লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত এক প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী ইউপি সদস্য জালাল ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে ৩০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট ও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

এ ঘটনায় গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী সাফিউল ইসলাম বাদী হয়ে জয়ী ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে আরও ৭ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন শেষে রাতে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রমনীগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, তাঁর সমর্থক জাহাঙ্গীর, খলিল, আলম, জাহেদুল, রেজাউল, তোজাম্মেল ও মনিহার।

ভুক্তভোগী সাফিউল ইসলাম উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রমনীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও ওই ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী বুলু মিয়ার সমর্থক।

জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন তালা প্রতীক নিয়ে ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বুলু মিয়া মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে তালা প্রতীক প্রার্থী জালাল উদ্দিন ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হন। এরপর ওই দিন রাতে পরাজিত প্রার্থী বুলু মিয়ার সমর্থক সাফিউলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।

ভুক্তভোগী সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা বুলু মিয়ার হয়ে কাজ করি। তাই জালাল নির্বাচনে জিতে সেই আক্রোশে আমার ছেলেকে মারধর করে। এরপর আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।’

অভিযুক্ত নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি বা আমার সমর্থকেরা কেউ তাঁদের বাড়িতে হামলা করিনি। উল্টো তারাই আমার সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। তাঁরা ভোট কেন্দ্রে ঝামেলা করে সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সেই ঘটনাকে ধামা-চাপা দিতে মিথ্যা অভিযোগের নাটক সাজিয়েছেন।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।