সানজিদা সামরিন
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে—এ কথা কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলা যায়। তবে নারীর উপযোগী কর্মপরিবেশ এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে, নারী যেখানে ঘর থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, সেখানে তাঁর জন্য আলাদা কর্মপরিবেশের কথা হচ্ছেই-বা কেন?
নারীবান্ধব কর্মস্থল বলতে এখনো আমরা কেবল বুঝি, যেখানে নারী কোনো ধরনের হেনস্তার স্বীকার হবেন না; বেতন-ভাতা, পদ সবখানেই নারী-পুরুষকে সমান চোখেই দেখা হবে। কিন্তু নারীবান্ধব কর্মস্থল বলতে কি আসলে এতটুকুই? নারীদের জীবনে কোনো না কোনো বয়সে বা কোনো না কোনো সময় ক্যারিয়ারে একটা বিরতি নিতে হয়। এর কারণ মাতৃত্ব। ৯ মাস ১০ দিনের একটা দীর্ঘ যাত্রা। যেটা পুরুষের বেলায় ঘটে না।
সময় এগোলেও যে আমরা এগোতে পারিনি, সেটা এ বিষয়টিতে চোখ রাখলেই স্পষ্ট দেখা যায়। গর্ভকালকে যদি তিন ভাগে ভাগ করি তাহলে—প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টার নামে তিনটি ভাগ থাকে। যেখানে কেবল শেষের তিন মাসকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়। কারণ তখন একজন নারীকে দেখলে সহজেই বোঝা যায় তিনি মা হতে চলেছেন। কিন্তু প্রথম দুই ভাগে, বিশেষ করে প্রথম ভাগে শারীরিক নানা ধকল থাকে; যা কেবল সেই নারীই বুঝতে পারেন। ভুগতে হয় তাঁকেই। ফলে একজন কর্মজীবী নারী যখন গর্ভবতী হন, তখন কাজটাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন নাকি নিজের শরীরকে, সেটা নিয়ে একধরনের দোটানাতেই ভুগতে হয় গোটা সময়টায়। হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো চাকরি ছেড়ে দেন শুরুতেই, সেটা ভিন্ন। কিন্তু কাজ করাটা যাঁদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের বেলায় কী বলবেন? সকালে ঘুম ভেঙে উঠেই ‘মর্নিং সিকনেস’ নামের ব্যাপারটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে তবেই অফিসের জোগাড়যন্ত্র করতে হয়। প্রথম কয়েক মাস এসবের মধ্য়েই চলে। সেদিক থেকে কর্মক্ষেত্র কতটা সহনশীল তার ওপরও ওই নারীর ভালো থাকা নির্ভর করে।
করোনা-পরবর্তী গোটা বিশ্বেই কাজের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বেশ কিছু কর্মক্ষেত্রে যোগ হয়েছে হোম অফিস নামক ব্যাপারটি; মানে অফিসে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও আপনি অনায়াসে যুক্ত থাকতে পারবেন আপনার সব কাজের সঙ্গে। এমন কিছু সফটওয়্যার রয়েছে, যার বরাতে বাসার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে অফিসের কম্পিউটারে আপনি আপনার কাজগুলো রাখতে পারবেন। মিটিং করা যাচ্ছে গুগল, জুম বা হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে ব্রিটিশ ঘরানার কাজ না করলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু এই সুবিধাটুকু আমাদের দেশে কতজন গর্ভবতী নারী পাচ্ছেন? যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁরাও কি সহজেই পাচ্ছেন, নাকি এর জন্য অনুরোধের পর অনুরোধ বা যুদ্ধ করতে হচ্ছে? যুদ্ধটা এ কারণেই যে চাইলেই সব নারী এক ঝটকায় চাকরি ছাড়তে পারেন না। এ থেকে বোঝা যায়, সময় এগোলেও আমরা এগোতে নারাজ। এখনো কর্মক্ষেত্রগুলোয় কাজের চেয়ে শারীরিক উপস্থিতি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মঘণ্টা, গুরুত্ব নেই কাজের মান ও মাত্রার।
এরপর যদি আসি মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে, তাহলে চিত্রটা অনেকের জন্যই সুখকর নয়। বিগত কর্মস্থলে দেখেছি, মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরে নারী সহকর্মী দেখেন, তিনি যে বিভাগে কাজ করতেন, সেই বিভাগে তাঁর আসন, পদ, কাজ কোনোটিই নেই। ভাগ্য ভালো ছিল বিধায় ভিন্ন একটি বিভাগে তাঁকে ‘রিপ্লেস’ করা হয়েছিল। মানে, এখানে কর্মক্ষেত্রগুলোয় এমনও হতে পারে আপনি মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরে আপনার পুরোনো ডেস্কে জায়গা না-ও পেতে পারেন। আবার এমনও দেখেছি, ছয় মাস ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর নতুন মাকে তাঁর পুরুষ সহকর্মীরা দেদার বলছেন, ‘আপনি তো লম্বা ছুটি কাটিয়ে এলেন, এবার আপনি বেশি কাজ করবেন। আমরা অল্প চাপ নেব।’ কিন্তু মাতৃত্বকালীন ছুটি যে আদৌ মায়ের জন্য ছুটি নয়, তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে কী গেছে প্রতিটি দিন—তা বোঝার মতো বোধ বা হৃদয় এখনো অনেকেরই নেই।
কিছুদিন আগে এক বড় বোন বলছিলেন, তিনি যে নিউজ পোর্টালে কাজ করেন, সেখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয় এক মাস। চাইলে পরের এক মাস বেতন ছাড়া ছুটি কাটানো যায়। এভাবেও ভাবা সম্ভব কি না, সেটা ভাবতেই সময় লেগেছিল। এক মাসে কি সি-সেকশনের সেলাই শুকায়? সি-সেকশনে পেটের সাতটা পরত কেটে গর্ভস্থ শিশুকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেলাই। প্রতিটা পরতই আলাদা করে জোড়া লাগতে হয়। যার জন্য সময়, বিশ্রাম, মানসিক শান্তি সবই প্রয়োজন। এক মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির আরেকটা অর্থ হয়তো হতে পারে, ‘চাকরিটা এবার ছেড়ে দাও।’ এ ছাড়া তো উপায় নেই, তাই না? কারণ জীবনের জন্য চাকরি, চাকরির জন্য তো জীবন না।
আমাদের শহরে এখন বেশির ভাগই ক্ষুদ্র পরিবার। স্বামী-স্ত্রী মিলে একটা ফ্ল্যাটে থাকেন। দুজনই যদি কর্মজীবী হন এবং জীবনের কোনো পর্যায়ে যখন তাঁদের সন্তান আসে, তখন কী হতে পারে ব্যাপারটা? মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে যখন মা কাজে ফিরবেন, তখন তাঁর সন্তান কার কাছে থাকবে—এটা একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে একজন স্থায়ী গৃহকর্মী রেখে নেবেন হয়তো, যাঁর কাছে সন্তান সারা দিন থাকবে। কিন্তু সেই ভরসা করার লোক কোথায় এ সময়ে? শহরে নামমাত্র যে ডে কেয়ার সেন্টারগুলো আছে, সেখানেও কি দক্ষ সেবাকর্মী রয়েছেন? সেখানে কি আদৌ সন্তানের যত্ন হয়? অথচ নারীবান্ধব কর্মস্থল বলে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্ষুদ্র পরিসরেও ডে কেয়ারের ব্যবস্থা রাখতে দেখা যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের এগিয়ে রাখতে হয়তো নারীর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়, নারীর কাজকেও বাহবা দেয়। কিন্তু নারীর মাতৃত্বকে হয়তো এখনো যৌক্তিক দিক থেকে স্বীকৃতি দেয়নি।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় বেড়েছে—এ কথা কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলা যায়। তবে নারীর উপযোগী কর্মপরিবেশ এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে, নারী যেখানে ঘর থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, সেখানে তাঁর জন্য আলাদা কর্মপরিবেশের কথা হচ্ছেই-বা কেন?
নারীবান্ধব কর্মস্থল বলতে এখনো আমরা কেবল বুঝি, যেখানে নারী কোনো ধরনের হেনস্তার স্বীকার হবেন না; বেতন-ভাতা, পদ সবখানেই নারী-পুরুষকে সমান চোখেই দেখা হবে। কিন্তু নারীবান্ধব কর্মস্থল বলতে কি আসলে এতটুকুই? নারীদের জীবনে কোনো না কোনো বয়সে বা কোনো না কোনো সময় ক্যারিয়ারে একটা বিরতি নিতে হয়। এর কারণ মাতৃত্ব। ৯ মাস ১০ দিনের একটা দীর্ঘ যাত্রা। যেটা পুরুষের বেলায় ঘটে না।
সময় এগোলেও যে আমরা এগোতে পারিনি, সেটা এ বিষয়টিতে চোখ রাখলেই স্পষ্ট দেখা যায়। গর্ভকালকে যদি তিন ভাগে ভাগ করি তাহলে—প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টার নামে তিনটি ভাগ থাকে। যেখানে কেবল শেষের তিন মাসকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়। কারণ তখন একজন নারীকে দেখলে সহজেই বোঝা যায় তিনি মা হতে চলেছেন। কিন্তু প্রথম দুই ভাগে, বিশেষ করে প্রথম ভাগে শারীরিক নানা ধকল থাকে; যা কেবল সেই নারীই বুঝতে পারেন। ভুগতে হয় তাঁকেই। ফলে একজন কর্মজীবী নারী যখন গর্ভবতী হন, তখন কাজটাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন নাকি নিজের শরীরকে, সেটা নিয়ে একধরনের দোটানাতেই ভুগতে হয় গোটা সময়টায়। হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো চাকরি ছেড়ে দেন শুরুতেই, সেটা ভিন্ন। কিন্তু কাজ করাটা যাঁদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের বেলায় কী বলবেন? সকালে ঘুম ভেঙে উঠেই ‘মর্নিং সিকনেস’ নামের ব্যাপারটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে তবেই অফিসের জোগাড়যন্ত্র করতে হয়। প্রথম কয়েক মাস এসবের মধ্য়েই চলে। সেদিক থেকে কর্মক্ষেত্র কতটা সহনশীল তার ওপরও ওই নারীর ভালো থাকা নির্ভর করে।
করোনা-পরবর্তী গোটা বিশ্বেই কাজের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বেশ কিছু কর্মক্ষেত্রে যোগ হয়েছে হোম অফিস নামক ব্যাপারটি; মানে অফিসে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও আপনি অনায়াসে যুক্ত থাকতে পারবেন আপনার সব কাজের সঙ্গে। এমন কিছু সফটওয়্যার রয়েছে, যার বরাতে বাসার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে অফিসের কম্পিউটারে আপনি আপনার কাজগুলো রাখতে পারবেন। মিটিং করা যাচ্ছে গুগল, জুম বা হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে ব্রিটিশ ঘরানার কাজ না করলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু এই সুবিধাটুকু আমাদের দেশে কতজন গর্ভবতী নারী পাচ্ছেন? যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁরাও কি সহজেই পাচ্ছেন, নাকি এর জন্য অনুরোধের পর অনুরোধ বা যুদ্ধ করতে হচ্ছে? যুদ্ধটা এ কারণেই যে চাইলেই সব নারী এক ঝটকায় চাকরি ছাড়তে পারেন না। এ থেকে বোঝা যায়, সময় এগোলেও আমরা এগোতে নারাজ। এখনো কর্মক্ষেত্রগুলোয় কাজের চেয়ে শারীরিক উপস্থিতি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মঘণ্টা, গুরুত্ব নেই কাজের মান ও মাত্রার।
এরপর যদি আসি মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রসঙ্গে, তাহলে চিত্রটা অনেকের জন্যই সুখকর নয়। বিগত কর্মস্থলে দেখেছি, মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরে নারী সহকর্মী দেখেন, তিনি যে বিভাগে কাজ করতেন, সেই বিভাগে তাঁর আসন, পদ, কাজ কোনোটিই নেই। ভাগ্য ভালো ছিল বিধায় ভিন্ন একটি বিভাগে তাঁকে ‘রিপ্লেস’ করা হয়েছিল। মানে, এখানে কর্মক্ষেত্রগুলোয় এমনও হতে পারে আপনি মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরে আপনার পুরোনো ডেস্কে জায়গা না-ও পেতে পারেন। আবার এমনও দেখেছি, ছয় মাস ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর নতুন মাকে তাঁর পুরুষ সহকর্মীরা দেদার বলছেন, ‘আপনি তো লম্বা ছুটি কাটিয়ে এলেন, এবার আপনি বেশি কাজ করবেন। আমরা অল্প চাপ নেব।’ কিন্তু মাতৃত্বকালীন ছুটি যে আদৌ মায়ের জন্য ছুটি নয়, তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে কী গেছে প্রতিটি দিন—তা বোঝার মতো বোধ বা হৃদয় এখনো অনেকেরই নেই।
কিছুদিন আগে এক বড় বোন বলছিলেন, তিনি যে নিউজ পোর্টালে কাজ করেন, সেখানে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয় এক মাস। চাইলে পরের এক মাস বেতন ছাড়া ছুটি কাটানো যায়। এভাবেও ভাবা সম্ভব কি না, সেটা ভাবতেই সময় লেগেছিল। এক মাসে কি সি-সেকশনের সেলাই শুকায়? সি-সেকশনে পেটের সাতটা পরত কেটে গর্ভস্থ শিশুকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেলাই। প্রতিটা পরতই আলাদা করে জোড়া লাগতে হয়। যার জন্য সময়, বিশ্রাম, মানসিক শান্তি সবই প্রয়োজন। এক মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির আরেকটা অর্থ হয়তো হতে পারে, ‘চাকরিটা এবার ছেড়ে দাও।’ এ ছাড়া তো উপায় নেই, তাই না? কারণ জীবনের জন্য চাকরি, চাকরির জন্য তো জীবন না।
আমাদের শহরে এখন বেশির ভাগই ক্ষুদ্র পরিবার। স্বামী-স্ত্রী মিলে একটা ফ্ল্যাটে থাকেন। দুজনই যদি কর্মজীবী হন এবং জীবনের কোনো পর্যায়ে যখন তাঁদের সন্তান আসে, তখন কী হতে পারে ব্যাপারটা? মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে যখন মা কাজে ফিরবেন, তখন তাঁর সন্তান কার কাছে থাকবে—এটা একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে একজন স্থায়ী গৃহকর্মী রেখে নেবেন হয়তো, যাঁর কাছে সন্তান সারা দিন থাকবে। কিন্তু সেই ভরসা করার লোক কোথায় এ সময়ে? শহরে নামমাত্র যে ডে কেয়ার সেন্টারগুলো আছে, সেখানেও কি দক্ষ সেবাকর্মী রয়েছেন? সেখানে কি আদৌ সন্তানের যত্ন হয়? অথচ নারীবান্ধব কর্মস্থল বলে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্ষুদ্র পরিসরেও ডে কেয়ারের ব্যবস্থা রাখতে দেখা যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের এগিয়ে রাখতে হয়তো নারীর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়, নারীর কাজকেও বাহবা দেয়। কিন্তু নারীর মাতৃত্বকে হয়তো এখনো যৌক্তিক দিক থেকে স্বীকৃতি দেয়নি।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে