আজকের পত্রিকা
প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগেও ভালো খেলেছেন। তবু এবার একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে, ধারাবাহিক ভালো করার পেছনে রহস্যটাই যদি জানতে চাই?
মোহাম্মদ নাঈম: না ওই রকম তেমন কিছু না। আগে যে পরিকল্পনা, ওই পরিকল্পনাতেই খেলছি। কিন্তু প্রক্রিয়াটা একটু পরিবর্তন করে সামনের দিকে এগোচ্ছি। পরিকল্পনা যেটা করেছি তা হয়তো আগে ভালোভাবে করতে পারিনি, কিন্তু এখন করতে করতে হয়তো সফল। পরিকল্পনাটা যেহেতু ভালোভাবে মেনে চলতে পারছি, তাই সফল হচ্ছি।
প্রশ্ন: ১১ ম্যাচে ৭টি ফিফটি, একটি সেঞ্চুরি। ৫০ পেরোনো ৮টি ইনিংসের মাত্র একটিই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। আরও বেশি সেঞ্চুরি প্রত্যাশিত ছিল নিশ্চয়ই?
নাঈম: অবশ্যই হতে পারত, ২টা, ৩টা, ৪টাও হতে পারত। আমি দুই-তিনটা ইনিংসে অপ্রত্যাশিতভাবে আউট হয়েছি। ৯০-এর ঘরে, ৭০-৮০-এর ঘরে আউট হয়েছি কয়েকবার। আশা করছি, সুপার লিগে ওই ভুল আর হবে না। চেষ্টা করব, ওই সব জায়গায় থেকে ইনিংস বড় করতে।
প্রশ্ন: আবাহনীতে আপনার সতীর্থ এনামুল হক বিজয়ও রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। গতবারও সে এক হাজারের বেশি রান করেছে। দুজনের মধ্যে রানের লড়াইটা ভালোই জমেছে তাহলে?
নাঈম: আসলে লড়াই বলতে কিছু নেই। এটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। তিনি তাঁর মতো ভালো খেলছে, আমি আমার মতো। চেষ্টা করছি, দলের জন্য যতটা অবদান রাখা যায়। একদিন হয়তো বিজয় ভাই করছে, আরেক দিন আমি করছি। নিজেদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলছে।
প্রশ্ন: আরও ৫টা ম্যাচ আছে সামনে। ১০০০ রান করার কোনো লক্ষ্য স্থির করেছেন কি না?
নাঈম: না, ১০০০ করলে তো আমার লক্ষ্য সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। আমি তো আরও বেশি করতে পারি (রান)! লক্ষ্য ঠিক করলে আমার বেঞ্চমার্ক তো নির্দিষ্ট হয়ে গেল। আমি এর আগে ৮০৭ রান করেছি প্রিমিয়ার লিগে (২০১৯ সালে)। ১০০০ (রান) না, আরও বেশি করতে পারি। হতে পারে না? স্বপ্ন সব সময় বড়ই দেখা উচিত।
প্রশ্ন: ব্যাটিং গড় প্রায় ৯০, স্ট্রাইকরেটও ১০০-এর কাছাকাছি, এবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল?
নাঈম: লিস্ট ‘এ’ তে আমার কখনো স্ট্রাইকরেট ৮৫-এর নিচে ছিল না। আমি এবার শুরু করেছিলাম ১০৫ দিয়ে। উইকেটে শুরুর দিকে ৩০০ করার স্কোর হয়েছে, এখন ধীরে ধীরে ২৭০-২৮০, এটাই এখন লড়াইয়ের স্কোর হচ্ছে। এখন ভালো উইকেট নিয়মিত হচ্ছে না। ৩০০-এর ওপরে রান হলেই দেখবেন কোনো একজন ওপেনারের ৯৫-১০০ স্ট্রাইকরেট থাকে। অবশ্যই কাজ করছি, কাজ না করলে তো আর এটা হতো না। এ কারণেই এখন ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার দল আবাহনীর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই চলছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
নাঈম: চেষ্টা থাকবে ম্যাচ ধরে ধরে সামনের দিকে যাওয়ার। যেহেতু প্রথম রাউন্ডে আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি। এখানে তো সুযোগ হাত ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোব, বাকিটা দেখা যাবে। লড়াই তো অবশ্যই হবে, তারাও ভালো ক্রিকেট খেলছে। একেবারে শেষ পর্যন্ত ফল নির্ধারণ হতে পারে। লড়াই অবশ্যই হবে এ দুই দলের। মানসম্পন্ন কয়েকটা দল আছে। রূপগঞ্জও খুব কাছাকাছি। সুপার লিগে কী হয় বোঝা যায় না। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা ভালো করব ইনশা আল্লাহ।
প্রশ্ন: সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা, আপনি বাংলাদেশের হয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলেছেনও। তবে জায়গা পোক্ত হয়নি। আবার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
নাঈম: এখন যেভাবে খেলছি ঘরোয়া লিগগুলোয়, ডিপিএল সবচেয়ে বড় ঘরোয়া লিগগুলোর মধ্য বড় লিগ। এখানে নিজেকে যতটা সেরা পর্যায়ে মেলে ধরা যায়, সেটাই চেষ্টা করছি। অবশ্যই ভালো কিছু করলে নির্বাচকদের এদিকে চোখ আছে। আমি শতভাগ দিতে থাকব ঘরোয়া লিগে, বাকিটা নির্বাচক-ক্রিকেট বোর্ডের ওপর।
প্রশ্ন: এখন বাংলাদেশ দলে টপ অর্ডারে কয়েকজন পারফরমার আছেন। আপনাদের জন্য জায়গা করে নেওয়া কতটা কঠিন হবে?
নাঈম: আমার চিন্তা হচ্ছে নিজেকে নিয়ে, নিজের সেরাটা দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে তোলা। সেটা ডিপিএল, আন্তর্জাতিক, বিপিএল—যেখানেই হোক। আমার প্রতিযোগিতা আমার নিজের সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে না। প্রতিযোগিতা যত হবে, তত আমাদের ভালো। খেলোয়াড়দের মান বাড়বে।
প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আগেও ভালো খেলেছেন। তবু এবার একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে, ধারাবাহিক ভালো করার পেছনে রহস্যটাই যদি জানতে চাই?
মোহাম্মদ নাঈম: না ওই রকম তেমন কিছু না। আগে যে পরিকল্পনা, ওই পরিকল্পনাতেই খেলছি। কিন্তু প্রক্রিয়াটা একটু পরিবর্তন করে সামনের দিকে এগোচ্ছি। পরিকল্পনা যেটা করেছি তা হয়তো আগে ভালোভাবে করতে পারিনি, কিন্তু এখন করতে করতে হয়তো সফল। পরিকল্পনাটা যেহেতু ভালোভাবে মেনে চলতে পারছি, তাই সফল হচ্ছি।
প্রশ্ন: ১১ ম্যাচে ৭টি ফিফটি, একটি সেঞ্চুরি। ৫০ পেরোনো ৮টি ইনিংসের মাত্র একটিই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন। আরও বেশি সেঞ্চুরি প্রত্যাশিত ছিল নিশ্চয়ই?
নাঈম: অবশ্যই হতে পারত, ২টা, ৩টা, ৪টাও হতে পারত। আমি দুই-তিনটা ইনিংসে অপ্রত্যাশিতভাবে আউট হয়েছি। ৯০-এর ঘরে, ৭০-৮০-এর ঘরে আউট হয়েছি কয়েকবার। আশা করছি, সুপার লিগে ওই ভুল আর হবে না। চেষ্টা করব, ওই সব জায়গায় থেকে ইনিংস বড় করতে।
প্রশ্ন: আবাহনীতে আপনার সতীর্থ এনামুল হক বিজয়ও রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। গতবারও সে এক হাজারের বেশি রান করেছে। দুজনের মধ্যে রানের লড়াইটা ভালোই জমেছে তাহলে?
নাঈম: আসলে লড়াই বলতে কিছু নেই। এটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। তিনি তাঁর মতো ভালো খেলছে, আমি আমার মতো। চেষ্টা করছি, দলের জন্য যতটা অবদান রাখা যায়। একদিন হয়তো বিজয় ভাই করছে, আরেক দিন আমি করছি। নিজেদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলছে।
প্রশ্ন: আরও ৫টা ম্যাচ আছে সামনে। ১০০০ রান করার কোনো লক্ষ্য স্থির করেছেন কি না?
নাঈম: না, ১০০০ করলে তো আমার লক্ষ্য সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। আমি তো আরও বেশি করতে পারি (রান)! লক্ষ্য ঠিক করলে আমার বেঞ্চমার্ক তো নির্দিষ্ট হয়ে গেল। আমি এর আগে ৮০৭ রান করেছি প্রিমিয়ার লিগে (২০১৯ সালে)। ১০০০ (রান) না, আরও বেশি করতে পারি। হতে পারে না? স্বপ্ন সব সময় বড়ই দেখা উচিত।
প্রশ্ন: ব্যাটিং গড় প্রায় ৯০, স্ট্রাইকরেটও ১০০-এর কাছাকাছি, এবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল?
নাঈম: লিস্ট ‘এ’ তে আমার কখনো স্ট্রাইকরেট ৮৫-এর নিচে ছিল না। আমি এবার শুরু করেছিলাম ১০৫ দিয়ে। উইকেটে শুরুর দিকে ৩০০ করার স্কোর হয়েছে, এখন ধীরে ধীরে ২৭০-২৮০, এটাই এখন লড়াইয়ের স্কোর হচ্ছে। এখন ভালো উইকেট নিয়মিত হচ্ছে না। ৩০০-এর ওপরে রান হলেই দেখবেন কোনো একজন ওপেনারের ৯৫-১০০ স্ট্রাইকরেট থাকে। অবশ্যই কাজ করছি, কাজ না করলে তো আর এটা হতো না। এ কারণেই এখন ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: আপনার দল আবাহনীর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই চলছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?
নাঈম: চেষ্টা থাকবে ম্যাচ ধরে ধরে সামনের দিকে যাওয়ার। যেহেতু প্রথম রাউন্ডে আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি। এখানে তো সুযোগ হাত ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোব, বাকিটা দেখা যাবে। লড়াই তো অবশ্যই হবে, তারাও ভালো ক্রিকেট খেলছে। একেবারে শেষ পর্যন্ত ফল নির্ধারণ হতে পারে। লড়াই অবশ্যই হবে এ দুই দলের। মানসম্পন্ন কয়েকটা দল আছে। রূপগঞ্জও খুব কাছাকাছি। সুপার লিগে কী হয় বোঝা যায় না। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমরা ভালো করব ইনশা আল্লাহ।
প্রশ্ন: সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা, আপনি বাংলাদেশের হয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলেছেনও। তবে জায়গা পোক্ত হয়নি। আবার জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কতটা আশাবাদী?
নাঈম: এখন যেভাবে খেলছি ঘরোয়া লিগগুলোয়, ডিপিএল সবচেয়ে বড় ঘরোয়া লিগগুলোর মধ্য বড় লিগ। এখানে নিজেকে যতটা সেরা পর্যায়ে মেলে ধরা যায়, সেটাই চেষ্টা করছি। অবশ্যই ভালো কিছু করলে নির্বাচকদের এদিকে চোখ আছে। আমি শতভাগ দিতে থাকব ঘরোয়া লিগে, বাকিটা নির্বাচক-ক্রিকেট বোর্ডের ওপর।
প্রশ্ন: এখন বাংলাদেশ দলে টপ অর্ডারে কয়েকজন পারফরমার আছেন। আপনাদের জন্য জায়গা করে নেওয়া কতটা কঠিন হবে?
নাঈম: আমার চিন্তা হচ্ছে নিজেকে নিয়ে, নিজের সেরাটা দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে তোলা। সেটা ডিপিএল, আন্তর্জাতিক, বিপিএল—যেখানেই হোক। আমার প্রতিযোগিতা আমার নিজের সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে না। প্রতিযোগিতা যত হবে, তত আমাদের ভালো। খেলোয়াড়দের মান বাড়বে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে