিছেগি। আমরা তো যাই পারি খাইয়া বাঁচতাম পারমু। কিন্তু গরু ছাগল কিলা পালতাম, ওই চিন্তা ওই করতাছি।’
এ ছাড়া পানি নেমে গেলেও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে চরম আকারে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চার উপজেলার প্রায় ১ হাজার নলকূপ পানিতে ডুবে যায়। এসব নলকূপ মেরামত করতে আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। আপাতত পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম। এ ছাড়া যেসব এলাকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকায় অস্থায়ীভাবে খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বন্যায় সুনামগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রমতে, সড়কের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। একটি সেতু ও সড়কের দুটি অংশ ভেঙে সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার ও ছাতকের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া প্রায় ২৭২ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে। কোথাও খানাখন্দ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি ও ঢলে সুনামগঞ্জের গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ক্ষতির প্রকৃত হিসাব বলা যাবে। পরে আমরা মন্ত্রণালয়ে পত্র দেব সড়ক সংস্কারের জন্য।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে