অর্চি হক, ঢাকা
অটিজমে আক্রান্ত শিশু তাসরিফ। চিকিৎসক বলেছেন, তাকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের খেলাধুলার জায়গা কাছেপিঠে নেই। তাই সন্তানকে নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় হাঁটতে যান তাসলিমা আকতার। তবে পথচারীদের কটূক্তিতে হেঁটে বেড়ানোর আনন্দ মিলিয়ে যায় তিক্ততায়।
তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘ও (তাসরিফ) নির্বিঘ্নে হাঁটবে, খেলবে, সেই জায়গা পাই না। অথচ সংসদ ভবনের পাশেই দেখি “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রস্তাবিত খেলার মাঠ” লেখা সাইনবোর্ড। মাঠ না হওয়ায় সেখানে যাওয়ার উপায় নেই।’ কথাগুলো বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন তিনি।
ওই সাইনবোর্ডটি কয়েক বছর ধরে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম কোণে মিরপুর রোডসংলগ্ন স্থানে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ওই স্থানে ‘প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণসহ খেলার মাঠ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে সংসদ ভবন লাগোয়া ৫ একর জমিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালে মাঠের জন্য জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে মাঠের কাজ শেষ হবে। তবে আট বছর পরও মাঠটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
গত বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নীল রঙের স্টিল শিট দিয়ে জায়গাটি ঘেরা। মূল ফটক বন্ধ। ভেতরে কাজ করছেন কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক। তাঁদের একজন মোহাম্মদ সবুজ বিশ্বাস জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেখানে ঢোকা যাবে না। তাঁরা ৩০-৪০ জন কাজ করছেন। সাইট ইঞ্জিনিয়ার ছুটিতে আছেন। অন্য কারও কথা বলার অনুমতি নেই।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জায়গা বরাদ্দের পর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে মাঠটির উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা ওই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাঠটিকে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে পরিণত করা হবে। কিন্তু তাদের সে অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা না থাকায় ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্পিকারের কাছে মাঠটির প্রাথমিক নকশা উপস্থাপন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খেলার মাঠের জায়গাটি স্পর্শকাতর স্থানে হওয়ায় প্রকল্পটি শুরু থেকেই ধীরগতিতে এগোচ্ছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে খেলার মাঠের জন্য ক্রয়প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আটকে ছিল।
২০২২ সালে এই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রানা অর্ক বিনিময়কে (জেভি) নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজটির চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের সালের ৩ জুন শুরু হয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। চলতি বছর জুনে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
জুন পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘সংসদের পাশে কাজ করার কিছু জটিলতা আছে। আমাদের স্টাকচারাল কাজ যেগুলো, সেগুলো সব হয়ে গেছে। মাঠের সংস্কার হয়ে গেছে, মাঠের চারদিকে রানওয়ে, গাছ লাগানো হয়ে গেছে। এখন ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ চলছে। দুই মাসের মধ্যে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করি। এরপর প্রধানমন্ত্রী মাঠটি উদ্বোধন করবেন।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ খেলার মাঠ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৪০ লাখ ৩৩ হাজার। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত তাদের জন্য মাত্র একটিই খেলার মাঠের জায়গা পাওয়া গেছে। তবে সেটির কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) উপদেষ্টা স্বপ্না রেজা বলেন, একটিমাত্র মাঠ প্রস্তুত করতে এত বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খেলার মাঠের একটি সাইনবোর্ড আছে, অথচ সেখানে একটি শিশুও খেলছে না, এটা দেখা দুঃখজনক।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু তাসরিফ। চিকিৎসক বলেছেন, তাকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটা ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের খেলাধুলার জায়গা কাছেপিঠে নেই। তাই সন্তানকে নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় হাঁটতে যান তাসলিমা আকতার। তবে পথচারীদের কটূক্তিতে হেঁটে বেড়ানোর আনন্দ মিলিয়ে যায় তিক্ততায়।
তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘ও (তাসরিফ) নির্বিঘ্নে হাঁটবে, খেলবে, সেই জায়গা পাই না। অথচ সংসদ ভবনের পাশেই দেখি “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রস্তাবিত খেলার মাঠ” লেখা সাইনবোর্ড। মাঠ না হওয়ায় সেখানে যাওয়ার উপায় নেই।’ কথাগুলো বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন তিনি।
ওই সাইনবোর্ডটি কয়েক বছর ধরে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম কোণে মিরপুর রোডসংলগ্ন স্থানে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ওই স্থানে ‘প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণসহ খেলার মাঠ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে সংসদ ভবন লাগোয়া ৫ একর জমিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালে মাঠের জন্য জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে মাঠের কাজ শেষ হবে। তবে আট বছর পরও মাঠটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
গত বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নীল রঙের স্টিল শিট দিয়ে জায়গাটি ঘেরা। মূল ফটক বন্ধ। ভেতরে কাজ করছেন কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক। তাঁদের একজন মোহাম্মদ সবুজ বিশ্বাস জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সেখানে ঢোকা যাবে না। তাঁরা ৩০-৪০ জন কাজ করছেন। সাইট ইঞ্জিনিয়ার ছুটিতে আছেন। অন্য কারও কথা বলার অনুমতি নেই।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জায়গা বরাদ্দের পর জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে মাঠটির উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা ওই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাঠটিকে একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে পরিণত করা হবে। কিন্তু তাদের সে অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা না থাকায় ২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্পিকারের কাছে মাঠটির প্রাথমিক নকশা উপস্থাপন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খেলার মাঠের জায়গাটি স্পর্শকাতর স্থানে হওয়ায় প্রকল্পটি শুরু থেকেই ধীরগতিতে এগোচ্ছিল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে খেলার মাঠের জন্য ক্রয়প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আটকে ছিল।
২০২২ সালে এই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রানা অর্ক বিনিময়কে (জেভি) নিয়োগ দেওয়া হয়। কাজটির চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের সালের ৩ জুন শুরু হয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। চলতি বছর জুনে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
জুন পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘সংসদের পাশে কাজ করার কিছু জটিলতা আছে। আমাদের স্টাকচারাল কাজ যেগুলো, সেগুলো সব হয়ে গেছে। মাঠের সংস্কার হয়ে গেছে, মাঠের চারদিকে রানওয়ে, গাছ লাগানো হয়ে গেছে। এখন ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ চলছে। দুই মাসের মধ্যে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করি। এরপর প্রধানমন্ত্রী মাঠটি উদ্বোধন করবেন।’
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ খেলার মাঠ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৪০ লাখ ৩৩ হাজার। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত তাদের জন্য মাত্র একটিই খেলার মাঠের জায়গা পাওয়া গেছে। তবে সেটির কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) উপদেষ্টা স্বপ্না রেজা বলেন, একটিমাত্র মাঠ প্রস্তুত করতে এত বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খেলার মাঠের একটি সাইনবোর্ড আছে, অথচ সেখানে একটি শিশুও খেলছে না, এটা দেখা দুঃখজনক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে