কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম রাতেই মাঠে নামছে বিশ্বকাপের দুই ফেবারিট ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আগামীকাল এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে সেলেসাওরা। ঘণ্টা চারেক পরে লুসাইল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে লা আলবিসেলেস্তেরা। ডাচদের কোচ লুই ফন গাল জানিয়েছেন, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে থামানোর ছক কষছেন তিনি।

২০১৪ বিশ্বকাপে ছক কষেও মেসিকে থামাতে পারেননি ফন গাল। সেবার ডাচদের সেমিফাইনাল থেকে ঘরে ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে। এবার ৮ বছর আগের প্রতিশোধটা নিতে চাইবেন ফন গালও। কাতারে আরেকবার কমলা নাচ দেখাতে শিষ্যদের প্রস্তুতও করে রেখেছেন তৃতীয় মেয়াদে ডাচদের দায়িত্ব নেওয়া এই কিংবদন্তি কোচ। জানিয়ে দিলেন মেসিকে আটকানোর কৌশল।

৭১ বছর বয়সী কোচ ইতিমধ্যে মেসির অস্ত্রাগারের একটি ত্রুটিরও খোঁজ পেয়েছেন। তিনি মনে করেন, প্রতিপক্ষ যখন বল নিয়ন্ত্রণে নেয়, তখন মেসি নিষ্প্রভ থাকে। শেষ আটের লড়াই সামনে রেখে মেসিকে আটকাতে আত্মবিশ্বাসী ফন গাল বলেছেন, ‘মেসি অত্যন্ত বিপজ্জনক সৃষ্টিশীল খেলোয়াড়। সে প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি ও গোল করতে সক্ষম।

তবে যখন সে বল হারায় এবং প্রতিপক্ষ বল দখলে নেয়, তখন সে ম্যাচে সেভাবে সক্রিয় থাকতে পারে না। আর আমাদের জন্য এটাই সুযোগ তাকে আটকে রাখার।’

ফন গাল ইতিমধ্যে তাঁর দলের শেষ চারের লড়াই নিয়ে চিন্তাভাবনাও নাকি করতে শুরু করেছেন। সেমিতে ডাচদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবছেন ব্রাজিলকে। ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ আট থেকে সেলেসাওদের বিদায় করে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এর এক দিন পর একই মঞ্চে জার্মানির কাছে ভাঙে আর্জেন্টিনার হৃদয়।

১২ বছর আগে ডাচরা তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলেছিল কোচ বার্ট ফন মারউইকের অধীনে। এবার সেলেসাওদের হৃদয় ভাঙতে চান ফন গাল। তবে তিতের শিষ্যদের কাতারে যেভাবে দেখেছেন, তার তুলনা নিজের দলের সঙ্গে করছেন তিনি, ‘আমাদের মতোই খেলছে ব্রাজিল। একেবারে শুরু থেকে তাদের আঁটসাঁট রক্ষণভাগ।’

ফন গালের মতো ব্রাজিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জ্লাতকো দালিচও। ক্রোয়েশিয়ার কোচ নেইমারদের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামার আগেই ব্রাজিলকে এই বিশ্বকাপের শক্তিশালী দলের তকমা সেঁটে দিয়েছেন লুকা মদরিচদের গুরু, ‘মানের দিক থেকে নিঃসন্দেহে ব্রাজিল এই বিশ্বকাপের শক্তিশালী দল। তারা সত্যিই সেরা দল। মাঠে ৫০ হাজারের বেশি ব্রাজিল সমর্থক থাকবে। তারা সেরা ও শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন হবে।’