বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
বদরগঞ্জ পৌর শহরে কসাইরা পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রায়ই অসুস্থ গরু কম দামে কিনে এনে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পশু জবাইয়ের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের মেলার মাঠে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। সেখানে পশু চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মৌলভি দিয়ে গরু জবাই করে নেওয়ার কথা কসাইদের। শহরে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি গরু জবাই করা হলেও মেলার মাঠে শুধু হাটের দিন সোম ও বৃহস্পতিবার দু-একটি গরু জবাই হয়। পশু চিকিৎসকের অভাবে এসব গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় না। আর বাকি গরু কসাইরা যত্রতত্র জবাই করে শহরে এনে মাংস বিক্রি করেন।
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে ৩০ থেকে ৪০ জন কসাই রয়েছেন। তাঁরা কয়েকজনে মিলে একটি গরু জবাই করেন। এসব কসাই বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন হাট থেকে অসুস্থ গরু কম দামে কিনে বেশি দরে মাংস বিক্রি করেন।
সর্বশেষ গত রোববার শহরের কলেজ ঘুমটি এলাকার হবিবার রহমান ওরফে হবি কসাইয়ের বিরুদ্ধে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠে। তিনি রংপুর সদরের লাহেরীর হাট এলাকা থেকে গরুটি কিনে আনেন। শাহাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, গরুটি কম দরে কিনে আনেন কসাই হবি। এরপর তিনি পৌর শহরে মাংস খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার হবি কসাই বলেন, ‘গরু একটু অসুস্থ ছিল ঠিক, কিন্তু আধামরা নয়। কিছু লোক আমার পেছনে লেগেছে। তাদের দেখে নেব।’
এর আগে ১৮ এপ্রিল অসুস্থ গরু কিনে শহরে মাংস বিক্রি করছিলেন কসাই কালাম মিয়া। তখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন। এ সময় মাংস রেখে পালিয়ে যান কালাম মিয়া।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, ‘কসাইরা গরু জবাইয়ে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। কে কোথা থেকে কীভাবে গরু জবাই করে মাংস ভ্যানে নিয়ে এসে পৌর শহরে বিক্রি করছেন তার কোনো ঠিক নেই। এ কারণে গরুর মাংস কেনা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব পৌর মেয়র ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের। তাঁরা কী করছেন জানি না। তবে গরু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের খবর দেওয়া হয় না।’
অসুস্থ গরু কেউ জবাই করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক বলেন, ‘যারা অসুস্থ গরু জবাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, ‘অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি দেখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম।’
বদরগঞ্জ পৌর শহরে কসাইরা পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রায়ই অসুস্থ গরু কম দামে কিনে এনে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পশু জবাইয়ের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের মেলার মাঠে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। সেখানে পশু চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মৌলভি দিয়ে গরু জবাই করে নেওয়ার কথা কসাইদের। শহরে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি গরু জবাই করা হলেও মেলার মাঠে শুধু হাটের দিন সোম ও বৃহস্পতিবার দু-একটি গরু জবাই হয়। পশু চিকিৎসকের অভাবে এসব গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় না। আর বাকি গরু কসাইরা যত্রতত্র জবাই করে শহরে এনে মাংস বিক্রি করেন।
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে ৩০ থেকে ৪০ জন কসাই রয়েছেন। তাঁরা কয়েকজনে মিলে একটি গরু জবাই করেন। এসব কসাই বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন হাট থেকে অসুস্থ গরু কম দামে কিনে বেশি দরে মাংস বিক্রি করেন।
সর্বশেষ গত রোববার শহরের কলেজ ঘুমটি এলাকার হবিবার রহমান ওরফে হবি কসাইয়ের বিরুদ্ধে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠে। তিনি রংপুর সদরের লাহেরীর হাট এলাকা থেকে গরুটি কিনে আনেন। শাহাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, গরুটি কম দরে কিনে আনেন কসাই হবি। এরপর তিনি পৌর শহরে মাংস খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার হবি কসাই বলেন, ‘গরু একটু অসুস্থ ছিল ঠিক, কিন্তু আধামরা নয়। কিছু লোক আমার পেছনে লেগেছে। তাদের দেখে নেব।’
এর আগে ১৮ এপ্রিল অসুস্থ গরু কিনে শহরে মাংস বিক্রি করছিলেন কসাই কালাম মিয়া। তখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন। এ সময় মাংস রেখে পালিয়ে যান কালাম মিয়া।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, ‘কসাইরা গরু জবাইয়ে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। কে কোথা থেকে কীভাবে গরু জবাই করে মাংস ভ্যানে নিয়ে এসে পৌর শহরে বিক্রি করছেন তার কোনো ঠিক নেই। এ কারণে গরুর মাংস কেনা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব পৌর মেয়র ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের। তাঁরা কী করছেন জানি না। তবে গরু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের খবর দেওয়া হয় না।’
অসুস্থ গরু কেউ জবাই করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক বলেন, ‘যারা অসুস্থ গরু জবাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, ‘অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি দেখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে