শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে রংপুর-৩ আসন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগ মাত্র সাড়ে ৩ বছর এবং মাঝখানে কিছু সময় বিএনপি থাকলেও ৪৩ বছর জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে। এর অন্যতম কারণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুধু এই আসন নয়, পুরো রংপুর একসময় ‘লাঙ্গলের ঘাঁটি’ ছিল। কিন্তু দিন বদলে গেছে। রংপুর-১ ও রংপুর-৩ ছাড়া বাকি ৪টি আসন আওয়ামী লীগের দখলে।
আগামী নির্বাচনে এ দুটিও নিয়ে নিতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে দলটি। তবে টিকে থাকতে মাঠে প্রস্তুত জাপাও। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে এবার জমবে লড়াই।২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে এমপি নির্বাচিত হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে উপনির্বাচন হয়। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন তাঁর ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। এবারও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তবে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জি এম কাদেরের নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইবেন হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির আলী।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং সাবেক এমপি হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। বিএনপি নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবেন রংপুর মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক রিটা রহমান, আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও কাওসার জামান বাবলা।
জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, সাদ এরশাদ শপথ নেওয়ার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হচ্ছে। বেশির ভাগ সময় তিনি থাকেন ঢাকায়। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁকে পাশে পান না। নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর তেমন যোগাযোগ নেই। দৃশ্যমান উন্নয়নও হয়নি। দলটির এক নেতা বলেন, ‘সাদ এরশাদের জনসম্পৃক্ততা না থাকা রংপুরকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। যদি এবার তাঁকে মনোনয়ন
দেওয়া হয়, তাহলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী মাঠে কাজ করবেন না। সাধারণ মানুষও তাঁকে মেনে নেবেন না।’ আরেক নেতা বলেন, ‘এবার যদি এখানে ভালো প্রার্থী দেওয়া না হয়, তাহলে আসনটি ধরে রাখা খুবই কঠিন হবে।’
এ ব্যাপারে সাদ এরশাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু স্বার্থলোভী নেতা স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তবে আশা করি, আবার আমি মনোনয়ন পাব।’ দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রিজিকের মালিক আল্লাহ।’
জাপার নেতা এস এম ইয়াসির আলী বলেন, ‘এবার মনোনয়ন চাইব। তবে জিএম কাদের এই আসনে গেলে আমি সরে আসব।’
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে তুষার কান্তি মণ্ডল, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে। অন্তত আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, যেকোনো মূল্যে রংপুর-৩ আসন এবার আয়ত্তে নিতে চান। আসনটিতে দীর্ঘ সময় দলটির এমপি না থাকায় সাংগঠনিক দিক দুর্বল হয়ে পড়েছে।
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আমাদের কোনো এমপি নেই। এতে সাংগঠনিকভাবে এই আসনে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়ছে।
এ ছাড়া এখানে যাঁরা এমপি আছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছান না। তাঁদের নেতা-কর্মীরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ জন্যই এখানে আওয়ামী লীগের এমপি দরকার।’তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দিয়ে কোনো উন্নয়ন হবে না। এবার আমি দল থেকে মনোনয়ন চাইব। নেত্রী অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবেন, আমি মাঠে আছি। এই আসনে ছাড় দেওয়া হবে না।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আসনটি নিজেদের দখলে নিতে পারবেন বলে মনে করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন হয়, মানুষ মুখিয়ে আছে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য।’
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) রংপুর জেলা সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস প্রার্থী হতে পারেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে রংপুর-৩ আসন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগ মাত্র সাড়ে ৩ বছর এবং মাঝখানে কিছু সময় বিএনপি থাকলেও ৪৩ বছর জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে। এর অন্যতম কারণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুধু এই আসন নয়, পুরো রংপুর একসময় ‘লাঙ্গলের ঘাঁটি’ ছিল। কিন্তু দিন বদলে গেছে। রংপুর-১ ও রংপুর-৩ ছাড়া বাকি ৪টি আসন আওয়ামী লীগের দখলে।
আগামী নির্বাচনে এ দুটিও নিয়ে নিতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে দলটি। তবে টিকে থাকতে মাঠে প্রস্তুত জাপাও। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে এবার জমবে লড়াই।২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে এমপি নির্বাচিত হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে উপনির্বাচন হয়। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন তাঁর ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। এবারও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তবে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জি এম কাদেরের নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া মনোনয়ন চাইবেন হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির আলী।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং সাবেক এমপি হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। বিএনপি নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবেন রংপুর মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক রিটা রহমান, আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও কাওসার জামান বাবলা।
জাপার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, সাদ এরশাদ শপথ নেওয়ার সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হচ্ছে। বেশির ভাগ সময় তিনি থাকেন ঢাকায়। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁকে পাশে পান না। নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর তেমন যোগাযোগ নেই। দৃশ্যমান উন্নয়নও হয়নি। দলটির এক নেতা বলেন, ‘সাদ এরশাদের জনসম্পৃক্ততা না থাকা রংপুরকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। যদি এবার তাঁকে মনোনয়ন
দেওয়া হয়, তাহলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী মাঠে কাজ করবেন না। সাধারণ মানুষও তাঁকে মেনে নেবেন না।’ আরেক নেতা বলেন, ‘এবার যদি এখানে ভালো প্রার্থী দেওয়া না হয়, তাহলে আসনটি ধরে রাখা খুবই কঠিন হবে।’
এ ব্যাপারে সাদ এরশাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু স্বার্থলোভী নেতা স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তবে আশা করি, আবার আমি মনোনয়ন পাব।’ দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রিজিকের মালিক আল্লাহ।’
জাপার নেতা এস এম ইয়াসির আলী বলেন, ‘এবার মনোনয়ন চাইব। তবে জিএম কাদের এই আসনে গেলে আমি সরে আসব।’
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে তুষার কান্তি মণ্ডল, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে। অন্তত আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, যেকোনো মূল্যে রংপুর-৩ আসন এবার আয়ত্তে নিতে চান। আসনটিতে দীর্ঘ সময় দলটির এমপি না থাকায় সাংগঠনিক দিক দুর্বল হয়ে পড়েছে।
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আমাদের কোনো এমপি নেই। এতে সাংগঠনিকভাবে এই আসনে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়ছে।
এ ছাড়া এখানে যাঁরা এমপি আছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছান না। তাঁদের নেতা-কর্মীরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ জন্যই এখানে আওয়ামী লীগের এমপি দরকার।’তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দিয়ে কোনো উন্নয়ন হবে না। এবার আমি দল থেকে মনোনয়ন চাইব। নেত্রী অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবেন, আমি মাঠে আছি। এই আসনে ছাড় দেওয়া হবে না।’
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আসনটি নিজেদের দখলে নিতে পারবেন বলে মনে করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন হয়, মানুষ মুখিয়ে আছে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য।’
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) রংপুর জেলা সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস প্রার্থী হতে পারেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে