কে এম হিমেল আহমেদ, বেরোবি
দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। সামর্থ্যবানদের অনেকে বৈদ্যুতিক পাখার পাশাপাশি ঘরে লাগাচ্ছেন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। অথচ প্রশান্তির জন্য কোনো যন্ত্রই লাগে না মাটির ঘরে। তীব্র রোদ থেকে এলেও মাটির ঘরে ঢুকলে জুড়িয়ে যায় শরীর-মন। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে সেই ঘর।
এরপরও রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর, রস্তমাবাদ, কালুপাড়া, হাজীপুর, ঘাটাবিল খেয়ারপাড়া, ডাঙ্গীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে এখনো অর্ধশতাধিক মাটির ঘর টিকে আছে। আর এই খরতাপে মানুষের প্রশান্তির বালাখানা হয়ে উঠেছে এসব ঘর। শীতে আবার ঘরগুলো প্রাকৃতিকভাবেই থাকে গরম।
খেয়ারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ জাহানারা খাতুন বলেন, ‘হামার বাড়ি করার বয়স হলো ৩০ বছর। স্বামীর তৈরি করা ঘরটিতেই বসবাস করছি। ঠান্ডার দিনোতও আরাম, গরম কালেও আরাম। বাড়িতে সাগাই (আত্মীয়) আসলে নয়া মাটি দিয়ে লেপে দেই। তাতে চকচক করে ঘর। ইটের ঘরের থাকি মাটির ঘরত শান্তি বেশি।’
মাটির ঘর তৈরির প্রধান উপকরণ মাটি। এ ছাড়া বাঁশ, খড়, কাঠ, টিন ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। একসময় মাটির ঘর তৈরি করতেন উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাদেক আলী। তিনি বলেন, ‘বাহে, খিয়ার মাটির কাদো পাও দিয়া দলাইমলাই কইরার নাগে। যত বেশি দলাইমলাই হয়, ঘর ততই মজবুত ও শক্ত হয়। একনা মাটির ঘর বানাইতে দেড় দুই মাস নাগে। আগোত হামার এত্তি প্রত্যেক বাড়িত মাটির ঘর আছলো।’
এলাকায় মাটির বাড়ি তৈরির ১০-১২ জন কারিগর ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশ আর বেঁচে নেই বলে জানান কারিগর মো. শওকত।
রস্তমাবাদ গ্রামের ১১০ বছর বয়সী আব্দুল ওহাব বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেও কিছু হয় না।
দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। সামর্থ্যবানদের অনেকে বৈদ্যুতিক পাখার পাশাপাশি ঘরে লাগাচ্ছেন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। অথচ প্রশান্তির জন্য কোনো যন্ত্রই লাগে না মাটির ঘরে। তীব্র রোদ থেকে এলেও মাটির ঘরে ঢুকলে জুড়িয়ে যায় শরীর-মন। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে সেই ঘর।
এরপরও রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর, রস্তমাবাদ, কালুপাড়া, হাজীপুর, ঘাটাবিল খেয়ারপাড়া, ডাঙ্গীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে এখনো অর্ধশতাধিক মাটির ঘর টিকে আছে। আর এই খরতাপে মানুষের প্রশান্তির বালাখানা হয়ে উঠেছে এসব ঘর। শীতে আবার ঘরগুলো প্রাকৃতিকভাবেই থাকে গরম।
খেয়ারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ জাহানারা খাতুন বলেন, ‘হামার বাড়ি করার বয়স হলো ৩০ বছর। স্বামীর তৈরি করা ঘরটিতেই বসবাস করছি। ঠান্ডার দিনোতও আরাম, গরম কালেও আরাম। বাড়িতে সাগাই (আত্মীয়) আসলে নয়া মাটি দিয়ে লেপে দেই। তাতে চকচক করে ঘর। ইটের ঘরের থাকি মাটির ঘরত শান্তি বেশি।’
মাটির ঘর তৈরির প্রধান উপকরণ মাটি। এ ছাড়া বাঁশ, খড়, কাঠ, টিন ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। একসময় মাটির ঘর তৈরি করতেন উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাদেক আলী। তিনি বলেন, ‘বাহে, খিয়ার মাটির কাদো পাও দিয়া দলাইমলাই কইরার নাগে। যত বেশি দলাইমলাই হয়, ঘর ততই মজবুত ও শক্ত হয়। একনা মাটির ঘর বানাইতে দেড় দুই মাস নাগে। আগোত হামার এত্তি প্রত্যেক বাড়িত মাটির ঘর আছলো।’
এলাকায় মাটির বাড়ি তৈরির ১০-১২ জন কারিগর ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশ আর বেঁচে নেই বলে জানান কারিগর মো. শওকত।
রস্তমাবাদ গ্রামের ১১০ বছর বয়সী আব্দুল ওহাব বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেও কিছু হয় না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে