ফরিদপুর প্রতিনিধি
সিন্ডিকেটে ভুগছে ফরিদপুরের ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসক, আওয়ামী লীগ নেতারা এই সিন্ডিকেটের অংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের চিকিৎসকের রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এটি জনপ্রিয় করতে রোগীদের সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন চিকিৎসকেরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও এখনো সেই সিন্ডিকেট বহাল রয়েছে।
ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে এই হাসপাতাল। বর্তমানে এটি ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে মেডিকেল কলেজ। হাসপাতালটি ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির তত্ত্বাবধায়নে নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে এই সমিতির কমিটির সভাপতি ছিলেন ব্যবসায়ী মীর নাসির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু। কমিটিতে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব সরোয়ার।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, সভাপতি মীর নাসির হোসেন নিয়মিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল না করায় সেখানে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডায়াবেটিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, সনোলজিস্ট বিভাগের ডা. সাইফুল হক, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, প্যাথলজিস্ট বিভাগের মোহাম্মদ আলী শেখ। এ ছাড়া সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডা. খলিফা মাহামুদ ওয়ালিদ। তিনি খিদমাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। সিন্ডিকেটের অন্য চিকিৎসকেরা এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বারে বসেন। হাসপাতালের রোগীদের সেখানে যেতে প্রচ্ছন্ন চাপ দিয়ে থাকেন তাঁরা।
সিন্ডিকেটে রয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চিকিৎসক চৌধুরী জাহাঙ্গীর হোসেন টিটো, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মো. ইশতিয়াক ও সাহেব সরোয়ার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে মীর নাসির হোসেনকেই আহ্বায়ক করা হয়েছে নতুন কমিটির।
এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগী হয়রানি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। অসংগতি রিপোর্টের কারণে দুবছর ধরে ভোগান্তি ও চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ৫ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, ‘অভিযোগকারী শুনানির দিনেই অভিযোগ তুলে নিয়ে যায়। কী কারণে উনি উঠিয়ে নেয়, তা আমার জানা নেই।’
তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ‘অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই আমার ওপর একের পর এক হুমকি-ধমকি আসতে থাকে। সুবিচারও আমি পাইনি।’
এদিকে এই হাসপাতালে কেউ চিকিৎসাধীন থাকলে বা অস্ত্রোপচার প্রয়োজনে হলে হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসি থেকেই ওষুধ কিনতে রোগীর স্বজনদের বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘বাইরের থেকে ওষুধ নিলে অপারেশন করানো হয় না। পরে বাধ্য হয়েই নিজস্ব ফার্মেসি থেকে নিতে হয়।’
এই হাসপাতাল থেকে চাকরি হারিয়েছেন ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক কে এম নাহিদ-উল-হক। সম্প্রতি ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চাকরি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, মীর নাসির হোসেন ও কমিটিতে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা থাকায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘খিদমাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার ফলে ডায়াবেটিক হাসপাতালে সিন্ডিকেটের চিকিৎসকেরা স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। যার কারণে রোগীরা হয়রানিরও শিকার হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
এদিকে রোগী হয়রানি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে অধ্যক্ষ জহিরুল হক মিয়া বলেন, তিনি নীতি অনুযায়ীই ওই হাসপাতালে রোগী দেখেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ আব্দুস সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে। সবাইকে নিয়ে এখনো বসা হয়নি। হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে আমরা আলোচনা করব।’
সিন্ডিকেটে ভুগছে ফরিদপুরের ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চিকিৎসক, আওয়ামী লীগ নেতারা এই সিন্ডিকেটের অংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের চিকিৎসকের রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এটি জনপ্রিয় করতে রোগীদের সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন চিকিৎসকেরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও এখনো সেই সিন্ডিকেট বহাল রয়েছে।
ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে এই হাসপাতাল। বর্তমানে এটি ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। যুক্ত হয়েছে মেডিকেল কলেজ। হাসপাতালটি ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির তত্ত্বাবধায়নে নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে এই সমিতির কমিটির সভাপতি ছিলেন ব্যবসায়ী মীর নাসির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু। কমিটিতে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব সরোয়ার।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, সভাপতি মীর নাসির হোসেন নিয়মিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল না করায় সেখানে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডায়াবেটিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, সনোলজিস্ট বিভাগের ডা. সাইফুল হক, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, প্যাথলজিস্ট বিভাগের মোহাম্মদ আলী শেখ। এ ছাড়া সিন্ডিকেটে রয়েছেন ডা. খলিফা মাহামুদ ওয়ালিদ। তিনি খিদমাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। সিন্ডিকেটের অন্য চিকিৎসকেরা এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বারে বসেন। হাসপাতালের রোগীদের সেখানে যেতে প্রচ্ছন্ন চাপ দিয়ে থাকেন তাঁরা।
সিন্ডিকেটে রয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চিকিৎসক চৌধুরী জাহাঙ্গীর হোসেন টিটো, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মো. ইশতিয়াক ও সাহেব সরোয়ার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে মীর নাসির হোসেনকেই আহ্বায়ক করা হয়েছে নতুন কমিটির।
এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগী হয়রানি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। অসংগতি রিপোর্টের কারণে দুবছর ধরে ভোগান্তি ও চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ৫ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, ‘অভিযোগকারী শুনানির দিনেই অভিযোগ তুলে নিয়ে যায়। কী কারণে উনি উঠিয়ে নেয়, তা আমার জানা নেই।’
তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ‘অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই আমার ওপর একের পর এক হুমকি-ধমকি আসতে থাকে। সুবিচারও আমি পাইনি।’
এদিকে এই হাসপাতালে কেউ চিকিৎসাধীন থাকলে বা অস্ত্রোপচার প্রয়োজনে হলে হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসি থেকেই ওষুধ কিনতে রোগীর স্বজনদের বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘বাইরের থেকে ওষুধ নিলে অপারেশন করানো হয় না। পরে বাধ্য হয়েই নিজস্ব ফার্মেসি থেকে নিতে হয়।’
এই হাসপাতাল থেকে চাকরি হারিয়েছেন ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক কে এম নাহিদ-উল-হক। সম্প্রতি ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চাকরি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, মীর নাসির হোসেন ও কমিটিতে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা থাকায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘খিদমাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার ফলে ডায়াবেটিক হাসপাতালে সিন্ডিকেটের চিকিৎসকেরা স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেন। যার কারণে রোগীরা হয়রানিরও শিকার হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়।’
এদিকে রোগী হয়রানি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে অধ্যক্ষ জহিরুল হক মিয়া বলেন, তিনি নীতি অনুযায়ীই ওই হাসপাতালে রোগী দেখেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শেখ আব্দুস সামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে। সবাইকে নিয়ে এখনো বসা হয়নি। হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে আমরা আলোচনা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে