সানজিদা সামরিন
একটু আগেই বা কিছুদিন আগে হয়তো সব ঠিক ছিল। ডাক্তারি সব রিপোর্ট, গর্ভস্থ সন্তানের পজিশন, মায়ের অবস্থা—সবই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উপযোগী। কিন্তু হঠাৎই জানা গেল, গর্ভস্থ সন্তানের মাথা বড় হয়ে যাচ্ছে, পানি ভেঙে যাচ্ছে, শিশুর গলায় নাড়ি পেঁচিয়ে গেছে, শিশু পেটের ভেতরেই ময়লা খেয়ে ফেলেছে। ফলে এর মধ্য়েই সিজার না করালে বিপদ ঘটার আশঙ্কা আছে। এমন সংবেদনশীল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ক্রস চেক করাবেন? সে সময় হাতে আছে? নাকি অনাগত সন্তান ও গর্ভবতী মায়ের নিরাপদ জীবনের কথা ভেবে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশনের টেবিলে তুলবেন?
অনেক সময় দেখা যায়, স্বাভাবিক প্রসবের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রসববেদনা উঠেছে, পরে ব্যথা আবার নেমে যাচ্ছে; আবার দেখা গেল গর্ভস্থ শিশু উল্টে গেছে বা ওপরে উঠে আছে; নিচে নামছে না। তখনো হয়তো সার্জারির সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তৎক্ষণাৎ। কারণ অনেক মা-ই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য সাহস রাখলেও, শেষ মুহূর্তে চিকিৎসক যখন জানান গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থান স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ঠিক নেই, তখন আর এদিক-ওদিক কিছুই ভাবার উপায় থাকে না। হবু মা ও পরিবারের সবাই প্রত্যাশা করেন যাতে অনাগত শিশু ও মা নিরাপদ থাকেন।
পরিবার, পরিজন, বন্ধুমহলে যখন নতুন অতিথি আগমনের খবর পাওয়া যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে এমন খবরও জানা যায় যে শিশুটিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্য়মেই পৃথিবীর মুখ দেখাতে হয়েছে। কারণ? ওই একই—হয় নাড়ি পেঁচিয়ে গিয়েছিল, পানি ভেঙে গিয়েছিল, উল্টে গিয়েছিল বা আরও অনেক কিছু। কিন্তু ইদানীং এমন বিষয় জানার পর নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে, আধা হাত সমান দৈর্ঘ্যের নতুন মানবদের বলতে ইচ্ছে হয়, ‘কেন রে? মায়ের পেটের ভেতর এমন কী করে করে বেড়াস যে তোদের প্রায় সবারই নাড়ি পেঁচিয়ে যায়, উল্টে যাস; আর সোজা হতে পারিস না! কাটাছেঁড়া করে তবেই তোদের পৃথিবীর মুখ দেখা হয়!’ প্রশ্ন জাগে, ইদানীং সব নারীরই কি ‘কমপ্লিকেটেড প্রেগন্যান্সি’ থাকে? কোনো নারীই কি শারীরিকভাবে ফিট নন?
আশপাশে একটু চোখ রাখলেই ঠাহর হবে, বর্তমানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসব কী হারে কমেছে। উল্টোদিকে ব্যাপক হারে বাড়ছে সি-সেকশন ডেলিভারি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২৩ সালের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (এসভিআরএস) প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে। অন্যদিকে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্মের হার ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে অস্ত্রোপচারে শিশুজন্মের হার ছিল ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ; অর্থাৎ ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে সি-সেকশন ডেলিভারির মাধ্য়মে শিশুর জন্ম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৪ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০১০-এ এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০ বছরে এই হার বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ!
কেন বাড়ছে সি-সেকশন ডেলিভারি? কতটা প্রয়োজনে, কতটা অপ্রয়োজনে? প্রয়োজন ব্যতীত সি-সেকশন ডেলিভারি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য়ের জন্য কতটা উপযোগী, সেটাও একটা প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, যেসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবে মা বা শিশুর বা উভয়ের জীবনের ঝুঁকি থাকে, শুধু সেসব ক্ষেত্রেই মূলত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার আবশ্যক হতে পারে, এর বাইরে নয়।
আর আমাদের এখানে কী হচ্ছে? এ যুগে সি-সেকশন ডেলিভারি ছাড়া সন্তান জন্মদান যেন মিথ হয়ে উঠছে। তার ওপর একবার সি-সেকশন ডেলিভারি হলে পরবর্তী সন্তানদের জন্মও হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়।
যদি খরচের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায়, সি-সেকশন ডেলিভারিতে হাসপাতাল ও চিকিৎসকভেদে একটা বড় অঙ্ক খরচ হয়, যা স্বাভাবিক প্রসবের খরচের তুলনায় অনেকাংশে বেশি। আবার কোনো কোনো চিকিৎসক কেবল নির্দিষ্ট কিছু ক্লিনিক ও হাসপাতালে সি-সেকশন ডেলিভারিই করে থাকেন। ফলে তিনি চিকিৎসক হিসেবে ভালো হলেও যাঁরা প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছেন এবং স্বাভাবিক প্রসবের কথা ভাবছেন, তাঁদের অন্য বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। বলা ভালো, শরীর ও সন্তান ধারণের ইচ্ছে নিজের হলেও, শারীরিক অবস্থা আসলেই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রস্তুত কি না, সেটা জানার অবস্থাও যেন এখানে নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আবার অনেক ডাক্তারের মতে, গর্ভবতী মা ও তাঁর পরিবার স্বেচ্ছায় সি-সেকশন ডেলিভারি করাতে চায়। কারণ, স্বাভাবিক প্রসব ৮-১২ ঘণ্টার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তা ছাড়া, অনেকে প্রসববেদনার ব্যাপারটি ভীষণ ভয় পান। ফলে তাঁরা সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেন অস্ত্রোপচারকেই।
যদিও এখন ‘ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব’ নামে একটি ব্যাপার রয়েছে বলে জানা যায়। এতে সবকিছুই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রেখেই সন্তান প্রসব করানো হয়। কোনো অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে না। এতে অন্যান্য স্বাভাবিক প্রসবে যে ব্যথা বা লেবার পেইন হয়, এখানে সেই ব্যথা হয় না। ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়। এর মধ্যে এপিডুরাল পদ্ধতি অন্যতম। অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের কোমরে একটি ইনজেকশন দেন। কিন্তু এটাও ঠিক যে দেশের সব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ ছাড়াও মায়ের গর্ভে শিশুর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে চিকিৎসকদেরও উচিত হবু মা-বাবাকে জানানো। বহির্বিশ্বে যেখানে প্রয়োজন ব্যতীত সি-সেকশন ডেলিভারিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, কেবল মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য়ের জন্য। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছি? কেন সন্তান জন্মদানের আগমুহূর্তেও অনাকাঙ্ক্ষিত দুশ্চিন্তার জাল তৈরি করে দেওয়া হয়? সেই অর্থে ঝুঁকি না থাকলে স্বাভাবিক প্রসব কেন সম্ভব নয়—এই প্রশ্ন তো রাখাই যায়।
সানজিদা সামরিন, সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
একটু আগেই বা কিছুদিন আগে হয়তো সব ঠিক ছিল। ডাক্তারি সব রিপোর্ট, গর্ভস্থ সন্তানের পজিশন, মায়ের অবস্থা—সবই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উপযোগী। কিন্তু হঠাৎই জানা গেল, গর্ভস্থ সন্তানের মাথা বড় হয়ে যাচ্ছে, পানি ভেঙে যাচ্ছে, শিশুর গলায় নাড়ি পেঁচিয়ে গেছে, শিশু পেটের ভেতরেই ময়লা খেয়ে ফেলেছে। ফলে এর মধ্য়েই সিজার না করালে বিপদ ঘটার আশঙ্কা আছে। এমন সংবেদনশীল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার ক্রস চেক করাবেন? সে সময় হাতে আছে? নাকি অনাগত সন্তান ও গর্ভবতী মায়ের নিরাপদ জীবনের কথা ভেবে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশনের টেবিলে তুলবেন?
অনেক সময় দেখা যায়, স্বাভাবিক প্রসবের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রসববেদনা উঠেছে, পরে ব্যথা আবার নেমে যাচ্ছে; আবার দেখা গেল গর্ভস্থ শিশু উল্টে গেছে বা ওপরে উঠে আছে; নিচে নামছে না। তখনো হয়তো সার্জারির সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তৎক্ষণাৎ। কারণ অনেক মা-ই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য সাহস রাখলেও, শেষ মুহূর্তে চিকিৎসক যখন জানান গর্ভস্থ সন্তানের অবস্থান স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ঠিক নেই, তখন আর এদিক-ওদিক কিছুই ভাবার উপায় থাকে না। হবু মা ও পরিবারের সবাই প্রত্যাশা করেন যাতে অনাগত শিশু ও মা নিরাপদ থাকেন।
পরিবার, পরিজন, বন্ধুমহলে যখন নতুন অতিথি আগমনের খবর পাওয়া যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে এমন খবরও জানা যায় যে শিশুটিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্য়মেই পৃথিবীর মুখ দেখাতে হয়েছে। কারণ? ওই একই—হয় নাড়ি পেঁচিয়ে গিয়েছিল, পানি ভেঙে গিয়েছিল, উল্টে গিয়েছিল বা আরও অনেক কিছু। কিন্তু ইদানীং এমন বিষয় জানার পর নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে, আধা হাত সমান দৈর্ঘ্যের নতুন মানবদের বলতে ইচ্ছে হয়, ‘কেন রে? মায়ের পেটের ভেতর এমন কী করে করে বেড়াস যে তোদের প্রায় সবারই নাড়ি পেঁচিয়ে যায়, উল্টে যাস; আর সোজা হতে পারিস না! কাটাছেঁড়া করে তবেই তোদের পৃথিবীর মুখ দেখা হয়!’ প্রশ্ন জাগে, ইদানীং সব নারীরই কি ‘কমপ্লিকেটেড প্রেগন্যান্সি’ থাকে? কোনো নারীই কি শারীরিকভাবে ফিট নন?
আশপাশে একটু চোখ রাখলেই ঠাহর হবে, বর্তমানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসব কী হারে কমেছে। উল্টোদিকে ব্যাপক হারে বাড়ছে সি-সেকশন ডেলিভারি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২৩ সালের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (এসভিআরএস) প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে। অন্যদিকে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্মের হার ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে অস্ত্রোপচারে শিশুজন্মের হার ছিল ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ; অর্থাৎ ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে সি-সেকশন ডেলিভারির মাধ্য়মে শিশুর জন্ম বেড়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৪ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০১০-এ এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০ বছরে এই হার বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ!
কেন বাড়ছে সি-সেকশন ডেলিভারি? কতটা প্রয়োজনে, কতটা অপ্রয়োজনে? প্রয়োজন ব্যতীত সি-সেকশন ডেলিভারি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য়ের জন্য কতটা উপযোগী, সেটাও একটা প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, যেসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবে মা বা শিশুর বা উভয়ের জীবনের ঝুঁকি থাকে, শুধু সেসব ক্ষেত্রেই মূলত অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার আবশ্যক হতে পারে, এর বাইরে নয়।
আর আমাদের এখানে কী হচ্ছে? এ যুগে সি-সেকশন ডেলিভারি ছাড়া সন্তান জন্মদান যেন মিথ হয়ে উঠছে। তার ওপর একবার সি-সেকশন ডেলিভারি হলে পরবর্তী সন্তানদের জন্মও হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়।
যদি খরচের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায়, সি-সেকশন ডেলিভারিতে হাসপাতাল ও চিকিৎসকভেদে একটা বড় অঙ্ক খরচ হয়, যা স্বাভাবিক প্রসবের খরচের তুলনায় অনেকাংশে বেশি। আবার কোনো কোনো চিকিৎসক কেবল নির্দিষ্ট কিছু ক্লিনিক ও হাসপাতালে সি-সেকশন ডেলিভারিই করে থাকেন। ফলে তিনি চিকিৎসক হিসেবে ভালো হলেও যাঁরা প্রথমবারের মতো মা হতে যাচ্ছেন এবং স্বাভাবিক প্রসবের কথা ভাবছেন, তাঁদের অন্য বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। বলা ভালো, শরীর ও সন্তান ধারণের ইচ্ছে নিজের হলেও, শারীরিক অবস্থা আসলেই স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রস্তুত কি না, সেটা জানার অবস্থাও যেন এখানে নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আবার অনেক ডাক্তারের মতে, গর্ভবতী মা ও তাঁর পরিবার স্বেচ্ছায় সি-সেকশন ডেলিভারি করাতে চায়। কারণ, স্বাভাবিক প্রসব ৮-১২ ঘণ্টার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তা ছাড়া, অনেকে প্রসববেদনার ব্যাপারটি ভীষণ ভয় পান। ফলে তাঁরা সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেন অস্ত্রোপচারকেই।
যদিও এখন ‘ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব’ নামে একটি ব্যাপার রয়েছে বলে জানা যায়। এতে সবকিছুই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রেখেই সন্তান প্রসব করানো হয়। কোনো অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে না। এতে অন্যান্য স্বাভাবিক প্রসবে যে ব্যথা বা লেবার পেইন হয়, এখানে সেই ব্যথা হয় না। ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়। এর মধ্যে এপিডুরাল পদ্ধতি অন্যতম। অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) চিকিৎসক এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের কোমরে একটি ইনজেকশন দেন। কিন্তু এটাও ঠিক যে দেশের সব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ ছাড়াও মায়ের গর্ভে শিশুর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি এই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে চিকিৎসকদেরও উচিত হবু মা-বাবাকে জানানো। বহির্বিশ্বে যেখানে প্রয়োজন ব্যতীত সি-সেকশন ডেলিভারিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, কেবল মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য়ের জন্য। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছি? কেন সন্তান জন্মদানের আগমুহূর্তেও অনাকাঙ্ক্ষিত দুশ্চিন্তার জাল তৈরি করে দেওয়া হয়? সেই অর্থে ঝুঁকি না থাকলে স্বাভাবিক প্রসব কেন সম্ভব নয়—এই প্রশ্ন তো রাখাই যায়।
সানজিদা সামরিন, সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে