সম্পাদকীয়
খুবই দামি একটা কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ‘সিন্ডিকেটের সঙ্গে আপস নয়’—তাঁর বলা এ কথা যদি বাস্তবে প্রতিফলিত হয়, তাহলে পণ্য কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। আগের তুলনায় এখন পর্যন্ত বাজারে নিত্যপণ্যের দামে খুব একটা পার্থক্য দেখা না গেলেও উপদেষ্টার কথা যদি ফলে যায়, তাহলে আশা এখনো আছে। মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচে।
আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার বদলের পর খবর বেরিয়েছিল, পণ্যবহনকারী ট্রাককে ঘাটে ঘাটে পয়সা ঢালতে হয়। প্রায় সাত হাজার টাকার এই বাড়তি খরচের ফলে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উচ্চ মূল্যে কিনতে হয় ভোক্তাকে। এই বাড়তি টাকা এখন যদি খরচ করতে না হয়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমছে না কেন?
সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর বিরুদ্ধে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায় না। এমনকি বিগত সরকারের এক মন্ত্রী তো বলেছিলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা কঠিন। কেন কঠিন, তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এ কথা তো সত্যি, সিন্ডিকেট কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান নয়। সরকার কঠোর হলে যেকোনো বেআইনি মতলবকেই তো আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে। সেই চেষ্টাটা নেই কেন? কী এমন জাদু আছে সিন্ডিকেটের মধ্যে, সেটাই তো জানতে হবে সবার আগে। সিন্ডিকেটের লাভের গুড় নিশ্চয়ই পিঁপড়া খায় না। আর মানুষরূপী পিঁপড়াই যদি খেয়ে থাকে, তাহলে সেই পিঁপড়ার মধ্যে পেশিশক্তি, আইনিশক্তি, মতলববাজেরাও আছে কি না, সেটাও তো খতিয়ে দেখতে হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, অতিপ্রয়োজনীয় আলু আর পেঁয়াজের দাম কিন্তু রয়েছে আগের জায়গায়। নট নড়নচড়ন। ডিমের দাম তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। পচনশীল শাকসবজির দামেরও কোনো হেরফের হয়নি। কেন হচ্ছে না, সেটাই তো এখন দেখার বিষয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আড়তে কৃষিপণ্য এলে তিন-চার হাত বদল হয়। এ ছাড়া প্রভাবশালীরা চাঁদাবাজি করে। আড়তে তিন-চার হাতবদল ও চাঁদাবাজি বন্ধে স্থানীয় বাজার কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ভূমিকা দরকার। খাঁটি কথা। কিন্তু যদি শর্ষের মধ্যে ভূত থাকে, তা থেকে মুক্তি মিলবে কী করে? বাজারের পণ্যমূল্য প্রসঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, যে যখন সুযোগ পেয়েছে, তখনই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। সততা আর জনগণের কথা ভাবেনি কেউ। এমনও হয়েছে, ভারত হয়তো বলেছে, পেঁয়াজ দেবে না, সেই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আগের দামে কেনা পেঁয়াজে লাভ হয়েছে আকাশচুম্বী!
স্বভাব বদল না হলে এবং সত্যিই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মূল অপরাধীদের শায়েস্তা না করলে শুধু বক্তৃতা দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। যেই লাউ সেই কদু অবস্থায় যেন জনগণ না পড়ে, তা থেকে মুক্তির দিশা দেখাতে হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টার আন্তরিকতায় জনগণ সেই দিশা দেখতে চাইবে নিশ্চয়ই।
খুবই দামি একটা কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ‘সিন্ডিকেটের সঙ্গে আপস নয়’—তাঁর বলা এ কথা যদি বাস্তবে প্রতিফলিত হয়, তাহলে পণ্য কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। আগের তুলনায় এখন পর্যন্ত বাজারে নিত্যপণ্যের দামে খুব একটা পার্থক্য দেখা না গেলেও উপদেষ্টার কথা যদি ফলে যায়, তাহলে আশা এখনো আছে। মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচে।
আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার বদলের পর খবর বেরিয়েছিল, পণ্যবহনকারী ট্রাককে ঘাটে ঘাটে পয়সা ঢালতে হয়। প্রায় সাত হাজার টাকার এই বাড়তি খরচের ফলে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উচ্চ মূল্যে কিনতে হয় ভোক্তাকে। এই বাড়তি টাকা এখন যদি খরচ করতে না হয়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমছে না কেন?
সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর বিরুদ্ধে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায় না। এমনকি বিগত সরকারের এক মন্ত্রী তো বলেছিলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা কঠিন। কেন কঠিন, তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এ কথা তো সত্যি, সিন্ডিকেট কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান নয়। সরকার কঠোর হলে যেকোনো বেআইনি মতলবকেই তো আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে। সেই চেষ্টাটা নেই কেন? কী এমন জাদু আছে সিন্ডিকেটের মধ্যে, সেটাই তো জানতে হবে সবার আগে। সিন্ডিকেটের লাভের গুড় নিশ্চয়ই পিঁপড়া খায় না। আর মানুষরূপী পিঁপড়াই যদি খেয়ে থাকে, তাহলে সেই পিঁপড়ার মধ্যে পেশিশক্তি, আইনিশক্তি, মতলববাজেরাও আছে কি না, সেটাও তো খতিয়ে দেখতে হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, অতিপ্রয়োজনীয় আলু আর পেঁয়াজের দাম কিন্তু রয়েছে আগের জায়গায়। নট নড়নচড়ন। ডিমের দাম তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। পচনশীল শাকসবজির দামেরও কোনো হেরফের হয়নি। কেন হচ্ছে না, সেটাই তো এখন দেখার বিষয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আড়তে কৃষিপণ্য এলে তিন-চার হাত বদল হয়। এ ছাড়া প্রভাবশালীরা চাঁদাবাজি করে। আড়তে তিন-চার হাতবদল ও চাঁদাবাজি বন্ধে স্থানীয় বাজার কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও ভূমিকা দরকার। খাঁটি কথা। কিন্তু যদি শর্ষের মধ্যে ভূত থাকে, তা থেকে মুক্তি মিলবে কী করে? বাজারের পণ্যমূল্য প্রসঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, যে যখন সুযোগ পেয়েছে, তখনই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। সততা আর জনগণের কথা ভাবেনি কেউ। এমনও হয়েছে, ভারত হয়তো বলেছে, পেঁয়াজ দেবে না, সেই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আগের দামে কেনা পেঁয়াজে লাভ হয়েছে আকাশচুম্বী!
স্বভাব বদল না হলে এবং সত্যিই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মূল অপরাধীদের শায়েস্তা না করলে শুধু বক্তৃতা দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। যেই লাউ সেই কদু অবস্থায় যেন জনগণ না পড়ে, তা থেকে মুক্তির দিশা দেখাতে হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টার আন্তরিকতায় জনগণ সেই দিশা দেখতে চাইবে নিশ্চয়ই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে