ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতে সরকারি ভর্তুকির সুবিধা সেচপাম্পের মালিকেরা পেলেও বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। এ ছাড়া সেচপাম্পের মালিকেরা কৃষকদের কাছ থেকে অনির্ধারিত হারে সেচ খরচের টাকা আদায় করছেন। এতে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় কমাতে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৮৬টি গভীর ও ১ হাজার ৪৮০টি অগভীর নলকূপ চালু রয়েছে। গভীর নলকূপগুলোর অধিকাংশ বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায়। অগভীর নলকূপগুলো স্থানীয় মালিকানাধীন। এসব মালিক কৃষকদের ভর্তুকির টাকা তুলে নিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ তাঁদের খরচ হচ্ছে ২-৩ হাজার টাকা। বিদ্যুতের ভর্তুকি পাম্পমালিকেরা পেলেও এর সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না।
উপজেলার উত্তর বড়ভিটা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদের হোসেন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এ জন্য তিনি প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ২ হাজার করে টাকা সেচ ভাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতে যে ভর্তুকি দিচ্ছে, তা আমরা পাচ্ছি না।’
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, হাসান আলী ও সিরাজ আলী বলেন, ‘বিদ্যুতে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির সুবিধা পাম্পমালিকেরাই তুলে নিচ্ছেন। ভর্তুকি পাওয়ার পরেও তাঁরা কৃষকদের কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে, তাতে আমাদের লাভ কী?’
এ বিষয়ে উপজেলার নন্দিরকুটি গ্রামের সেচপাম্পের মালিক জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে ২ হাজার টাকা নিচ্ছি। অনেক কৃষক এর থেকেও কম দেন।’
বিদ্যুতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে এর সুবিধা প্রান্তিক কৃষকদের দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে কয়েকজন সেচপাম্পের মালিক বলেন, ‘আমরা তো সেচের জন্য আগের হিসাবেই টাকা নিচ্ছি। এখন টাকা কম নিতে হবে, এমন কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক বিদ্যুচ্চালিত গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়েছেন। এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের বিদ্যুতে ভর্তুকির সুবিধা দিতে আমরা সেচ চার্জ নির্দিষ্ট করার বিষয়ে কাজ করছি। উপজেলায় সেচ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সব কৃষকই যাতে বিদ্যুতের ভর্তুকি সুবিধা পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, ‘সেচের জন্য সরকার প্রদত্ত সুবিধা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভা হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকেরা যাতে ভর্তুকি সুবিধা পান, সে জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিদ্যুতে সরকারি ভর্তুকির সুবিধা সেচপাম্পের মালিকেরা পেলেও বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। এ ছাড়া সেচপাম্পের মালিকেরা কৃষকদের কাছ থেকে অনির্ধারিত হারে সেচ খরচের টাকা আদায় করছেন। এতে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় কমাতে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৮৬টি গভীর ও ১ হাজার ৪৮০টি অগভীর নলকূপ চালু রয়েছে। গভীর নলকূপগুলোর অধিকাংশ বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায়। অগভীর নলকূপগুলো স্থানীয় মালিকানাধীন। এসব মালিক কৃষকদের ভর্তুকির টাকা তুলে নিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ তাঁদের খরচ হচ্ছে ২-৩ হাজার টাকা। বিদ্যুতের ভর্তুকি পাম্পমালিকেরা পেলেও এর সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না।
উপজেলার উত্তর বড়ভিটা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদের হোসেন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এ জন্য তিনি প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ২ হাজার করে টাকা সেচ ভাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতে যে ভর্তুকি দিচ্ছে, তা আমরা পাচ্ছি না।’
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, হাসান আলী ও সিরাজ আলী বলেন, ‘বিদ্যুতে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির সুবিধা পাম্পমালিকেরাই তুলে নিচ্ছেন। ভর্তুকি পাওয়ার পরেও তাঁরা কৃষকদের কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে, তাতে আমাদের লাভ কী?’
এ বিষয়ে উপজেলার নন্দিরকুটি গ্রামের সেচপাম্পের মালিক জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে ২ হাজার টাকা নিচ্ছি। অনেক কৃষক এর থেকেও কম দেন।’
বিদ্যুতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে এর সুবিধা প্রান্তিক কৃষকদের দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে কয়েকজন সেচপাম্পের মালিক বলেন, ‘আমরা তো সেচের জন্য আগের হিসাবেই টাকা নিচ্ছি। এখন টাকা কম নিতে হবে, এমন কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। বেশির ভাগ কৃষক বিদ্যুচ্চালিত গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়েছেন। এই উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের বিদ্যুতে ভর্তুকির সুবিধা দিতে আমরা সেচ চার্জ নির্দিষ্ট করার বিষয়ে কাজ করছি। উপজেলায় সেচ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সব কৃষকই যাতে বিদ্যুতের ভর্তুকি সুবিধা পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, ‘সেচের জন্য সরকার প্রদত্ত সুবিধা প্রান্তিক কৃষকদের জন্য নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভা হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকেরা যাতে ভর্তুকি সুবিধা পান, সে জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে