বাগেরহাট ও শরণখোলা প্রতিনিধি
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। ১৪ বছর আগের এই দিনে সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে একদিনে প্রায় ৯০৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। কয়েকশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল সেদিন।
স্বজন হারানোর বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। গণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়।
বেড়িবাঁধের প্রায় ৫৮ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হলেও অরক্ষিত রয়ে গেছে সাউথখালি ইউনিয়নের গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে বগি, তেরাবাকা-শরণখোলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার বাঁধ। এই চার কিলোমিটার বাঁধ এখনো নিচু রয়ে গেছে। এখানে ব্লক দেওয়া শুরু হয় না। এই বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালু দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এই চার কিলোমিটার বাঁধ দিয়ে প্রতিবছর কয়েকবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। অনেক সময় পানিবন্দী থাকতে হয় ৭ থেকে ১০ দিন।
অন্যদিকে শরণখোলার সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় এই অঞ্চলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে মৃত্যুঝুঁকি রয়েই গেছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, মূল বাঁধের অনেকাংশ নির্মাণ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে বগী, তেরাবাকা-শরণখোলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার বাঁধ এখনো অরক্ষিত রয়েছে। এই চার কিলোমিটার বাঁধে বালুরও ব্যবহার করছেন ঠিকাদাররা। দুই পাশে মাটি দিয়ে ভেতরে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরছেন তারা। এর ফলে এই বাঁধ খুব বেশি টেকসই হবে না। বালু না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।
স্থানীয় সিদ্দিক ফকির, সিয়ামসহ কয়েকজন বলেন, ‘সিডরের পর থেকে আমাদের একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়ি বাঁধ ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। কিন্তু ১৪ বছরেও আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ করতে পারেনি সরকার। কোথায় যাব আমরা? প্রতিবছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আমাতের জানমালের ক্ষতি হয়। এভাবে চলতে থাকলে অন্যদের মত এলাকা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না আমাদের।’
বগী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী বলেন, বাঁধ নির্মাণ ঠিকই সরকার শুরু করেছে। কিন্তু যে এলাকা সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেই এলাকা এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে।
১৪ বছরেও মানুষকে বাঁচার মত ব্যবস্থা করে দিতে পারল না সরকার এই বলে আক্ষেপ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
উত্তর সাউথখালী এলাকার ইউপি সদস্য আল আমিন খানা বলেন, ‘আমার এলাকায় কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। অথচ আমার এলাকায়ই সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল মানুষের। শুধু উত্তর সাউথখালী নয়, শরণখোলার অনেক এলাকায়ই আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট রয়েছে।’
এদিকে সম্পন্ন হওয়া বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেট না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে পানিবন্দী থাকতে হয় কয়েক গ্রামের মানুষকে।
দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি নামতে না পাড়ায় এক ধরনের বন্দী অবস্থায় রয়েছি আমরা। এই বাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইজ গেট না থাকায় পানি নামে না। একদিন বৃষ্টি হলে, আমাদের কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকতে হয়। আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
শরনখোলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘সিডর বিদ্ধস্ত মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কাজ করেছে। এ জন্য আমি সরকারকে স্বাধুবাদ জানাই। কিন্তু টেকসিই বেরিবাঁধের নামে যে বাঁধ করেছে তা পরিকল্পিত ভাবে হয়নি।’ পর্যাপ্ত স্লুইসগেট না থাকায় এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সম্পন্ন হওয়া বাঁধে আরও স্লুইজ নির্মান এবং অসম্পন্ন যে বাধ রয়েছে সেই বাঁধ দ্রুত নির্মানের দাবি জানান এই জন প্রতিনিধি।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। ১৪ বছর আগের এই দিনে সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে একদিনে প্রায় ৯০৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। কয়েকশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল সেদিন।
স্বজন হারানোর বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। গণ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়।
বেড়িবাঁধের প্রায় ৫৮ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হলেও অরক্ষিত রয়ে গেছে সাউথখালি ইউনিয়নের গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে বগি, তেরাবাকা-শরণখোলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার বাঁধ। এই চার কিলোমিটার বাঁধ এখনো নিচু রয়ে গেছে। এখানে ব্লক দেওয়া শুরু হয় না। এই বাঁধে মাটির পরিবর্তে বালু দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এই চার কিলোমিটার বাঁধ দিয়ে প্রতিবছর কয়েকবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। অনেক সময় পানিবন্দী থাকতে হয় ৭ থেকে ১০ দিন।
অন্যদিকে শরণখোলার সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় এই অঞ্চলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে মৃত্যুঝুঁকি রয়েই গেছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, মূল বাঁধের অনেকাংশ নির্মাণ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গাবতলা আশার আলো মসজিদ থেকে বগী, তেরাবাকা-শরণখোলা পর্যন্ত চার কিলোমিটার বাঁধ এখনো অরক্ষিত রয়েছে। এই চার কিলোমিটার বাঁধে বালুরও ব্যবহার করছেন ঠিকাদাররা। দুই পাশে মাটি দিয়ে ভেতরে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরছেন তারা। এর ফলে এই বাঁধ খুব বেশি টেকসই হবে না। বালু না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।
স্থানীয় সিদ্দিক ফকির, সিয়ামসহ কয়েকজন বলেন, ‘সিডরের পর থেকে আমাদের একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়ি বাঁধ ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। কিন্তু ১৪ বছরেও আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ করতে পারেনি সরকার। কোথায় যাব আমরা? প্রতিবছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আমাতের জানমালের ক্ষতি হয়। এভাবে চলতে থাকলে অন্যদের মত এলাকা ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না আমাদের।’
বগী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী বলেন, বাঁধ নির্মাণ ঠিকই সরকার শুরু করেছে। কিন্তু যে এলাকা সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেই এলাকা এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে।
১৪ বছরেও মানুষকে বাঁচার মত ব্যবস্থা করে দিতে পারল না সরকার এই বলে আক্ষেপ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
উত্তর সাউথখালী এলাকার ইউপি সদস্য আল আমিন খানা বলেন, ‘আমার এলাকায় কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। অথচ আমার এলাকায়ই সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল মানুষের। শুধু উত্তর সাউথখালী নয়, শরণখোলার অনেক এলাকায়ই আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট রয়েছে।’
এদিকে সম্পন্ন হওয়া বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইস গেট না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে পানিবন্দী থাকতে হয় কয়েক গ্রামের মানুষকে।
দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি নামতে না পাড়ায় এক ধরনের বন্দী অবস্থায় রয়েছি আমরা। এই বাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইজ গেট না থাকায় পানি নামে না। একদিন বৃষ্টি হলে, আমাদের কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকতে হয়। আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চাই।’
শরনখোলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘সিডর বিদ্ধস্ত মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কাজ করেছে। এ জন্য আমি সরকারকে স্বাধুবাদ জানাই। কিন্তু টেকসিই বেরিবাঁধের নামে যে বাঁধ করেছে তা পরিকল্পিত ভাবে হয়নি।’ পর্যাপ্ত স্লুইসগেট না থাকায় এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সম্পন্ন হওয়া বাঁধে আরও স্লুইজ নির্মান এবং অসম্পন্ন যে বাধ রয়েছে সেই বাঁধ দ্রুত নির্মানের দাবি জানান এই জন প্রতিনিধি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে